পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮৭ বর্ষ, দশম সংখ্যা nকধের সাহায্যে অনেকটা বিদূরিত হইতেছে। এতদ্ব্যতীত খুটনাট সংবাদ সংগ্ৰহ করিতে হইলে বিমানদূতকে অনেক সময় শক্রর গোলার মুখে অপেক্ষাকৃত নিম্ন স্থান পৰ্য্যন্তও অবতরণ করিয়া উড়িয়া বেড়াইতে হয়। একবার সংবাদ লাভ করিতে পরিলেই তাহীর তৎক্ষণাৎ কামানের মুখ হইতে সরিয়া অনেক উপরে উডউীন হয় এবং মেঘের আড়ালে লুক্কায়িত হইয়া সকলের অলক্ষ্যে থাকিয়া পলায়ন করে। বিমানবিহারী দিগকে শত্রুসৈন্যের উপর অবস্থানপূৰ্ব্বক খুটনাটা বিষয়ের সংবাদ কি কৌশলে সংগ্ৰহ করিতে হয় এবং সে সকল বিবরণ কি করিয়৷ লিপিবদ্ধ ও অঙ্কিত করিতে হয় তাহীও শিক্ষ দেওয়া হইয়া থাকে। দিবীরীত্রি অসংখ্য বিমানবিহারী এই প্রকার কাৰ্য্যে ব্যাপৃত থাকে। একজনের সংবাদ সংগ্রহে ভুল থাকিলে অন্যের বর্ণন হইতে তাহা ধরা পড়ে । e সংবাদ অনিয়নের ক্ষিপ্রতীর উপর এই সকল সংবাদের মূল্য নির্ভর করে। ইংরেজরাজের অধিকাংশ “সিপ্লেনেই” ভারশূন্য টেলিগ্রাফের বন্দোবস্ত আছে। কিন্তু কোনো "এরোপ্লেনে” বা ‘এয়ারসিপে" এরূপ বন্দোবস্ত নাই। তবু "এরোপ্লেনে"র প্রচলন হওয়ায় শত্ৰুসৈন্যের অবস্থান এবং গতিবিধির খাট সংবাদ অল্পধিক ৩• ঘণ্টার ভিতর প্রাপ্ত হওয়ার সুযোগ সৈন্তাধ্যক্ষ গণ লাভ করিয়াছেন । "এরোপ্লেনের” সংবাদদাতার চক্ষু এড়াইবার এক মাত্র উপায় বনমধ্যে লুক্কায়িত অবস্থায় অভিযান কর । কিন্তু বর্তমান যুদ্ধে এরূপ লুক্কায়িত থাকিয়া অগ্রসর ইওয়ারও স্ববিধা নাই কেননা বিমানচারিগণ সৰ্ব্বদাই আকাশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। যে মুহূৰ্ত্তে শক্ৰ সৈন্য বনান্তরাল পরিত্যাগ করিবে—সেই মুহূৰ্বেই কোনো না কোনে "এরোপ্লেনের" সংবাদদাতার টেপে উহাদের পড়িতেই হইবে। রাত্রিকালে "এরোপ্লেনের" আকাশ বিচরণ এক* অসম্ভব ছিল । ইংলণ্ড ইত্যাদি স্থানে রাত্রি পিও অভ্যাস করা হইতেছে।. এবিষয়ে কিন্তু "3 गर्रात्र श्लङ्ग बन्नोक्स्त्र श्ञ नाइँ । शूरु cदांमषांन సిరి). विभांनदिशंद्रौद्ग मरठांशtथनृ१कtन्न भांtरुं भीएषु रुउकश्वणि थएल (bag) बादशग्न कब्रिग्न थोप्क । স্ববিধ অনুযায়ী এই থলেগুলিতে লিপিবদ্ধ পৰ্য্যবেক্ষণ বিবরণ এবং শত্রুসৈন্যের অবস্থান-চিত্র ভরিয়া সেগুলিকে মিত্র সৈন্যের উপর নিক্ষেপ করে। একস্থানে স্থায়ী জিনিস (এয়ারসিপের আশ্রয় গৃহ, শক্রশিবির, যুদ্ধ জাহাজ ইত্যাদি ) ধ্বংস করিতে হইলে বোমা কিম্বা বায়ু টৰ্পেডো (air torpedo) ব্যবহৃত হইয়া থাকে। হাতে বোমা নিক্ষেপ করা কোনো কৰ্ম্মেরই নয় তাই বোমা নিক্ষেপের পৃথক সরঞ্জাম প্রত্যেক “এরোপ্লেন” “এয়ারসিপ ইত্যাদিতেই সংযুক্ত থাকে। সাধারণতঃ ১ ডজন বোমা স্তরে স্তরে সাজান থাকে। এক একটী আন্দাজ ১০পাউণ্ড ওজনে এবং ২ পাউণ্ড পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থে নিৰ্ম্মিত হয়। যখন নিশ্চিতরূপে কোনও জাহাজ বা "এয়ারসিপ সেড" (air ship shed) ইত্যাদি গোল বর্ষণে বিধ্বস্ত করিতে হয় তখন ঐ এক ডজন বোমা এক সঙ্গে ২১ সেকেণ্ডের ভিতর নিক্ষিপ্ত হইয়া থাকে। বোমার বিস্ফোরণে নিয়ে ৬•• ফিট বিস্তৃত ভূমি পৰ্য্যন্ত বিধ্বস্ত হইতে পারে। - শক্ৰকে ঠিক মত লক্ষ্য করিবারও পৃথক যন্ত্র আছে। উহার ভিতর দিয়া চাহিলেই ঠিক মত লক্ষ্য সন্ধান করা যায়। কতকগুলি চিত্র অাছে তাহার প্রতি দৃষ্টপাত করিলে সহজেই শত্রুসৈন্য কত নিয়ে অবস্থিত, লক্ষ্য স্থির করিবার কতক্ষণ পরে বোমু নিক্ষেপ করিলে সেই গতিশীল "এরোপ্লেন” इड्रेड নিক্ষিপ্ত বোমা লক্ষ্যসামগ্ৰী ঠিক আঘাত করিবে ইত্যাদি অতি সহজে জ্ঞাত হওয়া যায়। এইরূপ বোমা নিক্ষেপে শত্রুসৈন্যের প্রভূত ক্ষতি সংসাধিত হইতে পারে। নানা প্রকার আশ্চৰ্য্য আশ্চৰ্য্য বোমীও এতদুদেখে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই সকল বোমার অসাধারণ শক্তির কথা ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয় । জাৰ্ম্মেনীতে ক্রপের কারখাপীয় (Krupp gunfactory) arā" cital নিৰ্ম্মিত হইয়াছে— এগুলি শুন্য হইতে নিক্ষিপ্ত হওয়া মাত্রই এক