পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা সোসাইটির" সম্পাদকরূপে কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। তাছার ভূবিদ্যা বিষয়ক অনেক প্রবন্ধ এই সভায় পঠিত হইয়াছিল। ১৮৩৯ সালে ২৯এ জানুয়ারী তিনি বিবাহ করেন। বিবাহু করিয়া . প্রায় তিন বৎসর লণ্ডন সহরে বাস করিয়াছিলেন, তাঁহার পর লগুন হইতে ষোল মাইল দূরবর্তী ডাউন নামক একটি নিভৃত ক্ষুদ্র পল্লীগ্রামে বাস করিতে যান। এই স্থানেই তিনি বরাবর ছিলেন এবং তাহার যাবতীয় গবেষণা এই ক্ষুদ্র পল্লীগ্রাম হইতে প্রকাশিত হয়। ডারুইনের সকল গবেষণার পরিচয় এখানে দেওয়া সম্ভবপর নহে; কয়েকটি স্থল বিষয়ের বিবরণ .নিম্নে প্রদত্ত হইল। প্রাচীন ভারতে ক্রমবিবর্তনবাদ ডারইনের ক্রমবিবৰ্ত্তনবাদের পরিচয় দিবীর পূৰ্ব্বে প্রাচীন ভারতের ক্রমবিবৰ্ত্তনবাদের উল্লেখ বোধ হয় অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। এই ক্রমবিবৰ্ত্তনবাদ দার্শনিক অনুমানরূপে প্রাচীন গ্রীস দেশে ও ভারতে প্রচলিত ছিল। এ বিষয়ের সবিশেষ আলোচনার স্থাল এখানে নাই, তবে মনে হয় যে প্রাচীন ভারতে এই ক্রমবিবর্তনবাদ দুইটি অনুমানে বেশ মুস্পষ্ট—প্রথম দশাবতার বাদ, দ্বিতীয় আত্মার পরাবর্তনবাদ (transmigration of soul)1 aề q*fRsf#বাদের মধ্যে ক্রমবিবর্তনের একটা দিক আছে, তাহা অনেকে বড় একটা লক্ষ্য করেন না । এই দশাবতারবাদে বলা হইতেছে যে ভগবান মানবরূপ ধারণ করিবার পূৰ্ব্বে প্রথমে মৎস্ত (জলজ) পরে কুৰ্ম্ম, (জলজ ও ভূচর ) বরাহ, (পণ্ড ) নরসিংহ ( অৰ্দ্ধমানব ), ক্রমশঃ বামন ( ক্ষুদ্রাকার মানব) রূপ ধারণ করিয়াছিলেন। বৈজ্ঞানিক জীবনী ఆళిపి: ক্রমে বামনাকার ছাড়িয়া পরশুরাম অর্থাৎ যুদ্ধোপজীবী আদিম মানুষে (primitive man) পরিণত হন। পূর্ণ মানবধৰ্ম্মাবলম্বী হইতেছেন রামচন্ত্র। ক্রমবিবর্তনবাদ স্বীকার না করিলে এই দশাবতারবাদের প্রচলন ভারতে আদৌ সম্ভবপর হইত না । প্রাচীন ভারতে ক্রমবিবৰ্ত্তনবাদের অস্তিত্বের দ্বিতীয় প্রমাণ—আত্মার পরিভ্রমণ বt জন্মান্তরবাদ। এই জন্মান্তরবাদ ধোনিক্ৰমণবাদে পরিণত হইয়াছিল। এই যোনিত্ৰমণবাদে দেখিতে পাই যে আত্মা মানবদেহে অধিষ্ঠান করিবার পূৰ্ব্বে বহু ধোনি ভ্রমণ করিয়াছে । বহু পুরাণে এই যোনিম্ৰমণবাদ ব্যাখ্যাত হুইয়াছে। বিষ্ণু-পুরাণে আছে : স্থাবরং বিংশতেলক্ষং জলজং নবলক্ষকং। কুৰ্ম্মশ্চ নবলক্ষঞ্চ দশলক্ষংঘ পক্ষিণঃ। ত্রিংশলক্ষ পশুনাঞ্চ চতুলঙ্কং য বানরাঃ। ততো মনুষ্যতাং প্রাপ্য তত কৰ্ম্মানি সাধয়েৎ ॥ মানবজন্ম লাভ করিবার পূৰ্ব্বে প্রথমে স্থাবর (বৃক্ষাদি ), পরে ক্রমশঃ জলজ ( মৎস্তাদি ), কুৰ্ম্ম (জলচর ও স্থলচর ), পক্ষী ও পশু জন্মলাভ করিতে হয়। তৎপরে বানরজন্ম এবং বানরজন্মের পরই মানবজন্ম। এই যোনিম্ৰমণ বাদে প্রথমে বৃক্ষ, ক্রমশঃ জলজ, উভঙ্গ, পক্ষী, পশু, বানর ও সৰ্ব্বশেষে মানবের উৎপত্তির বিষয় লক্ষ্য করিয়া কেহই প্রাচীন ভারতে ক্রমৰিবৰ্ত্তনের অস্তিত্বের উপর সন্দেহ করিতে পরিবেন না। বাস্তবিক ভাবিলে আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতে হয় যে “বানরজাতি মানবজাতির অব্যবহিত আদিপুরুষ - এই আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য বহু প্রাচীন কালে ভারতে দার্শনিক