পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ' ο 3' অবসর হয় না। অতএব কলিকাতার পণ্ডিত্যপুর্ণ বাগ্মিতা, সমাজসংস্কারের প্রবল আন্দোলন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌছায় কিনা এবং পৌছিলেও কাৰ্য্যকর হয় fক না সে বিষয়েও বিশেষ সম্মেহ । অীর এক কথা, কলিকাতা সমাজ সংস্কার সম্বন্ধে যে প্রকারের আন্দোলন হয়, সেই আন্দোলন বাস্তবিক পক্ষে সমাজের পক্ষে কল্যাণকর so ন ? আমার মনে হয়, অগুরে যাহার দুঃখ রহিয়াছে বাহিরে তাহার মলম ব্যবহারে কি উপকাব হইবে ? অন্তরের ভিতরে शशाङ মলম প্রয়োগ করা যায়, তাহার বন্দোবস্ত যতদিনে ন৷ যতদিনে ঘা শুকাইয়ী ন উঠে, তত দিনে উপরের ঘা কিছুতেই उान्न श्tत न । डिखि मूळ न श्देल झान्न কাহার উপর ভর করিয়া দাডক্টবে ? বঙ্গrদশের স্বীকৃদ বিবাহ সংস্কারের জন্ত যে সকল পন্থ অবলম্বন কবিবার পরামর্শ দিতেছেন, তাহতে সমাজের অন্তংেব ব্যাধি নিন্মুক্ত হইবে না, বরং বাডিযই চলিবে।" বিবাহোপযোগী বয়স নিৰ্দ্ধারিত • করিলে কি লাভ হইবে ? চোঁদর-স্থলে ষোল হইলে কস্তার বয়স বৃদ্ধিব সঙ্গে সঙ্গে কন্যার পিতাঁর ধন বুদ্ধির কি কোনও সম্ভাবন আছে ? বয়স বুদ্ধির সঙ্গে অর্থ বুদ্ধির সম্পর্ক, কেন ও শাস্তুে আজিও পৰ্য্যস্ত নিরূপিত হয় নাই । অধিকন্তু যখন অধিক বরস্কা কন্য। স্বন্ধের উপর বিরাজিত৷ ধরিবে: তখন কাভাবনত পিতার অবস্থা অধিকতর শোচনীয় হইবারই সস্তাবনা । তথন ফোর্থ, ক্লাশ হইতে, বিতাfডত কুলবত্বগণও ঠাহীকে এক ধাক্কায় ধূলিসাৎ করিয়া দিতে সক্ষম হইবে। কস্তার পিতার ইহাতে দুৰ্গতি "বাডিয়া চলিবে বই কমিবার অtশ। বিন্দুমাত্রও আছে বলিয় মনে হয় ম{ । এবং এই সকল ক্ষেত্রেই বুদ্ধিমতী কাগণ পিতৃদুগুণ সঁহা করিতে অক্ষম হইয়া, আত্মহত্য ইত্যাদি পন্থা তুবলম্বন করবে। তারপরে বিবাহের বয়স নিৰ্দ্ধারণ করিতে প্রবৃত্ত হওয়ারই বk কি প্রয়োজন আছে ? কোনও নির্দিষ্ট বয়সে বাংলায় বিবাহ পদ্ধতি চলিয়া আসিতেছে কি? এক বৎসর হইতে আরম্ভ করিয়া বিশ বৎসর পর্য্যন্ত হয, অন্তর হইতে ভারতী | বৈশাখ, ১৩২১ কোন বয়সে ন বাংলার হিন্দু সমাজে বিবাহ হইয়। থাকে? অষ্টম বর্ষে গেীরদান কয়জনে এখন কুরিয়া থান্তক ? কচি বয়সে বিবাহ দেওয়া অকল্যাণকর জ্ঞান করিয়া যাহার বিবাহের বয়স নির্ধারিত করিতে উৎসাহিত তাহদের বিরুদ্ধে আমার কিছুই বক্তব্য নাই । কিন্তু বিবাহ কালীন কন্যাব পিতার লtঞ্ছন। ইহাতে কমিবে বলিয়া ত মনে হয় না । পণগ্রহণ প্রথার সংস্কারেও বিবাহের দুৰ্গতি নিবারিত ন হইয়া বরঞ্চ দৃঢ় হইবারই সম্ভাবনা । তবে, কোনূ উপায় অবলম্বন কবিলে এ দুৰ্গতি দূর হইবে তাহ অত্যন্ত দুৰ্ব্বোধ্য সমস্ত । অবশু আমি নিঃসন্দেহে স্বীকাব করি যে গ্রহণ প্রথাটি সামাজিক আত্মহত্য বই আর কিছুই নহে । বরের পিতা ধনী হন না এবং কন্যার পিত কাতলে গমন কবেন। এক পাড় ভাঙ্গিয় আর এক পাণ্ড যদি ভরিয়া উঠিত, বিশেষ আপত্তি ছিল ন । কিন্তু বিব1:হর পর্বে দিন পণের টাক। কোন ও বরকত্ত্বাব সিন্ধুকে জমা থাকে বলিং প্রায়ই শোন৷ খায় না। পরের রক্ত শোষণে টাক উপায় করিয়া छ३ {८ ठ মানুষ সে ঢাক 'স্বখে ভোগ কৰিবে কেমন করিখ ! পাপে উপঞ্জিত টাক প্রায় সবই বুধ ব্যয়িত হইয়। যায । নিতান্ত গরীব ব্যক্তি ও হাতে ট। ক ! পাষ্টয়া নানা প্রকার বড়মানুষী অবলম্বন করিয়া দিনেকের গুণ ছোট খাট একটি নবাব সাজিয়ী বসেন। পরেব হৃদয়ের রক্ত, জাবন মরণের সমস্ত লইয়। এমন ভাবে ছিনিনিনি খেল যে ঘোর পাশবিক ব্যাপার তাহতে কোনও সন্দেহ নাই । • • তথাপি আমাদের এ প্রসঙ্গে ও কিছু কিছু বক্তব্য রহিয়াছে । আমার বিশ্বাস এই পূণগ্রহণের • প্রথাটি বিদ্যমান আছে বলিয়া আমাদেব মেয়েদের সামান্য কিছু মুল্য আছে । ইহার अष्टाध्वं श्राब्राह्मज्ञ भष्ग्रश्वलि ब्राथति মুড়ি খোয়ায় পরিণত হইবে। ইহার প্রধান কারণ,আমাদের কন্যাগণ পিতৃ-সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত । মেয়ে স্বামীর “ঘরে আসিবার সময় কোনও পিতৃসম্পদ লষ্টয় আসে না। কাজেই তাহাকে আশ্রয় দিয়া এক বৃহৎ পরিবারের সৃষ্টি করিয়া তাহার নিকট, হঠতে অর্থ সম্বন্ধীয় কোনও প্রকার সাহায্যের সম্ভাবনা নাই। এই ভীষণ জীবন