পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:S z 8 বিয়েতে সাধ্যের অতিরিক্ত পয়সা খরচ কবেছি। দুটো পাশ দেখে জামাষ্ট করি । বিয়ে দিতে আমায় ভিটে অবধি বাধা পড়ে। সে বঁধে আর খোলসা করতে পারিনি। বাড়ী বিকুল, সব গেল । ছোড়াহুটোবও লেখাপড় দেখতে পারলুম না,—সে-প্লটোও বকে গেল। আর আমার সেই মেয়ে—” লোক দুইজন চলিয়া গেল । এ যেন সংসারের রঙ্গশালায় দৃশ্যেব পব দৃশ্য-পরিবর্তন হইতেছিল। শুধুই করুণ নাটকের মৰ্ম্মস্পর্শী ইঙ্গিত ! সকলেই তপ্ত প্রাণেব তীক্ষ অভিশাপে বসন্তের এই মধুব সায়াহকে চিরিয়া দাগিয়া পথ চলিয়াছে । সকলের भूं ক্ষুদ্র অভাব-অভিযোগের কথা । হারে অভাগার দল । মনে একটা কেমন চাঞ্চল্যেব তবঙ্গ উঠিল । আব একটু আমি অগ্রসর হইলাম। দুইজন ভদ্রলোক,—এক জনের পবণে কোট্‌ পেণ্ট,লেন, মাথায় ক্যাপ, অপরের কাণ - পাড় ধূতি,—গায়ে আদ্ধিব পাঞ্জাবি | পেন্টলেন পরিহিত ভদ্রলোকটি কহিলেন, “বিষম ফ্যাসাদ ! বড় ভাই এসে জুটেচেন। র্তার অনুপ ! তাকে দেখাও, চিকিৎসা করাও । কম হাঙ্গাম ! যেমন আমি কোন বন্ধটি ভালবাসি না—” ' ধূতি-পরিহিত ছুই নম্বরের বাবুট কহিলেন, “কেন, छैन. कि চাকরি বাকরি নেই ?” o "ভদ্রলোকটি বেলিঙে ভর দিল্লী দাড়াইলেন। আমিও একটু দূবে সরিয়া দাড়াইলাম। এক-নম্বর কহিলেন, “কেন থাকবে না ? পঞ্চাশটি টাকা মাইনে পান, তাও ভারতী বৈশাখ, ১৩২১ আবার মফঃস্বলের চাকরি! বুঝে চললে কখনও পরের গলগ্রহ হতে হয় । সেকালের এই জয়েণ্ট ফ্যামিলির ব্যাপার অামার ণেরী বিত্র ঠেকে । ও বিলিতি ধরণ বেশ ! যে যার নিজের পীয়ে দাড়াও । আর আমাদের দেশে এক জনের সময় ভালো হল ত, পঞ্চাশ জন জ্ঞাতি-কুটম এসে অমনি ঘাড়ে চড়ে বসল।” দুই নম্বর বলিলেন, “তা কি করবে বল ? বড় ভাই !” এক নম্বর রক্ষ স্বরে কছিলেন, “হলেনষ্ট ব। বড় ভাই । আমাক ৪ ত ছেলে-পিলে আছে —বিপদ আপদ আছে ! হাজ যদি আমি চন্থ মুদি—?” কে যেন তামার বুকের মধ্যে ফ্যাস্ করিয়া এক খান ছুরি টানিয়া দিল। এ কি কথা ! বড় ভাই ! তাহার দুর্দিনে তাঙ্গকে দুই দিন আশ্রম দিতে হইয়াছে, আমনই মনের মধ্যে গরলের উৎস শতধারে উছলিয়া উঠিয়াছে। ইহুরষ্ট নাম, জীবন-অভিনয় ? কি ক্রর পৈশাচিক এ অভিনয় ! o এ জগৎ নাট্যশালা, সত্যই নাট্যশালা । কিন্তু কৈ, প্রমোদেব মধুর নাটকের অভিনয় ত বড় দেখিতে পাই না। এমন সুন্দর মধুর "বসন্ত-সায়াহু, শুধুই করুণ' নাটক, শুধুই বুকফাট হাহাকারের তীব্র উচ্ছাস! শুধু দুঃখ, শুধু শোক, শুধু দ্বন্দ্ব শুধুই দুৰ্ম্মদ অঙ্গ ঙ্কাবের মত্ত হুঙ্কার । ওপারের পানে চাহিলাম। স্বৰ্য্য তখন অস্তু গিয়াছে ! চারিধারে ছায়ার যবনিকা নামিয়া পড়িয়াছে ! আমার মনে হষ্টল, প্রকৃতি যেন অভিমান করিয়াই আপনার