পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

哆 ’t ভারতী - وه যুঝিতে হইলে তেমি বচন-সংক্ষেপ ব্যতিবেকে বক্তার গত্যগুর নাই। আমার একটি অনতিক্রমণীয়ু 'ভাবী অপরাধেব দায় হইতে কথঞ্চিংপ্রকারে নিষ্কৃতি পাইবাব অভিলাষে একটু যাহা আমার বলিবার ছিল তাহ বলিলাম। এক্ষণে অনুমতি হোকৃ-সভাস্থসজ্জনগণকে সাদরে অভিনন্দন করিয়া অভিভাষণ কাৰ্য্যট.প্রকৃত প্রস্তাবে আরম্ভ করি। আর্য্য-সভ্যতা এখন এই যে মহা মহা সাগরকে গোস্পদ জ্ঞান করিয়া—মহা মহা পৰ্ব্বতকে বন্ধীক জ্ঞান করিয়া—অজেয় বলবিক্রমের সহিত পৃথিবীর উপরে আধিপত্য করিতেছে, এ সভ্যতার মূল-প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল আমাদে এই পুণ্য ভারতভূমিতে । বহু শতাব্দী পূৰ্ব্বে অমরাপুরী হইতে কল্পতরুর একটু ডাল কাটিয়া আনিয়া গঙ্গা যমুন: সরস্বতীর সঙ্গমস্থানে বোপন করা হইয়াছিল সমবেত অরণ্যবাসী ঋষিমহর্ষিগণের , সামগানের সহিত তান মিলাইয়া ; তাহাই এক্ষণে পাতালে মুল প্রসারিত করিয়া এবং আকাশে মস্তক উত্তোলন করিয়া শত সহস্ৰ শাখা প্রশাখা বিস্তীর কবিয়া অধুত সহস্ৰ দল-পল্লবে এবং নানা রসের নানা রঙের ফুলস্কুলে পৃথিবীর আপাদমস্তক ছাইয়া" ফেলিয়াছে। আর্য সভ্যতা ভূইফেড্র-শ্রেণীর নুতন সভ্যতা নহে ; পুরাতন জাৰ্য্যাবৰ্ত্তেব সভ্যতা’র নামই আৰ্য-সভ্যতা। যেমন, হিমালয় ষ্ট্রে দেখে নাই, সে পৰ্ব্বত কাংকে { বলে তাই জানে না ; , ভাগীরথী যে দেখে নাই, সে নদী কাহাকে বলে তাহ জানে না ; ভারতভুমি যে দেখে নাই, সে পৃথিবী বাহাকে বলে তাহ জানেনা ; তেমি, আৰ্য্যাবর্তের বৈশাখ, ১৩২১ আৰ্যসভ্যতা যে দেখে নাই, সে সভ্যতা কাহাকে বলে তাহ জানে না । কেহ যদি আমাকে বলেন "বাক্যের ফোয়ারা छूप्लेश्छि| এ যাহা তুমি বলিতেছ, তাহর প্রমাণ কি ?” তবে আমি তাহাকে বলিব—ভারতের মহা সভ্যতার প্রম; i ভারতেরই মহাভারত ! প্রশ্নকৰ্ত্ত যদি দেবনাগর অক্ষরে লিখিত মহাভারতখানি আদ্যোপাস্ত মনোযোগের সহিত পাঠ কবেন, তবে সভ্যত যে বলে কাহাকে —া ভ্যতা’র যে কতগুলি গঠনোপকরণ ; ভ্যতাব যে কোথায় কি দোষ, কোথায় কি গুণ ; কাহাকে বলে রাজধৰ্ম্ম, কাহাকে বলে আপদুধৰ্ম্ম, কাহাকে বলে মোক্ষধৰ্ম্ম ; কোন ধৰ্ম্ম কখন কী অংশে সেবনীয়—কোন ধৰ্ম্ম কখন কী অংশে বর্জনীয— সমস্তই তাহার নথদর্পণে প্রত্যক্ষবৎ প্রতীয়মান হইবে । সভ্যতার একটা সৰ্ব্বাঙ্গীন এবং সমীচীন আদর্শ মনোমধ্যে গঠন করিয়া তুলিতে হইলে তাহার জন্ত যত কিছু মালমসলার প্রয়োজন সমস্তই তিনি দেখিবেন–র্তাহার হাতের কাছে মেীজুত তাহার কিছুরই জন্ত তাহাকে দেশ বিদেশে ঘুটিয়া বেড়াইতে হইবে না । কিন্তু প্রশ্নকৰ্ত্ত যদি বলে “তবে কেন আমাদের এ দশ ?” তবে সে কথাটা ভাবিয়া দেখিবার বিষয় বটে। আজ কিন্তু ঐ বৃহৎ মাম্লাটার একটা সরাসরি রকমের বিচার-নিম্পত্তি ভিন্ন পাকাপাঙ্কি রকমের চরম নিম্পত্তি এই অল্প সময়টুকুর মধ্যে আমাকর্তৃক ঘটিয়া ওঠা অসম্ভব । কিন্তু তা বলিয়া একেবারেই হাল ছাড়িয়া দেওয়া আমি শ্রেয় বোধ করি না।. আমার ক্ষুদ্র আদালতের মোটামুটি রকমের বিচাৰ্য্য কাৰ্য্য আমি