পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty B বলিয়া মনে হইতেছে না । (৩৬) তৌদী এবং (৩৭) ক্রায়মাণ কি, তাহ! জানা যায় না । (৩৮) নারাচী বলিয়া যে বিষাক্ত ওষধির নাম জানা যায়, শরে উহার প্রয়োগ হইত বলিয়াই হয়ত “নারাচ” শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে । (৩৯) পাট— এক প্রকারের জলজ শৈবল বলিয়া মনে হয় । এখনও ঐ নামে শৈবল বা শৈবাল চিনি পরিষ্কারের জন্ত ব্যবহৃত হইয় থাকে। ৪ে০) পূৰ্তীক আমাদের পুই। (৪১) গুগ্রোধ আমাদের বটগাছ ; (৪২) পলাশও আমাদিগের পরিচিত। বেদে যে (৪৩) পিপ্পল শব্দ পাওয়া যায়, তাহার অর্থ ক্ষুদ্র ফল—পিপুল নহে। (৪৪) পীতুদারু অথবা পুতুদ্র হিমালয় জাত সরল বৃক্ষ বা দেবদারু। (৪৫) প্লক্ষ হইল পাকুড়, (৪৬ ও ৪৭) বদর এবং বিল্ব আমাদের পরিচিত । (৪৮) প্রস্থ কোন বৃক্ষ অর্থে ব্যবহৃত বলিয়া মনে হয় না। সায়ণের টীকার অর্থ ধংিলে চার গাছ বা তেউড় প্রভৃতি অর্থ হয়। কথাটিকে ওড়িয়ায় “গজ” বলিতে পারা যায় ; বাঙ্গলtয় কি বলিব ? (৪৯) বাজ সম্ভবতঃ আমাদের এ কালের বচ ; (৫০) বিশ্ব ঠিক্‌ তেলাকুচ বা তিক্তলকুচ বটে, এবং অথৰ্ব্ব বেদের (৫১) ভঙ্গ ঠিক্‌ নেশ করিবার ভাঙ্গ । * (৫২) মঞ্জিষ্ঠা কি, তাহ আমরা জানি। (৫৩) মছুঘ (মধুঘ নহে) কোন মদ্য উৎপাদক বৃক্ষের নাম ছিল । (৫৪) বিষাঙ্ক কি প্রকার বিষাক্ত গtছ, তাহা জানা যায় না । (৫৫) শন আমাদের শণ বা hemp ; কিন্তু

  1. sai's shoot

ভারতী কীৰ্ত্তিক, ১৩২• ( ৬) শফক কি, তাহ ধরিতে পারা গেল না । (৫৭) শালুক ঠিক পদ্মের গাছের অঙ্কুব বা তেউড় । (৮) শমী বৃক্ষের নাম বেদে যে ভাবে পাওয়া যায়, তাহাতে কোন কোন পণ্ডিতfaístě Mimosa Suma «festi বিবেচনা করা যাইতে পারে না। অথৰ্ব্ব বেদে উল্লিখিত আছে যে উহার পাত চওড়া, এবং নিৰ্য্যাস পান করিলে নেশা হয়। ধন্বন্তরীয় নিঘন্টতে আছে যে, উহার রস মাখিলে শৰীরের কেশ-বহুল স্থান সম্পূর্ণরূপে কেশশূন্ত হয়। এই গাছের ডালেই অৰ্জ্জুন র্তাগর গাণ্ডাব বুলাইয়া ছিলেন। (৫৯) শল্মলি (শান্মলী নহে) বা শিম্বল ঠিকৃ আমাদের “শিমূল” বটে। প্রথম নামটিতে অতিরিক্ত আ-কার যোগ হইয়া সংস্কুতে ব্যবহৃত হয়, এবং দ্বিতীয় নামটি হইতেই সাক্ষাৎ সম্বন্ধে আমাদের “শিমুল” শব্দ উৎপন্ন হইয়াছে । বৈদিক যুগে যে সকল বৃক্ষের সহিত পরিচয় ছিল, তাহদের সকলগুলির নামই হয়ত এই প্রবন্ধে উল্লেখ করিতে পারিয়াছি। হয়-ত আবও দুই দশটি নাম পাওয়া যাইতে পারে ; কিন্তু সেগুলির পরিচয় বড় সহজ হইবে মনে হয় না । (৬০) সোমলতার নাম সকলেই শুনিয়াছেন বলিয়া বিশেষভাবে উহার নাম উল্লেখ করি নাই ; কিন্তু উহা যে কি প্রকারের বীরুধ ছিল, তাহ এ পর্য্যন্ত কেহই জানিতে পারেন নাই । উহাকে ঐবিজয়চন্দ্র মজুমদার ।