পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২১.djvu/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা মেয়ের বিয়ে দিয়ে আবার এখানে ফিরে অস্ব।” ভৈরবী কিয়ৎক্ষণ বাকুশৃঙ্গ থাকিয়া পরে অঙ্কুট স্বরে জিজ্ঞাসা করিল “কবে সেখানে যাবেন ?” “এই আসচে কাল।” छु) “আমি কি আপনাদের সঙ্গে যেতে পারি ?” “হঁ্য নিশ্চয়ই !” বলিয়া বৃদ্ধ পেস্তানঞ্জী অন্তঃপুরে প্রস্থান করিলেন । চির প্রফুল্ল ভৈরবঞ্জীর মুখ, আজ অস্বাভাবিক গম্ভীর দেখিয়া তাহার চক্ষু জলে ভরিয়া আসিতেছিল। ভৈরবস্ত্রী পথে আসিয়া দাড়াইল । অস্তগামী স্বৰ্য্যের শেষরশ্মিপাতে আকাশ বিচিত্র বর্ণে রঞ্ছিত। বসন্তের সান্ধ্যসমীরণ যু ঠফুলের গন্ধ বহন করিয়া আনিতেছিল। চতুর্দিকে কেবল আনন্দোৎসব। আর যুবক ভৈববীর মনে কিসের এ ঝড় বহিয়াছে ! কি যেন দেখিবার প্রত্যাশায় ভৈরবী জানালার দিকে চাহিল, কিন্তু হায় ! শূন্ত জানালা তাহfর দিকে কঠিন ভালে তাকাষ্টর রহিল। যুবক পথের একধারে বসিয়া পুবানে কথা ভণ্ডুবিতে লাগিল । মন মাতান ফুলের গন্ধে চারিদিক পরিপুরিত ; দুই একটি তার আকাশে ঝিকমিকি করিয়া উঠিল। অন্ধকারে যখন সব আচ্ছন্ন হইল, রাজপথে লোক চলাচল যখন থামিয়া গেল, ভৈরবঙ্গী বাড়ী ফিরিবার মানসে গাত্ৰেtখনি করিল। ( २ ) আঞ্জ পেস্তানজী স্ত্রী-কন্ত্যাদিসহ জামাতার ॐiरम षाझे८दन । अङि थङ्करष बांखाँब মৃত্যু-স্বয়ম্বর b$'): আয়োজন হইতে লাগিল। পথে একটি शूझ ञली *ांब्र झहे८ङ झग्न । ननौछि আকারে ক্ষুদ্র হইলেও উহার জল, অতিশয় চঞ্চল-তরঙ্গমুখে একবার পড়িলে আর রক্ষা নাই । ভৈৰবজীর উজ্জল চক্ষু রুদ্ধ গাম্ভীর্য্যে যেন অধিকতর উজ্জ্বল দেখাইতেছিল। পেস্তানী-গৃহিনী ভৈরবঙ্গীকে দেখিবামাৰু চটয়া উঠিলেন—মুখে কিছু বলিলেন না, কেবল ক্রভঙ্গি করিয়া রহিলেন। নৌক৷ প্রস্তুত ছিল। সকলে উঠিতেই নৌকা খুলিয়া দেওয়া হইল। " তখন সবে মাত্ৰ পূৰ্ব্বগগনে স্বর্ঘ্যের উদয় হইতেছিল। বিচিত্র গন্ধে বাতাস মুবাসিত । অমুকুল বায়ু পাইয় নৌকাটি ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতেছিল। প্রাতঃকালীন সূৰ্য্যৰশ্মি নদীজলে পতিত হইয় চারিদিক স্বর্ণময় করিয়া তুলিয়াছিল। নেীকার ছাতে চারি ব্যক্তি উপবিষ্ট । সৰ্ব্বপ্রথমে সিরিন তৎপরে তাহার মাতা ও পেস্তানজী এবং সৰ্ব্বশেষে ভৈরবঞ্জী অ{সীন । অন্তের অলক্ষ্যে ভৈরবী মাঝে মাঝে সিরিনের দিকে চাহিতেছিল, চারিচক্ষুর মিলন হুইলেট উভয়ে অন্ত এ দৃষ্টি ফিরাইয় লুইতেছিল। নৌকা দ্রুত চলিতে লাগিল, আর অল্পক্ষণের মধ্যেই কুলে , পোঁছবে। তীরের লোকজন অশ্ব যান সুস্পষ্টরূপে দৃষ্টিগোচর হইতেছিল। পেস্তানজী-পত্নীর আহলাদের সীমা নাই। কিন্তু সিরিনের মুখে বিষাদ ঘনীভূত হইয়া পড়িল। অন্যমনস্ক ভাবে সরিতে সরিতে যেন সহসা সে জলে পড়িয়া গেল। যুবক ভৈরবঙ্গী ও মূহূৰ্ত্ত বিলম্ব না করিয়া নদীতে লাফাইল্প পড়িল । নিমেষের মধ্যে ভূরা