পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చిdly মতামত প্রদান করার গ্রন্থের মূল্য বৃদ্ধি পাইয়াছে । এই গ্রন্থাবলী শেষ হইলে বঙ্গভgার যে বিশেষ পুষ্টি সাধন হুইবে তাহাষ্ঠে সন্দেহ নাই । শুনিয়া প্রীত হইলাম যে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যানসেলার মহোদয়ের আদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চাশখানি করিয়া এই গ্রন্থাবলী ক্রয়ের আদেশ দিয়াছেন। বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিমাত্রেরই এই গ্রন্থাবলীর গ্রাহক হওয়া উচিত বলিয়া আমরা মনে করি। মাননীয় বিচারপতি ত্রযুক্ত আশুতোব চৌধুরী মহাশয় তৃতীয় খণ্ডের সম্পূর্ণ ব্যযভার বহন করিয়৷ বিদ্যালুরাগিতা ও গুণগ্রাহিতার পরিচয় দিয়াছেন । তজ্জস্য তিনি ধন্যবt-দর পাত্র । Orissa and Her Remains— by Babu Monmohon Ganguli. সে দিন গিয়াছে যে দিন উৎকল দেশের মহী বনের অন্ধকার হইতে উড়িষ্য শিল্পের প্রাচীন কীৰ্ত্তি সকল একটি একটি করিয়া স্বৰ্গীয় রাজেন্দ্রলাল আমদেব জষ্ঠ্য বান্তিব করিতেছেন । উৎকল স্থাপত্যের যে শিল্প রাজেন্দ্রলালকে মুগ্ধ করিয়াছিল, যাহার সন্ধানে চলিয়া তিনি শ্রমকে শ্রম, বাধাকে বাধা বলিয়| জ্ঞান করেন নাই, দুঃগের বিষয সেই শিল্প তাহার পর হইতে এ পর্য্যস্ত আর এ দেশের কাহারও মন তেমন করিয়া যে আকর্ষণ করিয়াছে, তাহtর পরিচয় আমরা পাই নাই। আমাদের মধ্যে অনেকে অনেকবার উড়িষ্য ভ্রমণে গিয়াছি এবং শ্ৰীমন্দির সকলের চুডায় ভারতী চৈত্র, ১৩২• নিজের নিজের কীৰ্ত্তি ধ্বজা উড়াইয়| দিয়া সগৰ্ব্বে বুক ফুলাইয়া ঘরে আসিয়া বসিয়াছি, কিন্তু তাহাতে হইয়াছে এই ষে, না পাইয়াছি নিজের কিছু, না দিয়াছি অন্তকে এমন একটা কিছু যাহা কাযে লাগে। যেখানে শিক্ষার্থির মত নম্রভাবে যাওয়া উচিত ছিল সেখানে আমরা গিয়াছি পাণ্ডিত্যের অভিমান লইয়া স্ফীত বক্ষে এবং ত{হার ফলে হইয়াছে এই যে তর্ক ও মীমাংসাজল দিয়া অমর নিজেকেও ঘিরিয়াছি, পরকেও অভিভূত করিযাছি । সৌভাগ্যের বিষয় আধুনিক ভ্রমণকারিগণের মধ্যে মনোমোহন গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় উড়িষ্য যাত্র-কালে তাহাব পাণ্ডিত্যের পরিপূর্ণ ঝুলিটি সঙ্গে না লইয়া, সরল দৃষ্টি ,সহজ জ্ঞান ও রিক্ত অঞ্জলি লইয়। বাহির হইয়াছিলেন, সুতরাং শিল্প-লক্ষ্মীর অযাচিত দান উপহারই ভাগ্যে পড়িয়ছে এবং তিনি নিজে যাহা পাইয়াছেন তাই উহার এই হবৃহৎ পুস্তকখানিতে সম্পূর্ণরূপে আমাদেব দিতে পারিয়াছেন এবং উtহার পুস্তক এই শ্রেণীর পুস্তকের শীর্ঘ স্থান অধিকার করিবার উপযুক্ত হইয়াছে। দুঃখের বিষয়, নানা কর্য্যে বিব্রত থাকায় মনোমোহন বাবু প্রাচীন শিল্প চর্চর তেমন হযোগ পান নাই, নচেৎ আমরা তাহীর নিকট হইতে এতদিনে আরও অনেক লাভ করিতাম নিঃসন্দেহ । আত্মসমপণ ( হাফেজ হইতে ) বাধিতে অবোধ হিয়| কোথা হতে এলো প্রিয়। তোমার অলকে এত ফাস, তোমার নয়ন-ছায়ে স্বপনের গায়ে গায়ে পরাণ হরিতে করে বাস । তোমার কেশের তলে যুথিকা ফুটিয় উঠে অtীন প্রবালগুলি ও রাঙা অধরে লুটে সুরার উজল তেজ শোণিতে শোণিতে ছুটে মদৗলস তব মৃদুহাস ॥ কে ছিটালে ফুলদল cप्रतेि ठरु स्रक्ष्ल এত কেন আতরের বাস ? তোমার তোরণ তলে মলিন ধূলির মাঝে শ্ৰীঅবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবি শশী শির দুট লুকাক লুটাক লাজে দিবস হউক স্নান, জ্যোছনা সে ম্ৰিয়মান হোক আজি গোলাপ হতাশ । মিছে-অtভরণ ফেলি পিছে আবরণ ঠেলি, কর তমু-তনিমা প্রকাশ । তোমীর গমন পথে পাতি দেই এই হিয়৷ তোমাব চরণ রাগ রুমালে মুছায়ে নিয়া তোমার কপোল কুপে পরীণ সঁপিয়া দিয়া ডুবিয়া মরুক্তর দ্বাদ, যাহা কিছু মোর আছে তোমার পায়ের কাছে সপিয়া বঁচিবে ফেলি’ শ্বাস । - ঐকালিদাস রায়।