পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ক্যাদায় কুমারী মেচলার আত্মাহুতিতে দেশময় একটা হাহাকার পড়িয়া গেছে । এই হাঙ্গ করে যদি সত্যকার হাহাকাব হয় অর্থাৎ যদি কেবলমা এ হুজুগ না হয় তাঙ্গ হইলে ইহা হইতে শুভফল যে ফুলিবে ত{হাতে সন্দেহ নই। যথন একটা বেদন তীব্র হয় যাহাতে দেশের সমস্ত হৃদয় ক্রন্দন করিয়া উঠে তখন সে বেদন কিছুতেই দীর্ঘস্থায়ী হইয়া থাকিতে পারে ন—তাহাব প্রতিকার অবশ্যম্ভাবী । স্নেহলতার পিত মাতা আজ যে শোক পাইয়াছেন তাহা যদি সত্যভাবে আমাদের (দশকে শোকাচ্ছন্ন করিয়া থাকে তাহা হইলে আমরা এখনই জোর করিয়া বলিতে পারি যে শোকের কারণ আর নাই—নইলে আমরা যে তিমিরে সে তিমিরে । এই শোক যেখানে সত্যভাবে গিয়া লাগিয়াছে সেখানে ফুলও ফলিয়াছে— ইহার প্রমাণ আমরা সংবাদপত্রে ইতিমধ্যেই দেখিয়াছি। বিনা পণে দুই একটী বিবাহ इहेझttझ् । কুমারী স্নেহলতার করুণ মৃত্যুঘটনা লইয়া বাংলাদেশের চারিদিকে সভা সমিতি বসিতেছে। স্থানে স্থানে অবিবাহিত যুবকগণের নিকট হইতে এই প্রতিজ্ঞাপত্র স্বাক্ষর করাইয়া লওয়া হইতেছে যে বিনা পণে বিবাহ করিতে হুইবে । এ সমস্ত চেষ্টার উদ্দেগু যে শুভ তাহ বলিতেই হইবে । কিন্তু দেশের সমস্ত অবিবাহিত যুবকের দ্বাৰা এই প্রতিজ্ঞাপত্র স্বাক্ষর করানো কখনো সম্ভব হইবে না এতদূব এবং র্যাহার প্রতিজ্ঞাপত্র স্বাক্ষর করিতেছেন তাহারা সকলেই যে কার্য্যকালে সে প্রতিজ্ঞ রক্ষা করিতে পানি বেন এমন কথা জোর করিয়া দল যায় না । কারণ অনেকবার এমন দেখিয়াছি যে যেমন তাড়াতাড়ি ওভিজ্ঞ কৰা হইয়াছে তেমনি ক্ষিপ্রতার সহিত তাহা ভঙ্গ করাও হইয়াছে। তাহী ছড়ি, দেশের দুর্দশ দূব করা, প্রতিজ্ঞাপত্ৰ স্বাক্ষর করার মতো যদি এত সহজ কাজ হই ত তাই হইলে অব ভাবনা ছিল কি ? দেশের মধ্যে যতরকম দুঃখ দৈন্ত আছে তাহার বিরুদ্ধে একটা করিয়া প্রতিজ্ঞা ফরম ছাপাষ্টয়া ইলেই তো উদ্ধার হইয়া যাইতাম । প্রতিজ্ঞ করাটা তো কিছু নয়—প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিবার বল থাকাই আসল—সেই বল কি আমরা অর্জন করিয়াছি ? আমরা সব জিনিষকে ফাকি দিয়া সহজে এড়াইয়া যাইতে চাই বলিয়া বিপদের মতো ভয়ঙ্কর জিনিষও যখন সম্মুখে আসে তখনও ফাকির পথ খুজি। কিন্তু বিপদ তো কোনো কালেহ ফাকা নয়, কাজেই সে ফাকি মানে না । কিন্তু তবুও একথা বলা যাইতে পাবে যে, র্যাহারা প্রতিজ্ঞাপত্র স্বাক্ষর করিতেছেন তাহারা সকলেই ন পারুন অন্তত কয়েক জনও তো প্রতিজ্ঞাপালন করিবেন । তাহা মনোর ভালো বটে কিন্তু তাহার দ্বারা আমরা এই ঘোর দুর্দশা হইতে যে মুক্তিলাভ করিব একথা স্বীকার করা যায় না । কস্তাদায়ের দায় আমরা যতদিন স্বীকার করিব ততুদিন এ দায় হইতে কাহাবুে সাধ্য