পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

協rも6 সুগভীর প্রভেদ থাকা সত্ত্বেও, ষোড়শ শতাব্দীতে, এসিরিক ও যুরোপীয় সমাজের ক্রমবিকাশ সমস্তেরালরেখা ধরিয়া চলিয়াছিল ; ঐ সময় হইতে, অতীব দুৰ্ব্বলভাবে গঠিত এসিয়িক সভ্যতা, সমাজ-দেহের বিকাশ ষে নিয়মে সচরাচর সংসাধিত হইয়া থাকে, সে নিয়মের অনুসরণ করিতে পারে নাই। তাই, য়ুরোপের সাহায্য গ্রহণ করা আবশুক হইয়াছিল। ফলতঃ যুরোপীয় সভ্যতা, এসিয়িক সভ্যতা হইতে সম্পূর্ণরূপে পৃথক নহে, কেবল ঐ সভ্যতার অপেক্ষাকৃত উন্নত অবস্থ৷ এইমাত্র । যুরোপের যতটা উন্নতি হইয়াছে, সেই পরিমাণ উন্নতি সাধন করিবার জন্ত এসিল্পিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে যে সকল বাধা আছে, কেবল সেই সকল বাধ৷ অপসারিত করাই আবশ্যক। এই সকল বাধা ঘটবার একটিমাত্র কারণ-এসিয়িক জাতিদিগের পরস্পরের মধ্যে বিচ্ছিন্নত । পাশ্চাত্য জাতিদিগের অপেক্ষ এই সকল জাতি যে বিলম্বে অগ্রসর হইতেছে, পরম্পরের সাহায্যের অভাবই তাহার হেতু। এতদিন ধরিয়া যে সাহায্য পায় নাই, সেই সাহায্য উনবিংশতি শতাব্দীতে তাহারা প্রচুররূপে প্রাপ্ত হইল। যে যুরোপ, সভ্যতার প্রাথমিক মূলস্বত্রগুলির জন্ত এসিয়ার নিকট ঋণী, সেই যুরোপ আবার একটি পরিপুষ্ট সভ্যতা এসিয়ার হস্তে আনিয়া দিল । এই আদান প্রধান হইতে ইহাই সপ্রমাণ হয় যে, মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশ যেমন এক, মানবসভ্যতা বস্তুটিও সেইরূপ এক। छांब्रऊँौ পৌষ, ১৩২১ ইতিপূৰ্ব্বে দীর্ঘকাল হইতে এশিয়া যুরোপের প্রভাবাধীন ছিল। এসিয়ার প্রভু ছিল মুসলমান, কিন্তু ভ্রমণকারী ও ঔপনিবেশিক ছিল য়ুরোপীয়। সেই যুরোপীয়দিগের প্রদত্ত শিক্ষা তাহারা ভাল ভাবেই গ্রহণ করিয়াছিল ;–এই শিক্ষার দরুণ তাহাদের প্রতি বিদ্রোহী হইয়৷ উঠে নাই। ভারতে, হিন্দচীনে, চীনে, জাপানে কতকগুলি খৃষ্টান-মণ্ডলী ছিল। বিজ্ঞান শিক্ষা করিবার জন্ত চীনীয়ের ফরাসী জেসুইটুদিগের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করিয়াছিল। জাপানীরাও ওলন্দাজ প্রটেষ্টান্টদিগের বিদ্যালয়ে শিক্ষার জন্ত আসিয়াছিল। ভারতীয় প্রকৃতির ক্রমবিকাশ সাহিত্যের মধ্যে স্পষ্টরূপে প্রকাশ পায়। যদিও গীতগোবিন্দের গ্রন্থকার য়ুরোপ সম্বন্ধে একেবারেই অজ্ঞ ছিলেন, এমন কি, য়ুরোপের নাম পৰ্য্যন্ত জানিতেন না, কিন্তু মুসলমান কবি, মুসলমান লেখকগণ যে ভাষায় কথা কহিতেন, সে ভাষা আমাদের পরিচিত বলিয়া মনে হয় :– খৃষ্টের নাম, হিব্রু প্রফেটদিগের নাম, প্লেটে আরিষ্টটল, আলেকজান্দর ও লীজারের নাম তাহাদের লেখনীমুখে পুনঃপুনঃ বাহির হইয়া থাকে। র্ত্যহাদের বিজ্ঞানই আমাদের বিজ্ঞান, র্তাহীদের দর্শনই আমাদের দর্শন। কেবল ইসলামই ভারতীয় ও যুরোপীয় সভ্যতার মধ্যে মিলন ঘটাইতে সমর্থ হইয়াছে। এই কাৰ্য সাধন করিতে ৮ শতাব্দী লাগিয়াছিল । রামানুজ, কবীর ও নানকের আবির্ভাব ন হইলে অষ্টাদশ শতাব্দীর বড় . একজন ধৰ্ম্মসংস্কারক