পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38. ও গালিচা—এই সমস্ত শ্রমশিল্পে উহাদের খুব শ্ৰীবৃদ্ধি হইয়াছিল। లిరి হইতে ১৬৬৯ খৃষ্টা--এই কালের মধ্যে ওলন্দাজের, গোয় ছাড়া পোর্ট্যেগীদিগের প্রায় অধিকৃত রাজ্য তাহার কাড়িয়া লইয়ছিল। সেই অবধি, উত্তমাশা-অন্তরীপ,— যুরোপের যাত্রাপথকে ওলন্দাজদিগের আয়ত্ত্বাধীন করিয়! দিল ; আবার মলাক্কা,— চরমপ্রাস্তবর্তী এসিয়ার পথ উহাদের দখলে আনিয়া দিল। উহাদের রাষ্ট্রনীতি বণিকের রাষ্ট্রনীতি ছিল। সমস্ত প্রতিযোগিতা অপসারিত করিবার চেষ্টায় ব্যাপৃত-উছার প্রতিদ্বন্দীদিগকে বিনষ্ট করিবার জন্ত কোন উপায় অবলম্বন করিতে পরায়ুথ ছিল না। উছারা ধন সম্পদ উপভোগ করিতেই ব্যস্ত সুতরাং উহাদের দেশবিজয়ের চেষ্ট্র ছিল না। উহার দেশীয় রাজাদিগের আশ্রয় লাভ করিতেই ভালবাসিত। উহার যতদূর পারিত দেশের ধন শোষণ করিয়া দেশীয় লোকদিগকে কুলি মজুরে পরিণত করিত। Guexএর যুদ্ধসময়ে ওলন্দাজের যে সকল গুণ অর্জন করিয়াছিল, সমৃদ্ধি ঐ সকল গুণ ওলন্দাজদিগের নিকট হইতে অপহরণ করিল। ক্রমওএলের অধীনে ইংরাজদিগের সামুদ্রিক প্রভুত্ব যে সময় পরিপুষ্ট হইতেছিল, যে সময়ে চতুর্দশ লুই-র যুদ্ধবিগ্রহ চলিতেছিল, সেই সময়েই ওলন্দাজদিগের প্রভুত্বের অবসান হয় । লেীণ্ডের দ্বীপপুঞ্জ ছাড়া, এলিয়ার সমস্ত উপনিবেশগুলি হলণ্ডের হস্তচু্যত হইল। - . छांब्राऊँौ এসিয়ার সমস্ত মাম্ব, }\రీశి, প্রাচীন পোর্টগ নগরগুলি, বড় বড়: নামজাদা মেটে-ফিরিঙ্গি অধিবাসী লইয়া, গির্জাগুলিকে বহুমূল্য ভূষণে বিভূষিত করিয়া, পোটুগী-মৰ্ম্মভাব কতকটা বজায় রাখিয়াছিল, কিন্তু ওলন্দাজের ভারতে সেরূপ কোন কীৰ্ত্তি রাখিয়া যাইতে পারে নাই—কেবল কতকগুলি ক্ষুদ্র বন্দরে কতকগুলি পুরাতন গৃহ রাখিয়া গিয়াছে মাত্র। আবার সে বন্দর গুলিও এখন প্রায় পরিত্যক্ত । 喙 事 彎 অবশেষে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমাৰ্দ্ধভাগে, ইংরাজ ও ফরাসী—ইহাদেরই মধ্যে প্রাধান্ত লইয়া বিবাদ চলিতে লাগিল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রয়োজন, এই দুই জাতির রাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন গতি নির্দেশ করিল। ফ্রান্স-দেশের ব্যক্তিগত আরম্ভিক উদ্যোগ আদেী ছিল না। রাজমন্ত্রিগণ প্রাচ্য সাম্রাজ্য স্থাপন-কল্পনায় বাণিজ্যের কোম্পানী স্থাপন করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহার যুরোপে ফরাণী প্রাধান্ত রক্ষা করিবার জন্ত এরূপ ব্যস্ত ছিলেন যে, ভারতীয় ব্যাপারে বহুকাল ধরিয়া মনোনিবেশ করিতে পারিলেন ; না। তাহার পর Lawএর হঠাৎ নানা প্রকার খামখেয়ালী মৎলবের আবির্ভাব হইল ; অভিজাতবর্গ, বেঙ্ক-কৰ্ত্তা, সওদাগর, এমন কি শ্রমজীবিরা পৰ্য্যন্ত সকলেরই বিশ্বাস জন্মিল,—এসিয়া পরমাশ্চৰ্য্য অদ্ভুত ব্যাপারের লীলাভূমি, এবং কতকগুলি ভারতীয় বাণিজ্যকোম্পানী স্থাপন করিলেই তাহারা অচিরাং ধনশালী হইয় উঠবে। কিন্তু তার পরেই