পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা পর ব্রাহ্মসমাজের কার্য্যক্ষেত্র করাচীতে বিবর্তিত হইয়াছে। অধ্যাপক বসওয়ানী কিয়ৎকাল করাচী সমাজের কার্য্য করেন, সম্প্রতি তিনি পঞ্জাবে দয়ালসি; কলেজের অধ্যক্ষ হইয়া লাহোর গিয়াছেন । মোটের উপর সিন্ধুদেশে ব্রাহ্মসমাজের কাগ্য ভালহ চলিতেছে বলিতে হইবে । বোম্বায়ের প্রার্থনাসমাজের উৎপত্তি ও উন্নতির ইতিহাস সংক্ষেপে প্রদত্ত হইল্প । তাছা ' হইতে ওখানকার আধুনিক ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কার চেষ্টা কিছু কিছু জানা যাইতেছে। প্রার্থনা সমাজ অবশু আপন সঙ্কীর্ণক্ষেত্রে অনেক কাৰ্য্য কৰিতেছে কিন্তু বিরাট ঠিন্দুসমাজে তাহ বিন্দুমাত্র। তাঞ্জাব প্রভাব কতটুকু ? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ নঙ্গে। এইমাত্র বলা যাইতে পাবে যে ক্ষুদ্র বলিয়া তাহা হেয় নহে। কোন অল্পস্বত্র হইতে কি বৃহৎ কার্য্য প্রস্থত হয় তাহ...ইতিগসেব পৃষ্ঠায় নিয়তই পাঠ করা যায়। আমবা অদবদর্শী, বিশ্ববিধ তার কার্য্য প্রণালীব সকল দিক্‌ দেখিতে পাই না, সুদূৰ পবিণাম বুঝিয় উঠতে পারি না। কেবল এ কথা আঁদিদ্ধচন্তে বলা যায় যে ঈশ্বরের রাজ্যে সত্যের জয় অবশুন্তাধী, যাহা সত্য মঙ্গল তাহP অসত্য শীঘ্রই হউক্ বিলম্বেই হউক, নিশ্চয়ই তাব পতন। য়েমন গীতা বলিয়াছেন, "নাসতো বিদ্ধতে ভাবে নাভাবে বিস্ততে সত;" যাহা আ২ তাহ নশ্বর যাহা সৎ তার বিনাশ নাই। " - রোম্বাই সমাজে যে সকল শক্তি অলক্ষিত ভাবে কার্য্য-করিতেছে প্রার্থনাসমাজ তাহার গষ্টতম । আর আর শক্তির কার্য্য কতক । আমার বোম্বাই প্রবাস b') আমাদের বোধগম্য, কতক বা. দৃষ্টিবহিভূত। যাহা স্পষ্ট দেখা যায় তাহা ভারতের সর্বত্রই সমান – সে হচ্ছে পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘর্ষ, পাশ্চাত্য সাহিত্য বিজ্ঞানের আলোক কিরণ, এক কথায় পাশ্চাত- শিক্ষার প্রভাব । এই শিক্ষা ব ফলে আমাদের সমাজে কত না পারবৰ্ত্তন হইতেছে, ভবিষ্যতেও কিরূপ পরিবর্তন ও উন্নতি হইবে তাহ আমাদের কল্পনাতীত । আমাৰ মনে হয় আমাদের সকল প্রকার সামাজিক রোগেব মহৌষধ—নবনারীর মধ্যে শিক্ষা বিস্তাব । আমাদের গোড়ার অভাব সেই শিক্ষার অভাব। লোকসাধারণে শিক্ষা, প্রাথ- “ মিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা-বিশেষতঃ স্ত্রী-শিক্ষাব অভাবে আমাদেব সমাজ-সংস্কার চেষ্টা সৰ্ব্বৈব বার্থ হইতেছে। শিক্ষা চাই, শিক্ষা চাই, এই আমাদেব ; আৰ্ত্তনাদ’। যাহা হইয়াছে তাহা অল্পষ্ট, আরো অনেক দরকার। এই ৷ কারণেই হিন্দুবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব 'আমব সৰ্ব্বাস্তঃকরণে অনুমোদন করিতেছি । তবে এইখানে বলিয়া রাগ্নি যে, এই হিন্দু l যুনিটিৰ কর্তৃপক্ষেবা যেন সব দিক দেখিয়া উদধিভাবে তাহাদেব কাৰ্য্যপ্রণালী নিৰ্দ্ধারণ করেন। তাহাবা যদি কালস্রোতের প্রতিকুলে উদ্ধান বহিয়া যাইতে ইচ্ছা কবেন, যে সকল কুসংস্কার হইত্বে ੋ: বহু, তপস্যায় মুক্তি লাভ করিয়াছি সে সকলকে পুনর্জীবিত কবিবার চেষ্ট করেন, যে সমস্ত সামাজিক নিয়ম আমাদেব জাতীয় একতার বিরোধী, জাতীয় উন্নতির প্রত্যবায় সে সমস্ত পুনঃ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ করেন, তাহা হইলে এই যুনিবার্সিটি স্থাপনের ফল হিতে বিপরীত হইবে। ঘড়ির কাটা উল্টা দিকে ফিরাইতে