পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, দশম সংখ্যা বাবুর এ সাধ আর পূর্ণ হইল না, এজন্ত তিনি এখনও দুঃখ করেন। জ্যোতিবাবুর সঙ্গীতপ্রিয়তা, Phrenology ও ছবি অঁাকাকে লক্ষ্য করিয়া দ্বিজেন্দ্র বাবু একটি কবিতা রচনা করিয়ীছিলেন, তাছা হইতে একটু উদ্ধৃত করিয়া দিলাম ( কবিতাটি অপ্রকাশিত ) – “বেয়াল কি মিঠে অমৃতের ছিঠে ঐ হাত টিতে শুনায়, পিয়ানো ঢং ঢং সেতার গুনগুনায়। মাথার তত্ত্ব খুজি, পুথি করেন পুজি, মাথা পেলে আর কিছু চান না। ল’ন যবে ছবি মনে ভাবে কবি

  • হইয়াছে, থামো—আন্না, চক্ষে আসিয়াছে মোর কাল্লা !”

ঢ ঢং টং, জ্যোতিবাবু বলেন, অতিলৌকিক রহস্তব্যাপার জানিবার জন্ত র্তাহার বড়ই কৌতুহল হইত। কোথাও প্রসিদ্ধ গণৎকার বা ভবিষ্যদবক্তা আছে শুনিলেই তিনি বন্ধু বান্ধব সহ সেইখানে যাইতেন। কিন্তু প্রায়ই তাঁহাদের গণনার নিষ্কলতা দেখিয়া নিরাশ হইতেন। কোষ্ঠীর ফলাফলেও তিনি বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারেন নাই । তিনি বলেন, এ সমস্ত ব্যাপার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসারে পরীক্ষিত হওয়া উচিত। তবে "প্ল্যাঞ্চেটের” কাও দেখিয়৷ তিনি কখনকখনও খুবই আশ্চৰ্য্য বোধ করিয়াছেন। একবার তাহার গুণুদাদা এবং উরি ভগিনীপতি যদুনাথ কর্তৃক ধৃত প্ল্যানচেট*ईफशत्रु ऐक गान মুখুয্যের প্রেতাত্মা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি ఫిeడ আবিভূর্ত হইল। কৈলাস মুখুয্যে বাড়ীর একজন পুরাতন কৰ্ম্মচারী। লোকটি খুব মজলিসী ও স্বরসিক ছিল। তাছার প্রেতাত্মাকে পরলোকের কথা জিজ্ঞাসা করায় বলিল ?—“আমি কত কষ্ট করিয়া, মরিয়া যাহা জানিয়াছি, আপনার মা भबिब्राहे उ छानैिण्ड চান ? আপনার ত বড় মজার লোক দেখছি " তার পর অনেক পীড়াপীড়ি করায় সে পরলোক সম্বন্ধে যে দুই চারিটি কথা বলিয়াছিল, তা তোমাকে বলিতেছি ঃ “আপনারা যাহাকে “ইস্ফীয়:র* sphere বলেন, মৃতের মৃত্যুর পর সেইরূপ এক এক ইস্ফীয়ারে গমন করে।”

  • সকলেরই এক যাত্র-পথ।” *প্রথমে কিছুকাল নিদ্রাবস্থায় থাকে।” “এখানে মশায়, আর যাই হোক, পেটের জালা নাই।” ।

যে ঘরে এই সব কাণ্ড হইতেছিল, সেই ঘরে একটা দরকারী কাগজ খোজ করিয়া পাওয়া যাইতেছিল না। কৈলাস মুখুয্যের প্রেতাত্মার কথা অনুসারে সেই কাগজ একজন জলের pipe-ওয়ালার নিকটে পাওয়া যায়। সে ভুলক্রমে তাহার bill-প্রভৃতির সহিত সেই কাগজ লইয়। গিয়াছিল। ইহার পর জ্যোক্তিবাবু পুনরায় সঙ্গীতে মনোনিবেশ করেন । সহজ ও সরল প্রণালীতে কিরূপে গানের স্বরলিপি হইতে পারে এই দিকে তাহার দৃষ্টি আকৃষ্ট হইয়াছিল। এইজন্য প্রথম প্রথম “ভারতী’তে জ্যোতিবাবু সংখ্যামাজিক স্বরলিপি