পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b熱* সময় পুলে ধাক্কা লাগিয়া ষ্টিমারখানি গঙ্গ গর্ভে নিমগ্ন হইল ৷ এক জাহাজ মালের এক কণাও উঠিল না। এতদিনে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ একবারে নিরুদ্যম ও হতাশ হুইয়া পড়িলেন । এতদিন তবুও একটা আশা ছিল—আবার জোয়ার আসিবে। কিন্তু এইবার সে আশা একবারে অসম্ভব হইয় দাড়াইল । কাষ উঠাইয়া দিতেই তিনি কৃতসংকল্প হইয়া উঠিলেন । একেত’ প্রতিযোগিতার জন্ত তিনি কিছু দিন হইতেই ক্ষতি স্বীকার করিতেছিলেন, যদি কোনও রূপে টিকিয়া যায় ; কিন্তু এবার এই দুর্ঘটনার জন্ত ক্ষতিপূরণ ব্যাপারেই তিনি অত্যন্ত জেরবার হইয়া পড়িলেন। কিন্তু তবুও তিনি নিজ হইতে এ কাজ উঠান্‌ কিরূপে ? কায বন্ধ করিবেন, মনে মনে এই মতলব ছিল কিন্তু এ ব্যাপার তিনি ঘুণক্ষেরেও কাহার নিকট প্রকাশ করেন নাই। কার্য যেমন চলিতেছিল, পূর্বের মত তেমনিই চলিতে লাগিল । এমন সময় ফ্লোটিলা কোম্পানির পক্ষ হইতে শ্ৰীযুক্ত প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায় ( এখন "রাজা” ) জ্যেতিবাবুর নিকট এক সন্ধির প্রস্তাব লইয়া আসেন। তিনি বলিলেন “উভয় পক্ষেই আর এরূপ বৃথা অর্থব্যয়ে লাভ কি ? আপনি নিজেই একটা মূল্য ধাৰ্য্য করিয়া দিউৰু। ফ্লোটিল কোম্পানি আপনার সমস্ত কারবার কিনিয়া লইতে প্রস্তুত আছে।” জ্যোতিবাবু দেখিলেন যে এ একটা মহা সুযোগ উপস্থিত—এ স্থযোগ ছাড়া একেবারেই উচিত নয়। তখন যেরূপ छांब्रडौ পৌষ, ১৩২১ অবস্থা হইয়া দাড়াইয়াছিল, তাহাতে কোন দিন আপনাআপনিই কাষ গুটাইতে हहेङ, उश्वन श्ब्रङ चोग्न किहू३ °ो७म्न যাইত না। কিন্তু এখন বেশ মানে মানে উদ্দেশু সিদ্ধ হইতে পারে। এইরূপ ভাবিয়া চিন্তিয়া তিনি মগ্নাবশিষ্ট চারিখানি জাহাজ ও সমস্ত ফুেটিল কোম্পানিকেই বিক্রয় করিয়া দিলেন। ফ্লোটিল কোম্পানীর নিকট হইতে অনেক টাকা পাওয়া গেলেও, তাহার সমস্ত দেন। পরিশোধ হইল না । জ্যেতিবাবু বলিলেন, “আমি খুব বিপন্ন হইয়া পড়িয়াছিলাম কিন্তু পালিত মহাশয় ( স্তার টি পালিত ) সমস্ত পাওনাদের ডাকাইয় তাহাদিগকে অনেক বুঝাইয়া মুজাইয়া দিলেন তাহাতে আমার ঋণের বোঝা অনেক হাল্কা হইয়া গেল। ইহার কিছুদিন পরে তিনি নিজে এ ভার গ্রহণ করিয়া এমন একটা বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন যাহাতে আমি একবারেই ঋণমুক্ত হইয়া গেলাম। তিনি এখন দানবীর স্তর তারকনাথ পালিত, তাহার পরিচয় কে ন জানে ? কিন্তু তিনি যে আবার কেমন বন্ধুবৎসল তাহা তাহার এই কাজেই লোকে পরিচয় পাইবে । শুধু আমাকে নয়, এমনি কত লোককে তিনি বিপদ হইতে উদ্ধার করিয়া, র্তাহার "তারক” নামের সার্থকতা সম্পাদন করিয়াছেন । র্তাহার দুই সময়ের দুইটি ছবি আমার মনে অঙ্কিত হইয়া আছে, সেই দুই ছবি তোমার সম্মুখে ধরিলেই এক মুহূর্তেই তাহার প্রকৃত চরিত্র তোমায় হৃদয়ঙ্গম হইবে। প্রথম ছবি ;–আমি তখন