পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, দশম সংখ্যা ७८खर्ग हिलूब-cव-ब्र उाहे श्रांश्शन अभिांब्र ভালবাসত, আমায় এ টাকা করবার সে মুযোগ দিয়েছিল মাত্র, এই যা ; '4 cद-७ cशोक भन्म झिण न, किस्त्र थै হেমারলিঙের দল আমার নামে লাগিয়ে ভাঙ্গিয়ে তার মন বিষিয়ে দিয়েছে । তাদেরই পরামর্শে আমার টাকা সে অাজ উড়িয়ে দিতে চায়—উড়িয়ে দিয়ে উণ্টে দাবী করে । তার উপর টিউনিসে আমার যথাসৰ্ব্বস্ব—আমার কারবার, আমার জাহাজ, আমার বাড়ী, জমি, টাকাকড়ি সমস্ত ফাকি দিয়ে সে নিতে চায়। নেওয়া সাজেও-নিলেই হল । কে তার বিচার করবে ? আমার হকের টাকা, বিচারে কে জামায় পাইয়ে দেবে । যে বিচার করবে, সে বে'র মাইনে খায়—সে বের মুখের দিকেই চেয়ে আছে,—কাজেই বিচারের কোন আশা নেই। কিন্তু যদি এই ডেপুট গিরিটা বরাতে মিলে যায়—তাহলে আমার কোন ভয় নেই —কোন ভাবনা নেই। কলিকার ডেপুটি, ফ্রান্সের শাসন-সভার সদস্ত জানুলের জিনিযে হাত দিতে বে’র সামর্থ্যও থাকবে না । বুঝলে—না হলে সৰ্ব্বনাশ—আমায় পথের ভিখিরী হয়ে পথে দাড়াতে হবে । তার মানে কি, জানে ? আমি মরব ! “এখন ত সব শুনলে পল—এখন বল—এ শুনেও তুমি আমায় ছেড়ে যেতে চাও? আমার কেউ নেই—বন্ধু বল, সহায় বল, আমার কেউ নেই। আমার স্ত্রী ? সে কি মানুষ । তাহলে ভাবনা কি ছিল । ছেলেরা—? তারা ত মাটির ঢেলা। তবে আমার মা— কিন্তু সেই মু আমার ধনে আছেন, তা-ছাড়া নানান দুঃখ-শোকে ञदांव রোজগার . • స్టెరిగి তিনি জর্জর হয়ে পড়েছেন, বুড়ো হয়েছেনএই মা—আর তুমি। পল, তুমি আর মা ছাড়া আমার এমন কেউ নেই যে আমার পানে চায়, দুটো পরামর্শ দেয় । এ দুঃসময়ে তুমি আমায় ছেড়ে যেও না । ক্লাবে, থিয়েটারে যেখানেই আমি যাই, সেখানেই দেখি, একটা চক্রান্তের ঢেউ চলেছে—হিংসের ছুরি ঝিকৃঝিক করছে—হেমারলিঙের দল সাপের মত ফণা তুলে গর্জে বেড়াচ্ছে, চারিধারে বিপদ। এ বিপুদে তুমি চলে যেয়ে না।” নবাবের স্বর গাঢ় হইয়া আসিল । কাশিয়া নবাব আবার কছিলেন, “এই দেখ–ফেলিসিয়া। সে আমার মূৰ্ত্তি গড়ছিল, এক্সিবিশনে দেবার জন্ত--যেই তার সময় এগিয়ে এল, অমনি সে বললে, কোন- বিশেষ কারণে মূৰ্ত্তি শেষ হয়ে উঠল না, কাজেই এক্সিবিশনে দেওয়া গেল না । আমি কোন কথা বলিনি—ভাবেও দেখালুম, তার কথায় আমি বিশ্বাস করেছি। কিন্তু এ কি বিশ্বাস করবার মত কথা ! আমি জানি, এ কারণ আর কিছু নয়—এও পারির সছরে চাল, পারির ফন্দী । চারিধারেই আমি দেখছি, নিরাশ । আজ যদি সালোয় আমার মুক্তি ঠাই পেত— সে মূৰ্ত্তি আবার ফেলিম্বিয়ার হাতে গড়, তাহলে আমার কম লাভ হত । কিন্তু তা হবে কেন—? আমার বরাত ! যেটাকে আমি সহায় বলে অবলম্বন করছি, সেইটেই যুন-ধরা ঘুটির মত ভেঙ্গে খসে পড়ছে । পল, তুমিই এখন আমার একমাত্র ভরসা। আমায় এ বিপদে ফেলে এখন তুমি চলে যেয়ে না।” ( ক্রমশঃ ) ভ্রীসৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়।