পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, विडोई गईश পোক্ত ও জমাট বাধুনীর সহিত তুলনা করিলে খুব একটা তফাৎ বুঝা যায়। নাট্যশাস্ত্রেব প্রচলিত নিয়মগুলিসম্বন্ধে শূদ্ৰক যেন নিতান্ত বালকবৎ অনভিজ্ঞ । • মৃচ্ছকটিকায়' প্রতি দৃষ্ঠের সঙ্গে সঙ্গে স্থানেরও পবিবর্তন হইয়াছে। কোন নাট্যকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করি বাব জন্য যে কালের অবকাশ আবগুক, সে সকল অবকাশ নির্দয়রাপে লজিলত হইয়াছে । এষ্টরূপ দশম অঙ্কে বিচারপতি, বসন্তসেনাকে হাজির করিবাব জন্ত রক্ষীকে আদেশ করিলেন । বক্ষী বাহিব হইয় বস্বস্তনোব সহিত কথা কহিল ও তখনি তাহাকে আদালতে অনিয়া হাজিব কবিল। ঐ একই প্ৰকাৰে সাঙ্গী চাকদহকেও হাজির করা হষ্টল । কিন্তু নাট্যশাস্ত্রে এই প্রণালীব প্রয়োগে কেশন নিষেধ নাই—প্ৰত্যুত এইরূপ খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত কাহিনীতে, এই প্রণালীর আশ্রয় না লইলেও চলে না। এই নাটকে অনেকগুলি প্রাকৃত ভাষার প্রয়োগ আছে দেখিয়া অনেকে মনে কবে, ইহা প্রাচীনত্বেৰ একটা প্রমাণ ঃ —১১ জন, সৌবসেনী ভাষায়, ২ জন, অবস্তিকা ভাষায়, একজন, প্রাচ্যভাষায়, এবং ৬ জন, মাগধী ভাষায় কথা কহি তছে। শকার, চণ্ডুলের, মাথুব ও তাহার. সহচর কতকগুলি অপভ্রংশ ভাষাব ব্যবহার করিতেছে—শাকাৰী-ভাষা, চাণ্ডালী-ভাষা চার্কাভাষা | Cowell,weber 8 de garrez এর গবেষণার ফলে, এই সকল প্রাকৃতের মধ্যে আধুনিকতার নিদর্শন পাওয়া যায়। প্রাকৃতের ব্যাকরণের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ যে প্রাচীন ব্যাকরণ সেই বররুচির ব্যাকরণুে চারিটি "জি প্রাকৃতের উল্লেখ পাওয়া যায়। তাছার পৃদকের মৃচ্ছকটিক >决宁 পর আলঙ্কারিক ও কবিগণ অতিস্বল্পতা প্রয়োগ করিয়া ক্রমশঃ উহার সংখ্যা বৃদ্ধি করিলেন, এবং মূল-প্রাকৃত্বগুলি বিবিধ বিভাগ ও উপরিভাগে বিভক্ত হইল। . যে দেশের যে ভাষা তদনুসারে, নাটকের ছায়গণ ভাষা ব্যবহার করিবুে, এবং স্থলবিশেষে কোন বিশেষ দেশের ভাষা ন হইলেও কোন কোন পাত্র সেই ভাষা ব্যবহার করিবে এই যে ভরত মুনির নিয়ম—এই নিয়ম অনুসারেই মৃচ্ছকটিকায় পাত্ৰগণের ভাষা নির্দিষ্ট হুইয়ছে। ক্লান্সক যুগের কেবল একটিমাত্র নাটকে নিকৃষ্ট জাতীয় পাত্ৰগণের অবতারণা দেখিতে পাই ; শকুন্তলার ষষ্ঠ অঙ্কে, কালিদাস একজন ধীবর, দুইজন নগর-রক্ষী ও রাজার এক খালককে রঙ্গভূমিতে আনয়ন করিয়াছেন। এবং নাট্যশাস্ত্রের নিয়মানুসারে তাহাদিগকে বিশেষ-বিশেষ প্রাকৃত ভাষায় কথা কহাইয়াছেন, “দশস্কপ" নামক অলঙ্কারগ্রন্থে যার নাম মাত্র প্রাপ্ত হওয়া যায়, সেই “তবঙ্গদত্ত” নামক প্রকরণের ন্তায় যদি আরও দুই একখানি প্রকরণ আমরা পাঠ করিতে পাইতাম তাহ হইলে মৃচ্ছকটিকার হায় তাহাতেও হয়ত আমরা বিচিত্র প্রকারের প্রাকৃত দেখিতে পাইতাম। ইহা আশ্চর্যের বিষয় নহে। o শকার ও বিট সম্বন্ধেও ঐ একই কথা বলা যাইতে পারে। অন্তান্ত বিদ্যমান নাটকের সহিত যদি তুলনা করা যায়, তাহা হইলে মৃচ্ছকটিকার উক্ত দুই ভূমিকার চরিত্র প্রচলিত নিয়মানুসারে অসঙ্গত, ও ব্যতিক্রমস্থল বলিয়াই মনে হয়। কিন্তু এইরূপ তুলনার প্রণালীটি ঠিকৃ নহে। রাসীনের ট্রাজেডির