পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বধ, নবম সংখ্যা আমি একলাটি এখানে স্থাপিয়ে উঠি যে, বাবা।” { জ স্কিলে জবাব দিতেন, “কিন্তু তোমার যে যাবার জে নেই, মা । দাদার শরীর সহরে একেবারে ভালো থাকবে না। এ খোলা ফাকা জায়গায় দাদা ভালো থাকে । দাদা ত একলাটি থাকতে পারবে না এই শরীর নিয়ে। তুমি না হলে তাকে দেখবে কে !” “সে কথা ঠিক” বলিয়া মা অন্তমনস্ক ভাবে কি ভাবিতে বসিতেন ! এই দাদা জামুলের বড় ভাই, বংশের বড় ছেলে, মা-বাপের অtশার দীপ, র্তাহীদের গৰ্ব্ব, র্তাহাদের গৌরব । কি না ছিল সে । কত আশা বুকে লইয়া এই কিশোর যুবককে র্তাগরা পারির সমাজে ছাড়িয়৷ দিয়াছিলেন—প্রতিদিন সকালে সন্ধ্যায় তাহারই কুশল মাগিয়া পিতামাতা স্বস্তি বোধ করিতেন—প্রাণের সমস্ত আদর সব ভালবাসা দিয়া এই আশার দীপটিকে তাহারা সাজাইয়া তুলিতেছিলেন, মনে আশা জাগিত, এই দীপটি যখন পূর্ণ তেজে জলিয়া উঠিবে, তখন—! কিন্তু হায়, দশ বৎসর পরে পারি যখন সেই দীপটিকে ভাঙ্গিয়া চুরিয়া জীর্ণ দশায় মায়ের ইতে ফিরাইয় পাঠাইল, তখন তাহার সে দীন মূৰ্ত্তি দেখিয়া মার প্রাণ,—বাপ নাই দিয়া বাচিয়াছে—শিহরিয়া উঠিল। এ কি সেই ছেলে,—সাজাইয়া গুছাইয় প্রাণের ** श्रांरव८१ प्रान कब्रांहेब्रां मांकूरु 'বার জন্ত যাহাকে তাহার সহরে পাঠাইয়াছিলেন । ছ। अङ्गडे !

  1. सांत

ነፃቖ কিন্তু জামুলে তখন টিউনিসে যথের টাকা পাইতে বসিয়াছে, স্বতরাং সেবাশুশ্ৰুষার ঘটায় দীপটিকে খাড়া করা গেল ; কিন্তু দীপ একেবারে এমন অকেজো হইয়া গেল যে তাহকে শুধু আদরের জিনিষ বলিয়া তুলিয়া রাখা চলে, তাহাতে কাজ চলে না । অগত্যা মার কোলেই মন-ভাঙ্গ প্রাণ-ভাঙ্গা ছেলে কোনমতে মাথা গুজিয়া পড়িয়া রহিল। কিছুদিন পরে হাস্থলে পারিতে ফিরিল। মার বড় সাধ, গ্লুটি ছেলেকেই কোলের কাছে রাখিয়া জীবনের শেষে কয়টা দিন কাটাইয়া দেন । কিন্তু দৈব বিরোধী,—র্তাহার সে সাধ পূরিবে কি করিয়া ! প্রথম জীবনটা শুধুইহা অর্থ হা অর্থ করিয়া কাটিয়া গিয়াছে— অর্থ-পিপাসা কোনদিনই তৃপ্ত হইতে পারে নাই—আজ যদি দৈববশে জামলের চেষ্টায় সে পিপাসা মিটিল ত স্নেহের ক্ষুধ সূৰ্ব্বনাশীরূপে জাগিয়া উঠিয়াছে যে ! সে ক্ষুধার নিবৃত্তি করে কে ? জাস্থলে ? কিন্তু পারিতে তাহার অনেক কাজ। সে টাকা লইয়া খুলী নহে—সে মান চায়, যশ চায়, দশজনের একজন হইতে চায়—মামুষের মত মানুষ হইতে চায় ! আহ, তাই হৌক । অন্ধ স্নেহে ছেলের এ সাধে মা হইয়া বাধা দেওয়া উচিত নহে ! একদিন সন্ধ্যায় জামলে হঠাৎ সাতে রুমায় আসিয়া উপস্থিত হইল—সঙ্গে অসংখ্য বন্ধু; কেহ কাউন্ট, কেহ মাকুইস, কেহ আর কিছু; সকলেই সন্ত্রান্ত। দুইখান ব্রেকে করিয়া মালপত্র আসিয়া ষ্টেশনের প্লাটফৰ্ম্ম জুড়িয়া দিল। জাস্থলের মা এই বন্ধু সমারোহ দেখিয় বিশ্বরে অবাক হইয়া গেলেন।