পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮৭ বর্ষ, নবম সংখ্যা স্বামীনারায়ণ র্তাহার উপদেশগুলি ব্যক্ত করিতে পারিতেন না । তিনি ইসলামের দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়াছিলেন এবং খৃষ্ট ধৰ্ম্মের কাছাকাছি গিয়াছিলেন । আবার স্বামীনারাণয়ের আবির্ভাব ন হইলে, রামমোহন রায়, মুসলমানদিগের একেশ্বর বাদের উপর, খৃষ্টধর্মের ধৰ্ম্মনীতির উপর, যুরোপীয় দর্শনাদির মূলতত্ত্বের উপর স্বকীয় মতবাদের প্রতিষ্ঠা করিতে পারিতেন না । পবস্তু রামীমুজ হইতে আরম্ভ করিয়া রামমোহন রায় পৰ্য্যস্ত যে ক্রমবিকাশ হইয়াছিল তাহা এত স্বাভাবিক যে যুরোপীয় দিগ বিজয় না হইলেও, রামমোহন রারে মতবাদটি অনিবাৰ্য্যরূপে আবিভূত হইত । সেই চিন্তার উন্নতি এরূপ কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধযুক্ত যে, ভারতবর্ষীয়দিগের চিত্তক্ষেত্রে যে তত্ত্ববীজ প্রথম অপিত হইয়াছিল, মুসলমান ও খৃষ্টানদিগের বিন সাহায্যেও তাহা হইতে সমস্ত ফল উৎপন্ন হইত। যুরোপের প্রভাব যে ধীরে ধীরে এসিয়ার শরীরে অনুপ্রবিষ্ট হইয়াছিল, তাহার কারণ, এসিয়ার অবনতি সত্ত্বেও এসিয়ার ক্রমবিকাশ, যুরোপীয় ক্রমবিকাশের সহিত সমান্তরাল রেথায় চলিয়াছিল । ষোড়শ শতাব্দী ও অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে, যুরোপীয় চিন্তার গতি রূপান্তরিত হইল । পষ্ঠের স্থান অধিকার করিল—গদ্য, অগ্নিময় ভাবোচ্ছাসের স্থান অধিকার করিল,— মূব্যবস্থিত ক্লাসিক রচনা সকল, কল্পনা ও ভাবোন্মত্ততার স্থান অধিকার করিল যুক্তিপ্রধান দর্শন। এইরূপ এসিরিক চিন্তার গতিও রূপান্তরিত হইল। চীনদেশে, এসিন্ধিক ও য়ুরোপীয় সভ্যতা

  • や●

y'angদিগের যুগে পদ্ম, পরে Sung দিগের শাসনকালে, শবাড়ম্বরযুক্ত ও স্বরঞ্জিত গদ্য, মোগলদিগের আমলে আবেগময় নাটক, Mings’দিগের শাসনকালে বণিক প্রভৃতি সাধারণ লোকদিগের সম্বন্ধে আখ্যায়িকা এবং বিশ্বকোষ-ধরণের বৃহৎকায় গ্রন্থ সকল উৎপন্ন হইল। আবার জাপানে, Ashikaga দিগের আমলের গীতিনাট্য ও অষ্টাদশ শতাব্দীর উপদেশগ্ৰন্থাদির মধ্যে এই বৈসাদৃশু আরও বেশী লক্ষিত হয়। চীন ও জাপান উভয় দেশেই নাস্তিকদর্শনের প্রাদুর্ভাব। ভারতেও এইরূপ একটা আন্দোলন লক্ষিত হয়,—তবে প্রভেদ এই, ভারতবাসীদিগের কেজো বুদ্ধি নাই, নিশ্চয়াত্মক প্রত্যক্ষ দৃষ্টি নাই এবং ouralo-altaic stfs-Rzē ffosystą ঔদাসীন্ত নাই। স্বকীয় প্রাচীন পৌত্তলিকতা মুলক বিশ্বব্রহ্মবাদেব স্থানে ভারত একেশ্বরবাদ স্থাপন করিল। অবিরাম সংঘটিত অলৌকিক কাণ্ডেব ধারণাটা অপসারিত করিয়া, স্বষ্টি হইতে স্রষ্টাকে স্পষ্টরূপে পৃথক করিয়া, একেশ্বরবাদ,--প্রাকৃতিক ব্যাপারের অনুশীলন সম্বন্ধে, নির্দিষ্ট সাধারণ জাগতিক নিয়মের সম্বন্ধে, মানব-চেষ্টার ক্রমোন্নতির সম্বন্ধে, অমুকুল মন্ত পোষণ করিয়া থাকে। পক্ষান্তরে, শিক্ষিত লোকদিগের সন্দেহবাদ হইতে স প্রমাণ হয় যে, ভারতবাসীরা নিজেই একেশ্বরবাদের অবনতি ও নিস্ফলতা হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিল । সমস্ত এসিয়ায়, এই যুক্তিবাদঘটিত আন্দোলনের অনুরূপ একটা গণতন্ত্রঘাটত আন্দোলনও উপস্থিত হইয়াছিল। এই