পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্ট-প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিখ্যাত শিল্প-সমালোচক মি: লবেগবিনিয়ন লিখিত ইংরাজি थवष्कब्रनाक्रमकवृन। 劍 প্রাগৈতিহাসিক মানব মঙ্কিত চিত্র যুরোপে প্রথম আবিষ্কৃত হয় প্রায় পয়ত্রিশ বংসর পুৰ্ব্বে । স্পেনদেশীয় জনৈক জমিদার স্পেনেব উত্তবে তাহাব জমিদারিতে একটি গুহ দেখিতে গিয়াছিলেন-—প্রাগৈতিহাসিক, মানবেব কোনো নিদর্শন আবিষ্কারের আশায় । সেখানে গিয়া প্রথমে তিনি রশিীকৃত ঝিনুক, ভগ্ন অস্থি, প্রস্তবুনিৰ্ম্মিত অস্ত্র ও রন্ধনেব কুঁচিয় ছাড়া আব কিছুষ্ট দেপিতে পান নষ্ট । তাহাব শিশু কন্ঠ। তাহাকে গুহাব ছাদে দৃষ্টিপাত কবিতে বলায়, তিনি উপবে চাহিয় দেখিলেন, সেখানে বক্ত ও কৃষ্ণ বর্ণে অঙ্কিত একটা বাইসনে ব ছবি বহিয়াছে। আবে মনোযোগ পূর্বক দেখাতে হৰিণ, ঘোড়া, বস্তলবাহ প্রভূতি নানা জস্তব ছবি দেখা গেল । এই সব বন্ত জস্তুব চিত্রবচনা কবিতে আদিম গুহাবাসী মানব এত সময় ও শ্রম ব্যয় কুরিয়াছিল কেন ? ' কিসেব জষ্ঠ তাহ দেব এই আর্টেব , প্রয়োজন ? সে কোনু প্রবন্ধ প্রেরণা যাহা শত সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে মানবকে”এই শিল্প-সৃষ্টি করিতে বাধা করিয়াছিল । কেহ হয়ত বলবেন, ইহা যান্থাবস্থায় বিশ্বাসের ফল। গুহালাসীরা হয় ত ভাবিত ,િ હરે મર প্রতিকৃতি গুগভ্যন্তরে অঙ্কিতু করিলে থেনিগুলি তাহারা সহজেই আয়ত্ত করিতে পরিবে। এই কথাই সত্য ? না চিত্ররচনা তাহাদের একপ্রকার ধৰ্ম্ম ছিল ? অর্ণব তাহার এইসব বস্ত জস্তুগুলিকে ও সেই সঙ্গে তাছাদের নিজেদের মৃগয়া-শক্তিকে স্মরণীয় করিয়া রাখিতেছিল ? না ইহা তাহাদেব অনুস্থষ্টি করিবার আনন্দ মাত্র ? জানিনা, হয়ত পূৰ্ব্বোল্লিখিত সকল উদ্দেশ্যগুলিবই কিছু কিছু একটু চিত্ররচনার মূল নিহিত আছে। কিন্তু এটা নিশ্চয় যে শীকারের জন্তুগুলির সহিত প্রাগৈতিহাসিক, মানবেব একটা গভীর সম্বন্ধ ছিল ;–সেই সকল জস্তুব মাংসে উদব-পূৰ্ত্তি, তাহদের চৰ্ম্ম , লইয়৷ দেহু রক্ষা না কৰিলে তাহাদেব উপায় ছিল না। এই জন্তুই, তখন তাহদের জীবনের সহিত অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত হইয়া ছিল। . তাহাদেবই চিন্তু সেই আদিম যুগের মানব , কুলেব মনেব সম্মুখে নিয়ত জাগরিত হইয়া থাকিত—এবং হয় ত অন্ত কোনো দিকে তাঙ্গদের নজবই পড়িষ্ট না, সেই জন্ত যাঙ্গদের সহিত তাহদের জীবনের এমন রক্তমাংসের সম্বন্ধ তাহীদের বিষয় চিন্ত৷ তাহাদেব, কল্পনাকে পাইয়াবসিত এবং সেই কল্পনার স্বপ্ন, গ্রঙে এবং খোয় পুনর্জন্ম লাভ করিয়া এই আর্টের স্বষ্টি করিত ; এবং এই আর্টের অর্থই তাছাই প্রকাশ করা যাম্বার সহিত জীবনের ঘনিষ্ঠ সঙ্গন্ধ। আর্টের গোড়াকার কথাই হইত্তেছে ইছাই । মানুষের নিজের সহিত বিশ্বের যে সম্বন্ধ—সে বিধটাকে যে ভাবে পাইয়াছে, তাহার কাছে বিশ্ব যে রূপে প্রকাশ পাইয়াছে, বিশ্বের