পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা আরাম বৃদ্ধি পাইতে পাবে, কিন্তু যাহাতে মনুষ্যত্বের শোভা হয়, তাহাও সঙ্গে সঙ্গে লোপ পাইবে এই মৰ্ম্ম “আচাব” প্রবন্ধে প্রস্ফুটিত হইয়াছে। o “জীবের অভ্যস্তরীন শক্তি ক্রমাগত বহিঃস্থ শক্তিব সহিত সংগ্রামে নিযুক্ত । জড় চারিদিক হইতে জী কে আক্রমণ কবিয়া * জড়ে পবিণ ত কবিতে চেষ্টা কবিতেছে ; জীব জড়েব নিকট হইতে আত্মবক্ষা করিয়া সেই তুমুল সমবে আপন অস্তিত্ব বজায় রাখিবার চেষ্টা কবিতেছে।” এই সংগ্রামে যাহা জীবের জীবনেব অনুকুল, তাহাই ধৰ্ম্ম । যাহা মনুষ্যের সমাজজীবনের অনুকুল, তাহাই মনুষোব পক্ষে ধৰ্ম্ম । কিন্তু মনুষ্যের সমাজ-জীবনেব অমুকুল কি, তাছা স্থিব করিবার জন্ত প্রকৃতি মনুষ্যকে কোন সংস্কার দেয় নাই। পশু-জীবন মুখ্যতঃ সংস্কণব দ্বারা চালিত ; জীবন বক্ষার নিতান্ত আবখ্যক কতিপয় জৈব ব্যাপাব ব্যতীত অন্তান্ত কার্য্যে মনুষ্য-জীবন মুখ্যতঃ প্রজ্ঞ। কর্তৃক চালিত। শ্রুতি, স্মৃতি, সদাচার এবং আত্মতুষ্টি বা হৃদিস্থিত অন্তৰ্য্যামীব পরিতোষ মনুষ্যের সকল ধৰ্ম্মের মুল ও প্রমাণ । *ধৰ্ম্মের প্রমাণ” প্রবন্ধে এই কথাব বিশদ আলোচনা হইয়াছে । ব্যক্তি-বিশেষকে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান বিষয়ে কিঞ্চিম্মাত্র স্বাধীনতা দিতে সমাজ অত্য স্ত কাতর। ধৰ্ম্মানুষ্ঠান-প্রচলিত পদ্ধতির লঙ্ঘন সৰ্ব্বত্র ও সৰ্ব্বকালে সমাজ-দোহেবই প্রকাবভেদ বলিয়া গৃহীত হয়। মনুষ্যকে সমাজের অধীন থাকিতেই হইবে । সমাজের আদেশ যুক্তিবিরুদ্ধ হইলেও তাহ মানিতে হইবে। সাহিত্য-প্রসঙ্গ ృ\ర్సిరిరి সামাজিক জীব জীবনের অধীন। প্রচলিত ধৰ্ম্মে তোমাব আস্থা না থাকিতে পারে ; কিন্তু ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে তুমি যোগ দাও । না দিলে তুমি সমাজ-চু্যত হইবে, সমাজের হস্তে তোমাকে নিৰ্য্যাতন ভোগ করিতে হইবে । সমাজ নিজেব জীবন বাপিতে চাহে । তাহার স্বার্থ ও তোমার স্বার্থ সৰ্ব্বত্র এক নহে । মানুষ আপন হইতে ছয়ট রিপুকে বশ কবিতে চাহে না বা পাবে না। সমাজ শক্তি বাষ্ট্র-শাসনেব বা ধৰ্ম্ম-শাসনের মূৰ্ত্তি ধবিয়া বিপুকয়টাব শাসনে প্রবৃত্ত হয়। মানব প্রকৃতির বর্তমান অবস্থায় কেবল নীতির শাসনেব উপব নির্ভব কবিয়া থাকা চলে না । এইজন্ত রাজশাসন ও ধৰ্ম্মশাসন আবশ্যক । যেখানে রাজশাসন পরাভূত, সেখানেও ধর্যশাসন বিমুখ হয় না । এই হিসাবে ধৰ্ম্মশাসনেব উপযোগিতা ও ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের কঠোরতা বুঝা যায়। “ধৰ্ম্মেব অনুষ্ঠান” প্রবন্ধে এই কথা বিশদরূপে বিবৃত হইয়াছে। প্রকৃতির পীড়নে মনুষ্য মাত্রই চিরদিন পীড়িত। প্রকৃতি সবল ও মনুষ্য দুৰ্ব্বল । দুৰ্ব্বল মনুষ্য বোধ হয় সমাজ-সংস্থিতির প্রারম্ভ হইতে সরল প্রকৃতিকে নানা উপায়ে পূজা দ্বাৰা প্রসন্ন করিবার চেষ্ট কবিয়া অসিতেছে। এই কথা “প্রকৃতি পূজ” প্রবন্ধে প্রকটত হঠয়াছে । অভিব্যক্তির সোপান পরম্পবায় আবেtহণ করিয়া যখন সমাজবদ্ধ মনুষ্য ক্রমশ: উচ্চতর পদবীতে উঠিতে থাকে, তখন ক্রমশঃ তাহাতে ধৰ্ম্মবুদ্ধির বিকাশ হয়। মনুষ্য সমাজবদ্ধ বলিয়াই ধৰ্ম্মেব অস্তিত্ব । ভূমণ্ডলে মানুষ একজন মাত্র থাকিলে তাঙ্গার