পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-প্রসঙ্গ ২ । ক্ষিতীন্দ্র গ্রন্থাবলী । জিতেন্দ্রনাথের সঙ্গোদব ক্ষি তীন্দ্রনাথের বঙ্গীয় সাহিত্যাহ্বাগব নিকট সুপরিচিত । তাহার রচিত বিবিধ বিচিত্র প্রবন্ধ মাসিক পত্রাদিতে প্রায়ই প্রকাশিত হয়। হঁহার সাহিত্য-সাধনা ও লোকপ্রসিদ্ধ। ক্ষিতীন্দ্রনাথের কয়েক খানি গ্রন্থ আমরা সমালোচনার্থ প্রাপ্ত হষ্টয়াছি। প্রথম গ্রন্থ, আলাপ ( মূল্য পাচ সিকা ) । আলাপে সাহিত্য, দর্শন ও সমাজ বিষয়ক বিবিধ প্রবন্ধ ও কবিতা সংগৃহীত হইয়াছে। প্রবন্ধ গুলি এতদিন বিবিধ মাসিক পত্রিকা-পৃষ্ঠে বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন ছিল ; সেগুলি সংগ্রহ পূৰ্ব্বক গ্রন্থাকারে প্রকাশ করিয়া গ্রন্থকার আম|দিগের ধষ্ঠবাদাহ হইয়াছেন । “অধ্যাত্মধৰ্ম্ম ও অজ্ঞেয় বাদ গ্রন্থের মুখবন্ধ” “ইউনেটেবীয় খৃষ্টান ও ব্রাহ্মসমাজ” “রামমোহন রায়” প্রভৃতি গুরু-গম্ভীর বিষয়ের প্রবন্ধ হইতে কাঠুরিয়া বিরহ প্রভৃতি কবিতা ও “হিমাচল” “নিঝরিণী" প্রভৃতি প্রবন্ধও এই সংগ্রহে স্থান পাইয়াছে। প্রবন্ধ গুলি হইতে ক্ষিতীন্দ্রনাথের মুনিপুণ যুক্তি-তর্কের পরিচয় যেমন পাওয়া যায়, স্বদেশ-প্রীতি ও অনুশীলনেব পরিচয়ও তেমন পাইতে বিলম্ব ঘটে না ।

  • ভারতোদ্ধার ও ব্রহ্মচৰ্য্য” প্রবন্ধে লেখক বঙ্গে জীবনের সাড়া পাইয়া ভারতের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন। স্বদেশপ্রতিকে তিনি হিন্দুতার উদার ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করিতে চাহিয়াছেন, রাজনৈতিক ও

নাম ও সামাজিক আন্দোলনকে পৃথক করিতে বলিয়াছেন। ‘হিন্দুয়ানীব’ পবিবৰ্ত্তে তিনি ‘হিন্দুত্ব’ চাহিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, “তুম আ ম যে কাৰ্য্যকে হিন্দুব কৰ্ত্তব্য বলিব, তাঙ্গাই যে কত্তব্য হইবে, তাহা নহে ; মনু প্রভৃতি পুবাতন ঋষিদিগেবই আদেশ হিন্দুব কৰ্ত্তব্য বলিয়া ধবিতে হইবে। ...হিন্দুত্ব ব্যতীত বঙ্গদেশেব ও ভাবতে মঙ্গল নাই । ... এই হিন্দুত্বেব মূল কি ? ইহাব বেন্দ্রভূমি কি ? ...মনু প্রচারিত ব্রহ্মচৰ্য্যই হিন্দুত্বেব পত্তনভূমি। ...যখন দেখি, পাচ বয়স হইতে বিদ্যালয়েব ছাত্রগণ সিগাবেটেব ধূম উদগীর্ণ করিয়া বাবত্ব অনুভব কবে ; যপন দেখি, যৌবনে পদার্পণের বহু পূৰ্ব্বাবধি ছাত্রগণ বল্যের অনুপযুক্ত অসাব কাৰ্য্য সমূহে অভ্যস্ত হইয় উঠে, ; যখন দেখি, কি সন্ত্রান্ত, কি অসন্ত্রান্ত, অধিকাংশ যুবক বিলাতী বা দেশা মস্তেব চৰণে আত্ম বিক্রয় করিতে প্রস্তুত আছেন ; ...তখন কি অাব আমাদেব জীবনের অাশ ভরসার কথা বলিতে সাহস হয়।...চারিদিকে বক্তৃত হইতেছে সংযমের মূল ব্রহ্মচৰ্য্য প্রতিষ্ঠার কথা কেহই বলে না।...ব্রহ্মচর্ষ্য প্রতিষ্ঠিত হইলে বিলাদ আপনিই বিদূরিত হইবে.. আপন হইতেই মোট ভাত ও মোট কাপড়ে অসক্তি জন্মিবে।” এ কথা যে খুবই ঠিক, তাহ কেহ অস্বীকার করিতে পরিবেন না। স্থানাভাবে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করিতে পারিলাম না। কিন্তু এই গ্রন্থের বহু বৎসব