পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৬০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృచీశ్రీ అ “ত তুমি বেশই বলতে পার। এর চেয়ে সুন্দর শিশু আমি কথ•,ও দেখিনি।” “শিশুটকে কোলে নিয়ে আদর করতে, নাচাতে, আমার এমন আমোদ বোধ হত ।” “আমিও তাকে খুব ভালবাসতাম।” “তুমি ত তার নামকরণ করেছিলে ? কি নামটা রেখেছিলে ?” আমার বোধ হইতে লাগিল যেন জমাট বরফ ক্রমেই তরল হইয়া আসিতেছে । শিশুটী ছেলে না মেয়ে তা না জানিয়া কি করিয়া বা একটা কল্পিত নাম বলি। যাহা হউক সৌভাগ্য ক্রমে এমন একটা নাম মনে পড়িল যাহা ছেলে মেয়ে উভয়ের নামেই চলিতে পারে। তাই বলিলাম। “আমি ওর নাম “Frances t” “কোনও আত্মীয়ের নাম অনুসারে বোধ হয় । আচ্ছ, যে শিশুটী মবে গেছে ওব নামও ত তুমিই রেখেছিলে । ওটাকে আমি দেখিনি। ওর কি নাম স্থিব করেছিলে ?” এইবে । এখন কি বলা যায় ! আমার বিষ্ঠায় উভয়লিঙ্গে প্রযুজ্য নামের জ্ঞান ত আর নাই ! যাহা হউক, ভাবিলাম যখন শিশুটী ইহলোকে আর নাই তখন একটা কোনও নাম ব্যবহার করিয়া দেখিতে পারি । বরাতজোরে যদি , বাচিয়াই চাই । এই ভাবিয়া বলিলাম— “আমি সে ছেলেটর নাম রাখিয়াছিলাম থমাস হেনরি ।” রমণী মৃদুস্বরে বলিতে লাগিলেন “তাইত उहेि द कि कtई झम्न !” আমি শুদ্ধ ভাবে বসিয়া রচিলাম। রেখেছিলাম, eाब्रउँौं চৈত্র, ১৩২০ কপাল বহিয়া শীতল ঘাম পড়িতে লাগিল । কি ভয়ানক বিপদেই পড়েছি। তবুও যদি রমণী অন্ত কোনও শিশুর নাম দাবী না করেন তবেই রক্ষা ! এর পর কোথায় ষে আসিয়া বজ্ৰাঘাত পড়িবে তাহাই ভাবিতেছিলাম। রমণী তখনও সেই শিশুটার সম্বন্ধেই মনে মনে আলোচনা করিতেছিলেন । কিন্তু সে কথা না তুলিয়া তিনি বলিলেন— “তুমি সে সময় সেখানে ছিলে না, না হলে তোমাকে দিয়েই আমার ছেলেরও নামকরণ করাইতাম !” “তোমার ছেলে ? সে কি ? তুমি কি বিবাহিত ? “সে তের বৎসরের কথা । এই যে ছেলেটি দেখছ ও আমারই সস্তান। আমার বয়সও ত কম হয় নি! ঝড়ের কথা যে বলছিলাম সেই দিন আমার জন্মদিন ছিল; তখনই আমার বয়স উনিশ হয়েছিল ।” রমণীর বয়স কত তাও ইহাতে ঠিক বুঝা গেল না। কবে যে ঝড় হইয়াছিল তাহাই আমি জানিতাম না । একবার ভাবিলাম বলি “তুমি কিন্তু এতদিনে একটুও বদলাও নি।” কিন্তু কে জানে হয়ত বা অনেক বদলেছেন। আবার ভাবিলাম বলি, “আগের চেয়ে অনেকটা ভাল হয়েছ তুমি!” কিন্তু তাই বা নিঃসন্দেহে কি করিয়া বলা চলে । এইরূপ ভাবিতেছি এমন সময় রমণী বলিলেন,— “সেই সব কথা মনে হলে কতই না আনন্দ হয় । আজ সেই পুরান দিনের কথায় কত মুখ পাওয়া গেল। কেমন তোমার সে কথা আলোচনা করতে বেশ আনন্দ বোধ হচ্ছে না ?”