পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b) ゲ এই কথার প্রসঙ্গে জগদানন্দ বাবু একটা কড়া কথা বলিয়া ফেলিয়ছেন। তিনি বলিয়ছেন "প্রকৃতি যাহাকে নিজের হাতে মূৰ্ত্তিমান করেন, বৈজ্ঞানিক শিল্পীর যন্ত্রের স্পর্শে তাহ কুলী ও ভীষণ হইয় দাড়ায়।” (২৩%) এরূপ একটা কথা একজন কবি বলিতে পারেন কিন্তু জগদ|নল বাবুর স্থায় একজন বৈজ্ঞানিক শিল্পীর নিকট এরূপ কথা শুনিবার অমর আশা করি নাই। প্রকৃতির সহিত সংগ্রাম করিয়াই ত মানুষ বঁচিয়| আছে, প্রকৃতির উপর নিজের প্রভূত্ব সংস্থাপন করিয়াই ত মনুষ্য আজ এত শক্তিমান ও সুসভ্য। বিজ্ঞান প্রকৃতিবিজয় কায্যে মানুষকে সাহায্য করে বলিয়াই ত তাহার এত আদর। বিবাহদি সামাজিক বিধিব্যবস্থা কোনটাই প্রাকৃতিক নিয়ম নহে, সকলগুলিই মানুষ নিজের বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতার সাহায্যে প্রণয়ন করিয়াছে । আর এই বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া লিখিলেই তাহার নাম হইল বিজ্ঞান। তবে আমি এমন কথা বলিতেছি ভারতী কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ না যে বিজ্ঞানে কোনও ভ্রান্তি নাই ; সকলেই জানে মানুষের জ্ঞান সম্পূর্ণ নয়। তাই বলিয়া যেটুকু জ্ঞান আমাদের আছে তাহারও ব্যবহার করিব না । নিৰ্ম্মম অন্ধ প্রকৃতির হস্তে অসহায় বালকের স্তায় আত্মসমর্পণ করিব । যিনি করেন করুন, আমি ত পারিব না । এ পর্য্যন্ত আমার বিবেচনায় যাহা দোষ তাহার উল্লেখ করিলাম কিন্তু পুস্তকখানি এমনি সারবান ও মনোরম হইয়াছে যে গুণের তুলনায় দোষগুলি চন্দ্রের কলঙ্কের দ্যtয় । যাহারা বঙ্গভাষায় বিজ্ঞানালোচনা দেখিতে চান তাহারা সকলেই জগদাননা বাবুকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিবেন সন্দেহ নাই। পাঠক, পূজার বাজারে যখন দুই চারিখান। বাংলা পুস্তক ক্রয় করিবেন তখন একখান বৈজ্ঞানিকীও লইবেন এই অনুরোধ করি। ইহাতে একাধারে আনন্দ ও জ্ঞানলাভ করিতে পরিবেন। ঐসতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি কলেজ বন্দী খ্ৰীযুক্ত সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়, বি, এল প্রণীত ; কান্তিক প্রেসে মুদ্রিত ও ইণ্ডিয়ান পরিশিং হাউস কর্তৃক প্রকাশিত। মূল্য আট আন । আলোচ্য গ্ৰন্থখনি জগতের শ্রেষ্ঠতম ঔপন্যাসিক ভিকৃতর হুগোর গ্রন্থ বিশেষ অবলম্বনে রচিত। "বঙ্গসাহিত্যে এরূপ রচনা নুতন" কি না, সে সংবাদ রাখি না ; তবে গ্রন্থখানি পাঠ করিয়| প্রত্যেক সাহিত্যসেবী যে বিমল আনন্দ লাভ করিবেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । “qääl” zifé[Cğ|-- Eltfi 3[C?* “Urader Semtence of Death" এর গাম্ভীৰ্য্য থাকে না ; মৃত্যুর ভীষণত এবং সেই মৃত্যু প্রকৃতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ মাত্র—এই ডাবের ছায়া “বন্দী" শব্দ মূৰ্ত্তিতে ফুটিয় উঠে না ! তবে “বন্দী" এই শ্রীতি-মধুর ধ্বনিতে একটা কবণ সুর কাদিয় উঠে, এবং তাহ সহজেই প্রাণে গলিয়৷ মিলিয়, মিশিয়া যায় ! রচনাটির বিশেষত্ব ঃ-ইহাতে উপন্যাসের বাহিক সৌষ্ঠবাদির একান্ত অভাব, অথচ অন্তগূঢ় রস ও ভাবের উপাদানে নিতান্তই উপন্যাস ! ইতস্ততঃ নাটকত্বের আভাষ এমন করুণ ও সুকুমার সৌন্দর্য্যের স্বষ্টি করিয়াছে যে তাঁহাতে শিল্পীর চমৎকারিত্বের কল্পনা একেবারে পরিপূর্ণ বিকশিত হইয়া উঠিয়াছে। জীবন্ত নায়ক-নায়িক। ইহাতে অভিনয় করে নাই, প্রেম ও অপ্রেমের জটিল গ্রন্থি-মোচনের চেষ্টlরও একান্ত অভাব ; অথচ ইহার মধ্যে প্রীতি, করণ ও মনুষ্যত্ব : হত্য, অবিশ্বাস, কৰ্ত্তব্য-চু্যতি ও শাঠ্য বিনা-আড়ম্বরে দেখা দিয়৷ গিয়ছে :-প্রতি দিনের পথ চলিতে তাহদের সহিত যেমন দেখা হয় তেমনি বিশেষ করিয়া, গায়ে-পড়িয়া, কোন ভূমিকার মধ্যে, কেহ বিলম্বিত অভিনয়ে পাঠকের চিত্তটিকে ধৈর্য্য চুতির সীমায় টানিয়া লইয়া যায় নাই! প্রয়োজনের অতিরিক্ত অত্যুক্তি বা পৌনঃপুনিক উচ্ছ,সি নাই –উৎকৃষ্ট রচনার ইহাই লুক্ষণ। উপন্যাস ! অথচ পাত্র-পাত্রীর উক্তি-প্রত্যুক্তি নাই! তবে দেখা যুক, উপন্তস নাটক জিনিসটার মুল কি ? প্রেম,