পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 % е е সৰ্ব্বত্রই এই সকল উপকরণ মহাদেবের নিকটে বলিদান প্রদত্ত হইয়! থাকে । সেই অসমতল উচ্চ নীচ পথে গো শকটের মঞ্ছা আন্দোলনের মধ্যে পৰ্ব্বত প্রমাণ উচ্চ তটভূমি হইতে নদীগর্ভে মহাবেগে অবতরণের সময় শাখামৃগের মত ছই ধরিয়া বুলিয়া কোন মতে পতন হইতে আত্মরক্ষা করিতে হইয়াছিল। এই ভাবে প্রায় ৪ মাইল পথ অতিক্রাস্ত হইলে সকলে সোল্লাসে বলিয়া উঠিল “ আমরা আসিয়া পড়িয়াছি ঐ যে ৬/বাবার মন্দির দেখা যায় ।” অবশেষে খরস্রোত ধবলা বা ধবল। নদী পার হইয়া আমরা গন্তব্য স্থানে পৌছিলাম। মন্দিরের নিকটেই আমাদের তাম্বু ফেলা হইয়াছিল । সম্মুথে একটি অনভিবৃহৎ পুষ্করিণী, মন্দিরের অপর পাশ্বে আরও একটি এই প্রকার পুষ্করিণী আছে । কিন্তু বহুকাল সংস্কারাভাবে মজিয়া গিয়াছে। জল একগলা মাত্র । স্থলজ ও জলজ উদ্ভিদ পচিয়া জলকে সবুজবর্ণ ও দুর্গন্ধময় করিয়া ফেলিয়াছে। তথাপি অদ্য সেই পুষ্করিণীর মাহায্যের সীমা নাই, অধিকাংশ লেঞ্চেই তাছাতে স্নান করিয়া একেবারে জলকাদা গোলায় পরিণত করিয়াছে। আমরা গাড়ী হইতে নামিয়া ইপি ছাড়িয়া বাচিলাম, কিন্তু কৌতুহল আমাদের বেশীক্ষণ বিশ্রাম করিতে দিলন, উঠিয়া বস্ত্রাবাসের পাশ্ব হইতে দেখিলাম পশ্চিম ও উত্তর দিকে बडनूम cनषां बां★ cरुदल cशांक नभूझ । “জয় বাবা জল্লেখরের জয় মহাকালের জুয়” এইরূপ শব্দে কান ফাটিয়া যাইবার উপক্রম। छब्रप्डौ চৈত্র, ১৩২১ স্ববৃহৎ মন্দির মধ্য হইতে মুহুর্মুহু ঘণ্টাধ্বনিসহ পূজারী ব্রাহ্মণগণের কণ্ঠ হইতে অবিশ্রান্ত “শিবায় নমঃ শিবায় নমঃ” মন্ত্র খুব গম্ভীরভাবে উচ্চারিত হইতেছিল । আমরা বধ্নাদি পুরিবর্তন করিয়া তখনই পূজা কমিত্তে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় শুনিলাম, এক্ষণে সেখানে ভয়ানক ভীড়। মধ্যরাত্রে ময়না গুড়ির তশীলদার বাবুব ( মেলার ভারপ্রাপ্ত কৰ্ম্মচারী ) স্ত্রীকস্তাগণ পূজা করিতে যাইবেন, তখন সমস্ত জনতা মন্দির হইতে বাহির করিয়া দেওয়া হইবে। অতএব সেই সময় আমাদেরও যাওয়া ঠিক হইল। এতক্ষণ আমরা তাম্বুতে বসিয়া থাকিয়া কি কৰিব বলিয়া নিকটে আর কেনে কিছু দ্রষ্টব্য আছে কিনা জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম যে কিছুদূবে বমুয়া কালী, পাগল কালী ও ধৰ্ম্মপাল মূৰ্ত্তি আছে। আমরা উৎসাহ সহকারে সেই সকল দেখিতে চলিলাম। . মন্দিরের কিছু নিম্নে পূৰ্ব্বদিকে বিস্তৃত মাঠ। বারমাস এই স্থান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঝাউ বৃক্ষটিও কণ্টক গুন্মে আচ্ছন্ন থাকে। মেলার কিছু দিন পূৰ্ব্বে পরিশ্রমী দরিদ্র ব্যক্তিগণ সমবেত হইয়া এই সকল বৃক্ষ গুল্মাদি কাটিয়া শুষ্ক করতঃ আটি বাধিয়া রাখে। মেলায় সমাগন্ত দোকানদার ও যাত্রিবর্গ রন্ধনার্থ এই সকল কাষ্ঠ ক্রয় করিয়া লয় । তাহাতে এইসকল লোকের বিলক্ষণ লাভ হয়। এবং স্থানটিও পরিস্কৃত হইয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বন্ত জস্তুর উপদ্রব হইতে যাত্রীদিগকে রক্ষা করিয়া থাকে । সেই সকল কৰ্ত্তিত বৃক্ষের মূল ও ইতস্ততঃ . নিক্ষিপ্ত , কণ্টকসকল আমাদের