পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ ধর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা পূৰ্ব্বক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা & " (These projecting evidently interfered with the fur stumps ther utilization of the site, and as this was almost immediately the strmups appear to have been broken off by the next comers and the ground levelled for further use ) তৎপরে, এইস্থানে গুপ্তরাজগণেব সময়ে ইষ্টকের গৃহ নিৰ্ম্মিত হয় কিন্তু এই শেষোক্ত গৃহ নিৰ্ম্মাণে প্রস্তর ব্যবহৃত হয় নাই । গুপ্তবাজগণের সময়ে এই যে সকল গৃহাদি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহাও অধিক কাল স্থায়ী হয় নাই। কারণ স্বরূপ বলা যাইতে পারে যে, স্তম্ভের নিম্নস্থ কাষ্ঠমঞ্চ গুলি দিন দিন ক্ষয় গ্রাপ্ত হইতেছিল। এদিকে বহুদিন পূৰ্ব্বে যে জলপ্লাবন হইয়াছিল, তাহাতে কাষ্ঠমঞ্চের নিম্নস্থ ভূমিও নরম হইয় পড়িয়াছিল, সুতরাং যে কয়েকটি স্তম্ভ মৃত্তিকাভ্যন্তরে থাকার জন্ত দ গুীয়মানাবস্থায় ছিল, তাহারা অনেক পরিমাণে আশ্রয়হীন হওয়াতে ক্রমে ক্রমে আরও গভীর মৃত্তিকাগর্ভে প্রবেশ করিতে থাকে। এই সকল স্তম্ভের অধোগতির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্তিকাগর্ভে বৃত্তাকার গৰ্ত্ত হইতে থাকে এবং উৰ্দ্ধস্থ প্রস্তরখণ্ড ও ভষ্ম এই সকল গৰ্ত্তগুলি পূর্ণ করে । স্তম্ভের অধোগতির সঙ্গে গুপ্তরাজগণের সময়কার ইষ্টক-গৃহেরও অধোগতি হইতে থাকে। তৎপরে, অনেকদিন আর এস্থানে কোন গৃহাদি নিৰ্ম্মিত হয় নাই। পূৰ্ব্ব প্রবন্ধে আমরা শালকাষ্ঠের মঞ্চগুলির উল্লেখ করিয়াছি । এই মঞ্চগুলি উচ্চে পাটলিপুত্র

פ8פול

৩• x ৬ × ৪২। শাল কাষ্ঠগুলি প্রায় ৩• ফিট দীর্ঘ। আমরা ইণর আলোকচিত্র প্রদান করিলাম। এই প্রকার সাতটা মঞ্চ আবিষ্কৃত হইয়াছে। সম্ভবতঃ, এই বৎসরের খমনে আরও মঞ্চ অবিস্কৃত হইতে পারে। আলোকচিত্র দৃষ্টে প্রতীয়মান হইবে যে এগুলি •বৰ্ত্তমানেও সুন্দর অবস্থায় আছে। এগুলি কি উদ্দেশ্যে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল তাহ অনুধাবন ক বা যায় না, তবে বোধ হয় যে, সুবৃহৎ কয়েকটি স্তন্ত ইহাদের উপবে স্থাপিত করিবার জন্ত এই মঞ্চ গুলি নিৰ্ম্মিত হয় । এগুলি কুড়ি ফিট নীচে অবস্থিত । কেহ কেহ অনুমান করেন যে এগুলি ঘাট নিৰ্ম্মাণের জন্ত ব্যবহৃত হইয়াছিল । এ কাষ্ঠমঞ্চ গুলি বাস্তবিকই অপূৰ্ব্ব। যে একটা স্তম্ভেব চিত্র আমবা পুৰ্ব্বপ্রবন্ধে প্রদান করিয়াছি, তাহ ১৪ ফিট ৩ ইঞ্চি । ইহাব উৰ্দ্ধেব অংশ প। ওয়া যায় নাই । আমরা ইহাব তলদেশের চিত্র প্রদান করিলাম । নিম্নদেশে কতকগুলি চিহ্ন আছে। পার্শিপোলিসে প্রাপ্ত একটা স্তম্ভেব নিম্নদেশেও কতকটা এই প্রকার চিহ্ন পাওয়া গিয়াছে। এতদ্ব্যতীত আরও কয়েকট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দর্শনীয় দ্রব্য আবিষ্কৃত হইয়াছে। একটি ত্রিরত্ন পাওয়া গিয়াছে—ইংার নিম্নদেশে ধৰ্ম্মচক্র রহিয়াছে। ভ, দ এবং ড উৎকীর্ণ একখানি প্রস্তরের ক্ষুদ্র থও পাওয়া গিয়াছে। একটি বোধিসত্ত্ব মূৰ্ত্তির বক্ষস্থলের অংশ পাওয়া গিয়াছে। ইহা “মথুং প্রস্তরে” নিৰ্ম্মিত। এ মুর্কিট যে সুবৃহৎ ছিল তাহ এই ক্ষুদ্রাংশ হইতেই অনুমান করা যায়। একটি বুদ্ধমূৰ্ত্তির মস্তকও পাওয়া গিয়াছে। "