পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা বিশাখা। যত মূৰ্ত্তি দেখা গেল সব ছোট ছোট, কেবল লালাবাবুর লালাঞ্জি ঠাকুরটি বেশ বড় ; যেন ছোটো একটি ছেলে দাড়িয়ে আছে মনে হয় । আমাদের যেতে একটু বিলম্ব হয়েছিল তখন ঠাকুরের সব ভাল সাজ খুলে তাকে একথানি ধুতি চাদর পরিয়ে শয়ন করাতে নিয়ে যাচ্ছিল, বেশ সুন্দর দেখাচ্ছিল, যেন ছোট একটি ছেলে ধুতি পরে দাড়িয়ে আছে। লেখানকার পূজারী বল্লেন তোমাদের খুব সৌভাগ্য এ রকম শয়নের বেশ দেখলে, এ বেশ সৰ্ব্বদা দেখা যায় না। বৃন্দাবনের নিধুবন এখন আর কুঞ্জবন নেই, এখানে কেবল বানরেরই রাজত্ব। আমরা ছোলা ভাজা নিয়ে তাদের ছড়িয়ে দিতে লাগলেম, তবে তার পথ করে দিলে । নিধুবনে এখন কেবল বড় বড় কতকগুলা গাছ পড়ে আছে ফুল ফল কিছুই নাই ; তার শুকনা পচা পাতাতে বনভূমি আচ্ছন্ন। একটি মন্দিরে দেখলেম রাধিক মান করে আছেন, কৃষ্ণ পায়ে ধরে মান ভঞ্জন, করছেন ; বাইরে ফুটা পচা জলের কুণ্ড রয়েছে । একটা বিশাখা কুণ্ড একটা রাধিক কুণ্ড । রাধিক ও বিশাখীর একদিন রাত্রে জল তৃষ্ণ পাওয়াতে কৃষ্ণকে বললেন আমরা জল খাব বড় তৃষ্ণ পেয়েছে, কৃষ্ণ কি কবেন অত রাত্রিতে জল কোথায় পান তার বঁাশী দিয়ে মাটি খুঁড়ে জল বের করলেন। সে ডোবার জল সবুজ রঙ্গের। সেই পচা জল সকলকে খেতে দিয়ে পাণ্ডারা পয়সা আদায় করে । আমরা খেলেম না, মাথায় ছড়িয়ে দিয়ে পয়সা নিলে । তীর্থ দর্শন $ •Sፃ এখানে ভিখারীর অন্ত নাই চারিদিকে যেন মাছির মত ছেকে ধরে। একস্থানে কৃষ্ণ कॉलिब्रां लभन काङ्गझन । जां८°न्न मांशंग्न क्लश्3 দাড়িয়ে রয়েছেন নাগকস্তারা দু পাশে দাড়িয়ে যোড় হাতে কৃষ্ণের স্তব করছেন। কৃষ্ণের যতরকল্প লীলা আছে সকলেরই মুর্ভি করে রেখেছে। এই সব দেখে আমরা বাড়ী ফিরে এলেম ; কেবল গোকুল আর গিরিগোবৰ্দ্ধনটা দেখা হলো না । হিন্দুধৰ্ম্মের যে কতটা প্রভাব সাধারণ লোকদের মধ্যে এখনও আছে তীর্থ স্থানে গেলে তাহ বেশ বোঝা যায় ; কিন্তু মেয়েদের ভিভর ভক্তির ভাব যেরূপ প্রবল পুরুষদের মধ্যে সে রকমটা নেই। আরতির সময় মেয়েরাই দেখলেম যোড় হাতে দাড়িয়ে আছে, আরতির শেষে ভক্তিভরে গলবস্ত্র হয়ে প্রণাম করছে। বৃন্দাবন মথুরা দেখে আমরা হিন্দুর তীর্থ থেকে একবারে মুসলমানের কীৰ্ত্তিরাজ্য আগ্র অভিমুখে যাত্রা করলেম । তাজ দেখে যে মনে কি রকম ভাব হোল তাহা অবর্ণনীয়। সন্মুখের ফটক থেকে তাজমহল যেন একখানি ছবির মত । দেখলে মুগ্ধ হয়ে যেতে হয় । তাজমহল পৃথিবীর মধ্যে সত্যিই একটা আশ্চৰ্য্য জিনিস। কিন্তু সাজাহান তাজ বিবিকে যে কত ভাল বাসতেন এই তাজে তার যে মূৰ্ত্তিমান নিদর্শন পাওয়া যায় সেইট আরো মুনার । তাজবিবি মৃত্যুর সময় বলেছিলেন আমার গোর যেন চির স্মরণীয় হয় তাই সাজাহান সে আজ্ঞা পালন করে গেছেন। কি রকম পাথরের সব কারুকার্য্য ! পাথর সব এখনও যেন সাদা ধপ ঘপ করছে,—দেখলে মনে