পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مئی. ৬৮শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা কৰ্ম্মচারী, সন্ত্রাস্ত উপাধি-ধারী হইতে আরম্ভ করিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবধি সকলেই মেলায় উপস্থিত। বিবিধ শিল্পীর হাতের তৈয়ারী ছবি ও ধাতুমূৰ্ত্তি স্তরে স্তরে সাজানে রছিয়াছে—কিন্তু সকলের চেয়ে সেরা ইইয়াছে, ফেলিসিয়ার হাতের মুৰ্ত্তিগুলি বিশেষ এই নবাবের মূৰ্ত্তিটি ! কাদার মূৰ্ত্তি—কিন্তু দেখিলে মনে হয়, নবাব নিজেই যেন বসিয়া রহিয়াছে। চোখের উপরকার ভ্রর রেখাটুকু পৰ্য্যস্ত এমন স্বক্ষ, এমন সঠিক ! নবাবের মূৰ্ত্তিটির কাছেই তাই বিশেষ করিয়া এতখানি ভিড় জমিয়াছিল । একদল রক্ষীর অগ্রে টিউনিসের বে আসিয়া মেলায় প্রবেশ করিল। মূৰ্ত্তি-মণ্ডপে চুকিয়াই সন্মুখে সে দেখে, ফেলিসিয়ার হাতে গড়। সেই কুকুর ও শৃগালের মুৰ্ত্তি। চমৎকার। দেখিয়া বের তাক লাগিয়া গেল। মানুষ এমন নিখুতও গড়িতে পারে। আশ্চৰ্য্য ! কুকুরের পায়ের নখটি " হইতে মুখ-চোখের ভাবটুকু অবধি কি পরিপাট । মনে হয়, কুকুরটা যেন ডাকিতেছে—এত নিপুণ হাতের ' টান! বে'র মুখে প্রসন্নতার একটা হাস্ত-রেখা ফুটিয়া উঠিল। শৃগালের পিছনে কুকুরটা ছুটিয়াছে। দেহটাকে দীর্ঘভাবে ছড়াইয়া দিয়া কি অধীর আগ্রহেই কুকুরটা ছুটিয়াছে ! তাহার মুখে চোখে একাগ্রতার রেখাটুকু নিপুণ শিল্পী কি মুন্ধর টানিয়া দিয়াছে। শৃগালও ছুটিস্থাছে—পৃগালের মুখে-চোখে ভয়ের চিহ্নটুকু কি স্পষ্ট, কি দীপ্ত ! মূৰ্ত্তিটির তলে, টিকিট অঁাটা—টিকিটে লেখা আছে “ডিউক দ্য মোরার সম্পত্তি।” এটি ব্রোজের মূৰ্ত্তি । म*ांद ۹وهه و নিকটেই মেলার এক তরুণ কৰ্ম্মচারী मैं|फुहेिझ श्टिणन । ठिनि वाi१j कब्रिब्रां দিলেন, মূৰ্ত্তির বিষয়টি এক প্রাচীন উপকথ। হইতে গৃহীত। হেমারলিঙও বে'র পার্থে দাড়াইয় ছিল । সে কহিল, “এটা ফেলিসিয়ার হাতে গড়া।” “ফেলিসিয় । কে সে ?” , হেমারলিঙ, কহিল, ”একটি স্ত্রীলোক, বয়সও বেশী নয়—” - স্ত্রীলোক ! স্ত্রীলোকের হাতে গড়া এই মূৰ্ত্তি ! বেশ ত! বে'র মুখে একটা আনন্দের দীপ্তি ফুটিয়া উঠিল,—চোখে প্রশংসার বিদ্যুৎ খেলিয়া গেল। স্ত্রীলোকের হাতের তৈয়ারী ! মৃণালের মত কোমল হাত কঠিন ব্রোনজকে এমন বাগ মানাইয়াছে ? চমৎকার ! বে কহিল, “এর তৈয়ারী আর কোন মূৰ্ত্তি আছে ?” তরুণ কৰ্ম্মচারী কহিলেন, “হা—এই লাইনের শেষেই অার একটা আছে। ঐ যে—যেখানটায় ঐ খুব ভিড় জমেছে। দেখতে পাচ্ছেন?” হেমারলিঙের সহিত বে অগ্রসর হইয়া চলিল। কিন্তু আগাইয়া যাহা দেখিল, তাহাতে উভয়েই চমকিয়া উঠিল । নবাব । নবীবের মূৰ্ত্তি—এ * যে একেবারে হুবহু সেই মুখ ! কোন তফাৎ নাই! যেন নবাব, স্বয়ং জীবন্ত নবাব বলিয়া আছে—তাহার ঠোঁটের কোণে সেই হালিটুকুও লাগিয়া আছে। বে যেন জ্ঞান হারাইয়াছিল। সে চীৎকার স্বরে কহিল, “জামুলে ?” একজন কহিল, “হঁ-বাৰ্ণাওঁ জাস্কলেকর্সিকার নতুন ডেপুটি "