পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎭᏄᏜ “मांश९ चङ्कनं थशंझ रुब्रिग्न “बरक़?” “প্ৰয়েঠ” করিয়া কত বসাইবার চেষ্টা করিতে লাগিল, হাতী কিছুতেই বসিবে না। আমার আহারের সময় উত্তীর্ণ হইয়া গেল— অপরাহ্ল হইল—তবু মহৎ হাতীকে বসাইতে পারুিল না। আমি ত হাতীর উপর আর তিষ্ঠির থাকিতে পারিতেছি না-মূৰ্ছা যাইবার উপক্রম—তখন আমি "মরিয়া” হইয়া হাতীর লেজের দিক দিয়া লাফাইয়া পড়িলাম। মুখ হস্তীকে 'শিখাইতে গিয়৷ আমিও হস্তীমূৰ্খ বনিয়া গেলাম!” ইহার পর জ্যোতিবাবু হাটখোলায় এক পাটের আড়ৎ খুলিয়াছিলেন। ইহার অংশীদার ছিলেন জ্যোতিবাবুর ভগিনীপতি স্বৰ্গীয় জানকী নাথ ঘোষাল মহাশয় । দুইজনে প্রতিদিন সকালে হাটখোলায় গিয়া আফিস করিতেন ; কিন্তু পাটের বাজার খারাপ হইয়া যাওয়ায় একাৰ্য্য বন্দ করিয়া দিয়াছিলেন। অল্পদিনেই এ ব্যবসায়ে বেশ লাভ হইয়াছিল। এই টাকা লইয়া এর পর জ্যোতিবাবু শিলাইদহে নীলের চাষ আরম্ভ করিয়া দিলেন.। ইতিপূৰ্ব্বে এখানে একসময় অনেক নীলকর সাহেব ছিলেন ও র্ত্যহাদের নীলের চাষও ছিল। এইখানে যে নীলকুঠী ছিল, সেই নীলকুঠাই শেষে ঠাকুর-জমিদারের কাছারীগৃহে পরিণত হয়। সেই নীলকুঠ সংলগ্ন কয়েকখানি ভাঙ্গাচুর হাউজ (vat) খালি পড়িয়াছিল। জ্যোতিবাবু সেইগুলিকেই মেরামত করিয়া কার্য্যোপযোগী করিয়া তুলিয়া কাৰ্য্যারম্ভ করিলেন । এই হাউজে জল আনাইতে পদ্ম হইতে একটি খাল কাটান হইল। জ্যোতিবাৰু ●ाब्रडैौ cशोष, ५७२१ 刺 বলিলেন “তখন বুঝিয়াছিলাম চাষার ভাবনা কত। কখন জল এবং কখন রৌদ্রের জন্ত যে কি আকুল ভাবে আমি প্রতীক্ষা করিতাম, তাহা বর্ণনাতীত,—কিন্তু এটা কবির-দৃষ্টিতে দেখা নয়। তখন ঈপ্সিত সময়ে মেঘ আসিলে মনে হইত একজন প্রাণের বন্ধু আসিয়াছে ; বন্ধুকে দেখার মত আনন্দ পাইতাম। এ আনন্দে কাব্যরসের লেশমাত্র ছিল না। এইরূপে চার পাচ বৎসরেই আমার নীলের চাষে খুব উন্নতি হইল। কিন্তু হঠাৎ নীলের বাজার পড়িয়া গেল । শুনা গেল জাৰ্ম্মানূর রাসায়নিক প্রক্রিয় দ্বারা এক রকম কৃত্রিম নীল প্রস্তুত করিতেছে, কাযেই নীলের বাজার অনেক খারাপ হইয়া গেল । আমিও কাৰ্য উঠাইয়া দিলাম। যাহাই হউক নীলে আমি বেশ লাভ করিয়াছিলাম। এখন এই টাকা লইয়! আমি কি করিব ?—এই চিন্তা তখন আমার মনে খুব প্রবল হইয়৷ ëso ošts on to Exchange Gazetteএ দেখিলাম, একটা জাহাজের খোল নীলামে বিক্রয় হইবে । ভালই হইল, এই খোলটা কিনিয়া একখানা জাহাজ তৈরি করাইয়া জাহাজ চালান যাইবে স্থির করিলাম । “এই সময়ে, আবার কলিকাতা হইতে খুলনা পৰ্য্যন্ত রেল লাইন হইবে, কথা ছিল। তবেই খুলনা হইতে বরিশাল পর্য্যন্ত বেশ জাহাজ চালান’ যাইতে পারে। খোল কেনার পক্ষে এ একটা বেশ স্বযুক্তিও হইল। তৎক্ষণাৎ,—সৌভাগ্য কি হর্ভাগ্য ক্রমে ঠিক বলিতে পারি না-খোল কিনিতে ছুটিলাম ।”