পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిy সাপ্তাহিক উপাসনা ও সময়ে সময়ে বক্ততাদি হইয়া থাকে। বিদ্যালয়গুলিতে ধৰ্ম্ম ও নীতিশিক্ষার, ব্যবস্থা করা হইতেছে । গতবর্ষে পুণায় এই সকল জাতির একটি প্রাদেশিক সমিতি উল্লেখযোগ্য। ইহাতে ১৭.বিভিন্ন মারাঠা প্রদে হইতে অস্ত্যজজাতির পঞ্চশাখাভূক্ত সবশুদ্ধ ৩০০ লোক সমবেত হইয়া এই সভাব কার্য্যে উৎসাহ পূর্বক যোগদান করে। দুই দিন এই সভাব অধিবেশন হয়। এই উপলক্ষে পুণায় নারী মণ্ডলীর যে একটি সভা হয়, শ্রীমতী রাণাডেপত্নী তাহার অধ্যক্ষত করেন। তথাধ 'অস্ত্যজ জাষ্ট্ৰীয় প্রায় ২•• স্ত্রীলোক এবং শতাধিক উচ্চকুলমহিলা উপস্থিত ছিলেন । এই সমবেত অনেক বর্ণ নাবীকুলের পরস্পর সদ্ভাবে মেলা মেশা ও মিষ্টtলাপ—ই হা পুণ সমাজে এক অভূতপূৰ্ব্ব ঘটনা। সাতবায় এইরূপ আর একটি সমিতি আহ্বান করিবার প্রস্তাব হইতেছে ও সেখানকার প্রার্থন সমাজের সভ্যগণ এ বিষয়ের প্রধান উদ্যোগ । এই সভার আর্থিক অবস্থা সম্বন্ধে বকুব্য এই যে সৰ্ব্বসমেত ৮৫ ০০ টাকার প্রয়োজন ; তাহার মধ্যে মহারাজা তুকোজী হোলকর প্রাতঃস্মরণীয় অতুল্যাবাই হোলকরেব নামে পুণায় একটি অস্ত্যজ আশ্রমু প্রতিষ্ঠার জন্য ২%••• টাকা দান করিয়ছেন। অতিরিক্ত যে টাকার প্রয়োজন' বোম্বায়ের ধনকুণেবগণ স্বীয় ধন-কোয় মুক্ত করিয়া সে অভাব মোচন করিবেন, তাহাতে সন্দেহ মাত্র নাই।: প্রার্থনা সমাজ, যদিও ‘ব্রাহ্ম’ নাম গ্রহণে অনিচ্ছুক, তথাপি ইহার গতি ও বিশ্বাস ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মেরই অনুযায়ী। সমাজের কোন দীক্ষিত ভারতী, বৈশাখ, ১৩২১ ! t g উপাচার্য্য নাই, সভ্যদের মধ্যে যাহারা সুবক্ত। ও ধৰ্ম্মোপদেশে সক্ষম র্তাহারাই অবকাশমতে আচার্য্যের আসন গ্রহণ করিয়া উপাসনা কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন । g ব্রাহ্মসমাজের শাখা প্রশাখা প্রেসিডেন্সির স্থানে স্থানে বিস্তৃত দেখিয়া আমার বড়ই আহলাদ হইত। আহমদাবাদ যেখানে আমি প্রথমে যাই, সেখানকার সমাজের অধ্যক্ষ ছিলেন ভোলানাথ সারাভাই ৷ মহীপত রাম রূপরাম তাহার সহযোগী। মহীপত iম ইতিপূৰ্ব্বে ইংলণ্ড যাত্রা করেন, বিলাত ইতে প্রত্যাগত হইয়া তিনি হিন্দুসমাজ হইতে যৎপবে নাস্তি উৎপীড়ন সহ্য করিতেছিলেন ; ভেলুনাথ ভাই তাছার পক্ষ গ্রহণ করিয়া এই সকল অত্যাচাব নিবারণে সাহায্য কবেন। এই দুই বন্ধু মিলিয়া সমাজের কাৰ্য্যাবস্ত করেন ও অন্তান্ত কতিপয় উৎসাহী ব্রাহ্ম সেই কাৰ্য্যে যোগ দেন। আমি যখন আহমদাবাদে ছিলাম, দেখি ভোলানাথ ভায়ের যত্নে ও উৎসাহে আহমদাবাদ প্রার্থন সমাজ খুব জমকিয়া উঠিয়াছে । আমিও র্তাহীদের সাপ্তাহিক উপাসনায় যোগদান করিয়া তাহদের উৎসাহ বৰ্দ্ধনে সচেষ্ট্র ছিলাম । উপাসনার সময় ভোলানাথ প্রণীত প্রার্থনামলি ব্যবহারে অসিত ও র্তাহার রচিত ব্রহ্মসঙ্গীত গীত হইত আর আমাদের বাঙ্গল সঙ্গীত অনুবাদ করিয়া গাওয়া হইত। আমার মনে পড়ে, রবীন্দ্রনাথ এক সময় আমার ওখানে গিয়া দিন কতক ছিলেন । সমাজে আমরা দুই ভায়ে মিলিয়া . সমস্বরে গান করিতাম । ১৮৮৬ সালে ভোলানাথ ভাই ইহলোক পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া ठे ব 5 ੋ