পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} > 8 g প্রসারত কদাচিৎ দৃষ্ট হয়। ভেড়ার পালের মতন নীরবে চুপচাপে জীবন যাপন করিয়া উহার শুধু ভেড়ার বংশ বৃদ্ধি করিতেছেন। তাহদের মিলনে সিংহ শিশুর উৎপত্তি হওয়ায় সম্ভাবনা অতিশয় বিরল। ভাগ্যের জোরে "যে স্থলে তেমন উত্তপ্ত মিলন ঘটিয়া থাকে সেই স্থলেই দুই একটি মুম্বষের মতন মাষের আবির্ভাব হয়। কিন্তু বঙ্গদেশে' তাহ,অত্যন্ত দুলভ। আমরা বিবাহিত না হইয়| স্বয়ং বিবাহ করিলে এক পক্ষে এই দীনতা ঘুচিবে, অন্য পক্ষে পূৰ্ব্বানুরাগবশত স্ত্রীগণও বিনামূল্যে রত্নস্বরূপ গৃহীত হইবে। দেশীয় ও বিদেশীয পুরাবৃত্তগুলি পাঠ করিলে দেখিতে भाeश' शs যে, কোনও মহাপুবষেব এবং মহৎ ব্যক্তির জন্ম ইতিহাসের সহিত কোনও না কোনও রহস্ত বিজডিত রহিয়াছে। এমনকি আধুনিক মনীষী ব্যক্তিগণের জন্ম রহস্তাও ডাহীদের পিতামাতার গভীর প্রণয়ের কৌতুকপুর্ণ কাহিনীতে ঝলমল করিতেছে। এবং ইহাই নিতান্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের দ্রেণ কর্ণ পাণ্ডবদের জন্মবৃত্তান্ত, খৃষ্ট প্রভৃতি বহু মহাজনের জন্ম ইতিহাস এই বিধানটিকে সমর্থন কপ্লিবে। পুত্ৰ কন্যার জন্মের সূক্ষ্ম বিজ্ঞান অনুসন্ধান করিয়া বিশেষজ্ঞগণ ইহাকে অনুমোদন করিয়া থাকে। .পিতামাতার প্রণয় অত্যন্ত গভীর আবেগম্য হইলেই পুত্রকন্যাগণ, স্বাস্থ্যশালী, সৌন্দৰ্য্যশালী এবং উন্নতঁচেত হইয়৷ १क। निडाडू নির্জীবভাবে যে বিবাহ সংঘটিত হয়, আর সজীব প্রণয়াকাঙ্ক্ষা লইং য়ে মিলন ঘটিয়া থাকে, তাহদের ফলাফলের তারতম্য ঘটিবেই। বর্তমান সভ্যতার যুগে যুরোপে এবং স্বেচ্ছাবিবাহ প্রথা প্রচলিত অন্তান্ত দেশসমুঙ্গে জাতীয় উন্নতি কি দ্রুতবেগে অযুর হইতেছে .'s ফুকল দেশে বৎসর বৎসরে কত বীরপুবষ জন্মগ্রহণ করিতেছে, তাহার আলোচনায় ভারতবর্ষের দীনতা বেশ স্পষ্টভাবে সপ্রমাণিত इईुङ পারে । রোম্যান্স ধূকিলেই যে সমল নরকগামী হইবে, এমন ধারণ ভুল ধারণা। আমার মনে • হয় স্বেচ্ছবিবাহপ্রথা প্রচলিত डtब्रडौ | বৈশাখ, ১৩২১ s থাকিলে বরকস্তার পিতৃদেবগণ আর কোনও প্রকার লাঞ্ছনা ভোগ করিবেন না, এবং মেয়ের জন্ম সমাজের ' পক্ষে দুর্ঘটনা বলিয়া পরিগণিত হইবে না। , কিন্তু ‘জারও অনেক ভাবিয়া দেখিবার আছে। কঠোর অবরোধ প্রথা যে সমাজে বিদ্যমান রহিয়াছে, যে সমাজের মেয়ের এত বেশি লজ্জাশীল’, এত বেশি ভীরু সে সমাজে কি প্রকারে, কত দিনে এই প্রথা প্রচলিত হইতে পরিবে ? এ প্রশ্নের মীমাংস এ স্থলে করা সম্ভবপর নহে । সংক্ষিপ্ত ভাবে এই বলা যাইতে পারে, একদিন না একদিন জীর্ণ বস্ত্রের স্তায় আমরা উহাকে ত্যাগ না করিয়াই পারিব না। আমি পুৰ্ব্বেই বুলিয়াছি সমাজের উপস্থিত একটি মাত্র দুৰ্গতিকে দূর করিষ্ঠে প্রবৃত্ত হইল সমাজের আমূল পরিবর্তন করা প্রয়োজন হইবে। ভিতরের ক্ষত আরোগ করিতে হইলে বাহিরে মলম প্রয়োগে বিশেষ কোনও উপকার হইবে না। "সমাজের শ্রেষ্ঠ কল্যাণ সাধন কল্পে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র'গৌরবকে (?) বিসর্জন দিতে হইবে। অবরোধ প্রথা ইত্যাদি বহু প্রকাব অতীত মহাস্থ্যকে জলাঞ্জলি না দিলে আমাদের দুৰ্গতির অন্ত হইবে না। গৃহাভ্যন্তরে পরিষ্কার হাওয়া বওয়াইতে হইলে চারি দিকের দরজ জানালী উন্মুক্ত করিযী দিতে হইবে। उाशtङ cन गर्भाछ ख्क गरुम्बई प्टेन इ३ग्न बाडेप्न এমন ধারণ নিতান্ত ভ্ৰমাত্মক, বরং হিন্দুর ংিন্দুত্ব তাহাতেই বজায় থাকিবে । মোটামুটি আমার বক্তব্য এই যে, ছেলের যোগ্যতা অর্জন না করিয়া বিবাহ না করিলে এবং যোগ্য বর জোটান অসম্ভব হইলে মেয়েকে অবিবাহিত * রাখিলে, সমাজ এই দুর্দশীর হীত হইতে মুক্তি লাভ করিতে পারে। উপযুক্ত ভাবে শিক্ষিত হইলে কস্তাদের অবিবাহিত জীবন যাপন করিধার অন্যাক্ট বহু পন্থা আছে। সমাজের কৰ্ত্তব্য, সেই সকল পন্থা তাছাদের সম্মুখে উন্মুক্ত রাখা। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে বিশেষ আলোচনা করিবার বাসন রহিল । জীনগেন্দ্রনাথ রায় ।