পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

في هلا، তারপর সকলেরই চোখে চোখে হালি খেলিয়া গেল । মালতী সমস্তই বুঝিল এবং বুঝিল বলিয়াই দিব্য নিশ্চিন্ত ও স্বাভাবিকভাবে শিশুটির শয়ন ও আহারের ব্যবস্থা করিতে লাগিল । মালতীকে এইরূপে লোকাপবাদের ভয় উপেক্ষা করিতে, দেখিয়া গিরি স্তম্ভিত झुङ्गे| গেলেন। তাহার আর বাক্য নিঃসরণ হইত্ব না। খুড়িমা ভাড়াতাড়ি মালতীকে ঢাকা দিবার জন্ত ধলিলেন—ত ওকে ত এই ধরেই থাকতে হবে, আঁতুড় নিয়ে আর কট ঘর মজাবে। আমি ন হয় ঐ পাশের ঘরে একদিন থাকব। আর দিদি তুমি বলে দিয়ে দাসীদের মধ্যে কেউ একজন এই দালানে শোবে। - গিরি এ কথার কোনোই উত্তর না দিয়া বলিলেন-দেখিগে ঠাকুরের কি হচ্ছে। কাকে দিয়ে তার গতিমুক্তি হবে তাও জানিনে । এই কথা শুনিয়া মালতীর এমন হাসি আসিল যে সে হঠাৎ থোকার প্রতি অভ্যস্ত মনোযোগ দিতে বাধ্য হইল । ঠাকুরের ভাবনা মানুষ ভাবিয়া অস্থির কে তাহার গতিমুক্তি করিবে । গিরি বলিলেন—যা রোহিণী, বেজীকে বলগে ঠাকুরবাড়ীর হারাধন পুজুরীকে ডেকে দেবে। মুখুয্যেমশায় কি গোবৰ্দ্ধন এবাড়ীতে ত আর পা দেবে না। ছিছি! আজিকালকার যেমন সব ছেলেপুলে হয়েছে, বামুন দেবতা মানে না, শাপমন্তির ভয় 'মেই ••• ওলো হাবার মা, উঠনে, বারদরজার কাছে একটা পূর্ণ ঘট, আগুন, লোহা আর ছুটি মটর ডালু রেখে দিগে। ভারতী চৈত্র, ১৩২১ আর বংশীকে বল দুটে নিমপাত এমে দেখে ; বিপিন বাড়ী এলে ঐসব ছয়ে তবে ঘরে উঠবে।•••সে হয়ত ওলব মানবেই না ! তা মাকুক অtর না-মামুক ষা লক্ষণ আমায় তু তা সব করতে হবে। বা বা, কখন সে ছপ করে এসে পড়বে আবার। সমস্ত দিনের বিষম বিক্ষেপের পর বাড়ীতে আবার শান্তি ফিরিয়া আসিল । ঠাকুরঘরে কাসর ঘন্ট বাজিয়া উঠিল। উনন জলিল । ছেলেমেয়েগুলি আহার নিদ্রা জন্য জননীদিগকে জড়াইয়া জড়াইয়া ধরিতে লাগিল, বিনি একবার সমস্ত দিনের পর মার কাছে যাইবার জন্ত কঁাদিতে লাগিল । গিন্নি বলিলেন—থাম, থাম, আমি একবার সব দেখে শুনে আসি, বিপিনের খাবার, ঠাকুরের শেতল তৈরি টৈরি হল কি না। জয় বলিল-কচি মেয়ে ভরসন্ধ্যেবেলা মা ছেড়ে কি থাকে? তুমি একে একটু নেও, আমি ওদিকে, দেখছি। জয়াকে যাইতে দেখিয়া খুড়িমা সঙ্গে সঙ্গে গেলেন। গিল্লি বিনিকে কোলে লইয়া বলিলেন—আমার ত তোমায় কোলে করে. নিয়ে বসে থাকগে চলবে না। চল ঠাকুরঘরের দালানে গিয়ে বসিগে, সকল দিকই দেখতে শুনতে পাব।...মালতী, তুমি একলা থাকতে পারবে ? এই আমরা ত সব কাছাকাছিই থাকব । আজ এই প্রথম একটুখানি সদয় ব্যবহার পাইয়া মালতী যেন কৃতাৰ্থ হইয়া গেল । সে তাড়া তাড়ি বলিল—ত পারল মাসিমা । তখন গিন্নি গিয়া ঠাকুরঘরের দালান । বসিলেন ।