পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ দ্বাদশ সংখ্যা উচিত প্রাপ্য । একটা প্রচলিত কথা আছে যে “ঋণের শেষ, ও শক্রব শেষ রাথিতে নাই ।” খোলা হাতে আমি আমণব ক্ষুদ্র বাহিনীৰ সন্মুখ ভাগে বিপুল বিক্রমে অগ্রসর হইতে গেলাম, সহসা বাধা उद्गद झ1ठ] পড়িল । রঙ্গমঞ্চে এমন ঘটনা বিরল না হঠলেও বাস্তবজীবনে যুদ্ধক্ষেত্রে এমন দৃষ্ঠ আর কখনও দেখি নাই । পৰ্ব্বত গাত্রে যেখানে পলাতকের পাথরের স্ত,প নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল তাঁহারই হস্তনিৰ্ম্মিত অতি নিকটে গুহা, প্রকৃতি ক্ষুদ্র আকৃতিব গুহাটি দেখিলে মানববাসযোগ্য বলিয়া অনুমান হয় F1 || এক অদ্ভুত দর্শন বৃদ্ধ বাহির হইয়া দাড়াইল, অতি বৃদ্ধ তাহার শ্মশ্র ও কেশ শুক্লপর্ণ। জটাবদ্ধ কেশভার ভূপৃষ্ঠ চুম্বনে উদ্যত, শ্মশ্র ও জানু ছুড়াইয়া পড়িয়াছে ; বর্ণ মৃত্তিকাব স্তায় । মুখের দেহের চৰ্ম্ম কঠিন অস্থির আববণ মাত্র, দেখিলে মনে হয় জীবনীশক্তি ও বুঝি সে দেচে থাকা সম্ভব নহে । কেবল সেই কুঞ্চিত কৃষ্ণ চয়েব অভ্যস্তরে কোটরগত দুই চক্ষু দুই খণ্ড অ্যুস্থল হীরকের মত ধক্ ধৰ্ব্ব কবিয়া জ্বলিতে ছিল । সেই অপূৰ্ব্ব অমানুষিক মুৰ্বি গুহ। বাহির হইয়া উভয় পক্ষের মধ্য স্থলে সগৰ্ব্বে দাড়া ইয়া দক্ষিণ হস্ত উত্তোলন কবিয়া গম্ভাব আদেশের স্বরে কহিলেন “যাও !” সম্রাট তাহার ক্রীতদাসকেও বোধ হয় এমন তুচ্ছ অবহেলার সহিত আদেশ করিতে পাবিতেন না । আমাদের সমভাবে থাকিতে দেখিয়া বিশুদ্ধ ইংরাজী ভাষায় গম্ভীব বজ্রনাদের দ্যায় আবার কহিলেন “রক্ত পিপাসী গুচামধ্য হইতে যেন যাদু মন্ত্রবলে R}> اکی ইহতে কোন সোধ-রহস্ত ';') oR মানবের দল এ স্থান সাধনার জন্ত, ভগবানের আরাধনাব জন্ত ; তাহাবহ স্বঃ তাহাবি সন্তান দের বক্তপাতের জ ই নহে — যা ও * অ{দেশ ব্যঞ্জক স্বরে ব সহিত দক্ষিণ হস্ত আবার আমাদেব চলিয়া যাইবাৰ জন্ত পথ দেখাইয় দিল । অন্ত সময় হই লে কি হই ত বলা যায় ন।”কিন্তু এখন এষ্ট যুদ্ধ ক্ষেত্রে বি জতপ্রায় অবস্থায় - কত্তব্য স্থিব ব বিবার অবসব কোথায় ? শক্রদলের সাহস বৃদ্ধি পাইতেছিল, ঘে সিয়া দাড়াঙ্গতে ছিল, আমাদের সেপাই বা ভাত ই ইয়ছিল। ঐ বুড়াকে তাঙ্গ ব{ মুহূত্তেব দুৰ্ব্বলতায় অদৃষ্ট চক্র ভিন্ন পথে ঘুবিয়া য। তবে,সাহসী সেনাপতি আ'ম, একি দুৰ্ব্বলতা ! অগ্রসর হইয়া চীৎকাব কবিয়া কছিলাম “বৃদ্ধ নিবোধ ! সরিয়া দাড়াও নতুবা নিশ্চয় মৃত্যু।” ইংৰাজ গোলন্দাগু দের লইয়া প্রবল বিক্রমে অগ্রসব হইলাম। বৃদ্ধ নিবৃত্ত হইল না, অগ্ৰসৰ হইয়া দুষ্ট হাত উদ্ধে উত্ত্বেলিত করিয়া যেন প্রার্থনাব মত কি একটা ভাষা উচ্চারণ করিল, কিন্তু তখন সে সব লক্ষ্য করিবার সময় নাই, আমারি কোষমুক্ত তীক্ষুধার তববাবি বুদ্ধেব বক্ষে বিদ্ধ হইল। আমার পশ্চাৎ ত হতে এক জন ইংরাজসেলা তাহার বন্দুকেব বাট দিয়া বৃদ্ধের মস্তকে আঘাত করিল। মুহূর্তে তাগার মৃতদেহ আমারই পায়েব কাছে লুট।ইয়া পড়িল , আর সেই সঙ্গে সঙ্গে পাৰ্ব্বত্য দস্যরা একটা ব্যাকুল বেদনাপূর্ণ আৰ্ত্তস্বরে দিকবিদিক পূর্ণ করিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল । তারপর আর কোন বাধা নাই –মুহূর্বে যুদ্ধ জয় হইয়া গেল। “হ্যানিবল” বা “সী জর” আমাদের চেয়ে কি বেশ করিয়াছিল !