পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ ভারতী জ্যৈষ্ঠ,১৩২১ সহিত মোলিয়েবের কমেডির যেরূপ প্রভেদ, রাজা শূদ্রকের প্রতি আরোপ করা । এরূপু —নাটকের সহিত ও মালতীমাধবের হার শুদ্ধ জাতীয় প্রকরণের সহিত মৃচ্ছকটিকারও সেইরূপ (zvērs ! Muscarell-eqx চরিত্র রাসীনেয় নাটকে বিশেষভাবে লাভ করিয়াছে বলিয়া' রামিনের ‘ কয়েক শতাব্দী পূৰ্ব্বে যদি মেশিয়েবকে স্থাপন কব যায়, তাহ হইলে এই সমালোচনাব প্রণালী অত্যন্ত হস্ত জনক ও অসঙ্গত হইবে সন্দেহ নাই। আর এই যুক্তি অনুসারেই শূদ্রকেব অতি প্রাচীনত্ব সংস্থাপিত হইয়াছে। " মৃচ্ছকটিকায় বর্ণিত বৌদ্ধধৰ্ম্ম হইতে যে সিদ্ধান্ত বাহির করা হইয়া থাকে, ত{হা ও নিশ্চয়াত্মক নহে । নাট্যশাস্ত্রেব প্রচলিত নিয়মানুসারেই নাট্যসাহিতে্যু বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের অবস্কারণ হইয়ু থাকে। যেরূপ আখ্যায়িকাদিতে, সেইরূপ নাট্যসাহিত্যেও বৌদ্ধ পরিব্রাজিকা " বা কুট্টনীব ভূমিকা নিয়োজিত হহয়া থাকে। আমরা দেখিতে পাই, অষ্টাব্দী শতাদের আরম্ভে, ತತ್ಥf8 હશે. প্রচলিত নিয়ম হানিয়া চলিয়াছেন। তাছাড়া, যখন শ্ৰীহৰ্ষ নাগানন্দ রচনা কবেন, তখন হুয়েংসাং ভারতের বৌদ্ধতীর্থ সমূহে ভ্রমণ করিয়াছিলেন; সেই সপ্ত শতাব্দীর মধ্য ভাগেও শাক্য-মুনির ধৰ্ম্মেব বেশ উন্নত অবস্থা । . . . মোট কথা মৃচ্ছকটিকাকে কালিদাসেব পূৰ্ব্বে স্থাপন করিবার পক্ষে কোন বলবৎ 豆で হেতু নাই, বরং উহাকে কালিদাসেব পরবর্তী . কালে স্থাপন করিবার পক্ষে কতকগুলি হেতু আছে — যথা – কালিদাসের নীরবতা, বাণের নীরবতা ; এবং এই নাটকের রচনা, বিশ্বাস করিতেও একটু প্রলোভন হয় যে, এই মাটকের প্রকৃত রচয়িতা বিক্রমাদিত্যের গোঁববান্বিত, “যুগের পরে জীবিত ছিলেন, কিন্তু একটা উচ্চতব খ্যাতি প্রতিপত্তি প্রদান করিবার জন্ত, একট। প্রাচীনত্বের মহিমাচ্ছটায় ভূষিত করিবাব জন্ত, গ্রন্থকার শূদ্রকের নামে অভিহিত হইয়াছেন এবং বিক্রমাদিত্যেব রাজত্বকালের পূৰ্ব্বে স্থাপিত হইয়াছেন। প্রাচীন কিম্বদ স্তী শূদ্র ককে বিক্রমণদিত্যেব সমকক্ষ বলিয় কীৰ্ত্তন করিয়া থাকে । জাণ-শূদকের প্রকৃত আবির্ভাব-কাল যাহাই হউক ন কেন, ভারতের নাট্যকবিদিগেব মধ্যে কালিদাসের সহিত তিনি সমান আসন পাইয়াছেন । শকুন্তলাব গ্রন্থকাবেব রচনায় যেমন অতিস্বল্প ও মুকুমাব একটি কলাকৌশলের পরিচয় পাওয়া যায়, পরিপক বিদ্যা ও স্বব্যর্থ বাকৃ-নৈপুণ্যের পরিচয় পাওয়া যায়, সেরূপ স্বষ্টিশক্তি ও জীবন-চিত্রাঙ্কনী শক্তির পরিচয় পাওয়া যায় না । পক্ষাস্তরে, মৃচ্ছকটিকায় যে ১৭টি পাত্র নাট্য-কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছে, তাহাদের সকলেরই চরিত্রে একটা প্রবল বিশিষ্টতা আছে । চাকদন্তেব ন্তায় একটি সুন্দর চরিত্র-কুসুম ব্রাহ্মণ্য বৌদ্ধধৰ্ম্মের সংমিশ্রিত প্রভাবেই • ফুটিয়া উঠিয়াছিল। তিনি জগতের নখরতা ও ও পার্থিব পদার্থের শুষ্ঠত এতটা হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন যে মৃত্যু কালে বিনা পরিতাপে ংসার হক্টতে আপনাকে বিচ্ছিন্ন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন ; অথচ তাহার হৃদয় স্নেহ মমতা ও মধুর রসের প্রতি কম উন্মুক্ত ছিল না। পাছে তাছার বন্ধু মৈত্রেয়ের কোন