পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిరి$ు মান্দ্রাজ পূৰ্ব্ববঙ্গ ও আসাম ( শতকরা ৩,১ ) ; বঙ্গদেশ (শতকরা ২,৯ ) । যুক্ত প্রদেশে অল্পই বাড়িয়াছে ( শতকরা ১.৬ হিসাবে ) । পূৰ্ব্বে শিক্ষা-ব্যাপারে যে স্থলে ৫৯০৩৬৭ টাকা ব্যয় হষ্টয়াছিল, এক্ষণে সেই স্থলে ব্যয় হইয়াছে, ৭৮৫৯২৬-৫ টাকা । সকলেই যে এখন শিক্ষাব উপকাবিত বুঝিতে সক্ষম হইয়াছেন, তাহারও স্বচনা দেখা যায়। স্কুল-কলেজের সংখ্যা ও বাড়িয়াছে। ইহা হইতেই বুঝা যায় উচ্চ শিক্ষা-লাভের জন্য দেশেব লোকের মনও ব্যাকুল ইষ্টয়া উঠিয়াছে । বিশ বৎসর পূৰ্ব্বে কলেজেব ছাত্র সংখ্যা ছিল জন মাত্র । ১৯০২ হইতে সালের মধ্যে উক্ত সংথ্য: এক হাজার মাত্র বাড়িয়াছিল ; কিন্তু পববৰ্ত্তা পাঁচ বৎসবে ( ১৯০৭ হইতে ১৯১২ ) কলেজ সমূহের ছাত্র সংখ্যা ১৮০ ০ ১ হইভে ২৮.৯৬য়ে উঠিয়াছে, অর্থাৎ প্রায় দশ হাজার বাড়িয়া গিয়াছে । যুক্ত বঙ্গ ও আসামেই সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক বাড়িয়াছে। কলেজ সমুহের ছাত্রীর সংখ্যা তন্মধ্যে বঙ্গে ৮১ জন ও বোম্বাইয়ে ৭৬ ; বাকী অন্তান্ত প্রদেশে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলে দেখা যায় উত্তীর্ণ ছাত্রগণের মধ্যে ব্রাহ্মণের সংথ্যাই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক । বঙ্গদেশ ও মন্দ্রিাজের কলেজগুলিই সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকর্ষ লাভ করিয়াছে । তবে মান্দ্রগজে পাদ্রীদের দ্বাবা পরিচালিত স্কুল-কলেজের সংখ্যা অধিক । বঙ্গদেশে সুলভে শিক্ষাদানের জন্ত যে কয়টি প্রাইভেট কলেজ আছে, তাহার মধ্যে কলিকাতাব মেট্রোপলিটান ইনষ্টিটিউসন, সিটি, রিপন, সেণ্ট ল ও বঙ্গবাসী কলেজই উল্লেখ-যোগ্য। y a* a :S o o २१२ ; ভারতী চৈত্র, ১৩২০ বঙ্গদেশের মফঃসলস্থ প্রাইভেট কলেজগুলির অবস্থা এ গুলির তুলনায় তেমন নহে । পুৰ্ব্ব বঙ্গীয় প্রাইভেট কলেজ গুলির অবস্থা শোচনীয় বলিলেও অতুক্তি হয় না । zofossin otos Residential System এব প্রচলন-কল্পে আশি প্রদ আয়োজন চলিতেছে । ছা গণেব সহবৎ সম্বন্ধে এইরূপ মন্তব্য কবা হইয়াছে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপোর্টে আছে, ভারতীয় ছাত্রগণের বিরুদ্ধে অবাধ্যতাব দোষারোপ কব যায় না । কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনের ফলে কিছুকাল পূৰ্ব্বে ছাত্রগণের মধ্যে কেহ কেহ ভ্রান্ত ধারণায় বিপথগামী হইয়া পড়িয়ছিল । এই প্রসঙ্গে শাপ লাহেব বলিয়াছেন, “দুর্ভাগ্য ক্রমে ইহার এখনও অস্ত হয় নাই । বঙ্গদেশে কয়েকজন শিক্ষকেব দায়িত্বহীনতা ও রাজদ্রোহ-প্রচাবের অপবাধের কথা ও হুগলি কলেজেব জনৈক প্রোফেসরের উক্ত দোষে বিতাড়িত হওয়ার বিবরণ এই গ্রন্থে প্রদত্ত হইয়াছে। রাজসাহী কলেজ ও মৈমনসিংহের আনন্দমোহন কলেজেও অশান্তিব স্বষ্টি হইয়াছিল। ইহা নিতান্তই দুর্ভাগ্যের কথা, সন্দেহ নাই। শাপ সাহেব ঠিকই বলিয়াছেন, ছাত্ৰগণের সহবৎ ভাল ন হইলে বিজ্ঞান-চর্চার জন্ত প্রচুব লাবোরেটরির স্বষ্টি করিয়াও কোন ফল পাওয়া যাইবে না। শিক্ষার মূলে চবিত্র গঠন । সেই চরিত্র যাহার সুগঠিত না হইল, বৃথাই তাহার জন্ত লাইব্রেরী বা লাবোরেটরির স্বষ্টি ! কিন্তু বস্তুতঃ পক্ষে ইহাতেও আমরা নিরাশ হইব না। তুলনায় মদ ছাত্রের সংখ্যা