পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**२७ সাধারণতঃ গ্যাসূ-বেলুনটাকে আকৃতিতে বিশাল করিতে হয়। আবার বেলুনের আকৃতি যত বড় হুইবে বায়ু ভেদ করিয়া ইহাকে পরিচালিত করিতে মোটরের তত : অধিক শক্তির প্রয়োজন হইবে। গ্যাস বেলুমের কেবল উত্তোলন ক্ষমতা আছে কিন্তু পরিচালন ক্ষমতা নাই। ইত্যাদি কারণে এয়ারদিপ সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর, কর বড় কঠিন । “জেপলিন” গুলি ৪/৫ টন বিস্ফোরক পদার্থ বহন করিতে পারে। ‘এরোপ্লেন গুলির একটা সুবিধা এই যে ইহাদিগকে উত্তোলন করিবার জন্য কোনও গ্যাসের প্রয়োজন হয় না। "এরোপ্লেনে যে মোটর শক্তি সংযোজিত হয় তাহীদেরই এরূপ বেগে "এরোপ্লেনকে ছুটাইবার শক্তি থাকা প্রয়োজন ঘাঁহাতে পাখার নীচে বায়ুর যথেষ্ট পরিমাণ চাপের জোরে—ইহার শূন্যে উডউীন হইতে পারে। বাধাপ্রাপ্ত বায়ুরাশি "এরোপ্লেনের" পাখার নীচে বেগে প্রতিহত হয়—তাহীতেই "এরোপ্লেন” শূন্যে উডউন থাকে। (৬) শূন্তে থাকিতে হইলে এরোপ্লেনকে ক্ৰমাগত ছুটিতে হয়—নতুবা পরিচালন শক্তি বন্ধ করিলে ইহার প্রস্তর খণ্ডেরই মত বেগে ভূমিতে পতিত হইবে। এ বিষয়ে "এয়ারসিপের” খুব সুবিধা। ইহার একস্থানে থামিয়া দাড়াইতে পারে। "এরোপ্লেনের" মত মোটার শক্তির সহিত ইহাদের শূন্তে উডট্রন থাকিবার কোনও সম্বন্ধ নাই। "এরোপ্লেন” আকারে অনেক ছোট । ইহাদের নিৰ্ম্মণ ব্যয়ও অনেক অল্প। একটা "এয়ারসিপ” নিৰ্ম্মাণে যে ব্যয় হয় তাহাতে ৩৫টা এরোপ্লেন নির্মিত হইতে পারে। ‘এরোপ্লেন গুলি বায়ু অপেক্ষা ভারী। এ গুলি পেট্রোল ইঞ্জিনে পরিচালিত হইয়া থাকে। ভারবহন ক্ষমতা অল্প হইলেও—“এরোপ্লেনের" কতকগুলি বিশেষ সুবিধাও अांप्छ । - डोब्रउँो মাঘ, ১৩২১ "সিপ্লেন" বা "হাইড়ে -এরোপ্লেন” জল হইতে भूछ छैटैरङ धरः- भूश्च इईण्ड छप्ल नाभिएड পারে। কিন্তু "এরোপ্লেন" কেবল সমতল ভূমিতেই উঠা নমা করিতে পারে। অন্যান্য বিষয়ে “সপ্লেন” “এরোপ্লেনে” কোনো বিশেষ পার্থক্য নাই । ইংরেজদের বড় বড় যুদ্ধ জাহাজে “সিপ্লেন" থাকে। যে কোনও মুহূর্তে ইহারা জল হইতেই শূন্যে উডউীন হইতে পারে এবং আবশ্যক মত জলেই অবতরণ করে। "এরোপ্লেনে” এবং "হাইডে - রোপ্লেনে” সার্চ লাইটেরও বন্দোবস্ত রহিয়াছে তাহার সাহায্যে রাত্রির অন্ধকারেও উহারা নিৰ্দ্ধারিত স্থানে অবতরণ করিতে পারে। কিন্তু “এয়ারসিপের” পক্ষে রাত্রে অবতরণ করিবার কল্পনা নিশ্চিত মৃত্যুরই পূৰ্ব্বাভাস মাত্র। ( R ) বিমানবিহারীর অতি বিচক্ষণ হওয়া দরকার। তাহীদের যেমন কঠিন দায়ীত্ব তেমনি বিপদও তাহাদের অসংখ্য। প্রাণের মায়া সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করিয়া বিমানবিহারীকে আকাশে উড়িতে হয়। প্রতি মুহূৰ্ত্তে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিবার জন্য প্রস্তুত থাকিতে হয়। এই কঠোর কৰ্ত্তব্যভার ন্যস্ত করিবার পূৰ্ব্বে বিমানচারদিগকে বিশেষভাবে শিক্ষাপ্রদান করা হইয়া থাকে। শূন্য হইতে শত্রুসৈন্যের গতিবিধি এবং অবস্থান নিরূপণ—বিমানবিহারীর একটা অতি মূল্যবান কাৰ্য্য। কিন্তু এই প্রকার সংবাদ ঠিকমত সংগ্ৰহ করিতে হইলে বিমানবিহারীর বহু উচ্চ হইতে নিম্নের সমস্ত জিনিস অভ্রান্তরূপে পৰ্য্যবেক্ষণ করিবার প্রকৃষ্ট শক্তি থাকা আবশ্যক। উপর হইতে বিন্দু কিম্ব রেখাবৎ প্রতীয়মান হওয়া সত্বেও বিমানবিহারীকে প্রত্যেকটা নদী, রাস্তl, রেলেীয়ে, বড় বড় বাড়ী এই সমস্তই চিনিতে হইবে। অভিযানকারী বিভিন্ন সৈন্যবাহিনীকেও উপর হইতেই ঠিক মত চিনতে হইবে ; যাহাতে বিমানবিহারী (১) পৰা যন্ত্রের দুইদিকে দুইটাও থাকে-আবার দুইস্তরে একটার উপর অন্য একটা এরূপ ভাবেও থাকে। প্রথমোক্ত গুলিকে "মনোপ্লেন” (mono plane) এবং শেষোক্ত গুলিকে "রাইপ্লেন" (Biplane) কহে ]