পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చిe তাহার বুদ্ধি বেশ খুলি থাকে। বিটের চরিত্রে একটু মানসিকতার লক্ষণ আছে ; এমন কি আমরা ধলি, ভারতীয় নাট্যসাহিত্যে উছ একমাত্র সুরসিক পাত্র ; ইহার কথার একটা সুহ্ম ভাব আছে, সেীকুমাৰ্য্য আছে, উচ্চ শিক্ষিত লোকের মত একটা স্বাধীন ভঙ্গী আছে । সৰ্ব্বত্রই ইহঁার স্বাগত আহবান, সৰ্ব্বত্রই ইহঁর সমাদর, এবং সকলেই ইহার ংসর্গের অভিলাষী । তাছাড়া, ইহঁার মহৎ অন্তঃকরণ । একবার তিনি শকারের কবল হইতে বসন্তসেনাকে উদ্ধার কবেন, আর একবার উদ্যানে তাহাকে বাচাইবার চেষ্টা করেন এবং সংস্থাপকের দারুণ কঠোর ব্যবহারে বিতৃষ্ণ জন্মায়, তিনি তাহার সেই নিষ্ঠুর প্রভুকে ত্যাগ করিয়া, আর্য্যকের শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করেন । চারুদণ্ডের প্রতি মৈত্রেয়ীয় অটল ভক্তি থাকায়, তাহার স্বাভাবিক চিত্তদীনতা ও ইন্দ্রিয়াসক্তির কতকটা প্রাশশ্চিত্ত হইয়াছে ! যখন ভাল • ভাল উপাদেয় মুখাদ্য সকল আহার করিতে • পাইত সে মুখের কাল গত হইয়াছে বলিয়। সে আক্ষেপ করে কিন্তু তথাচ প্রভুর প্রতি, প্রভুর পরিবারের প্রতি, সে সমানভাবে "অমুরক্ত ৷ বদমেজাজ সত্ত্বেও মৈত্ৰেয়ী মৃত্যুর দ্বারা পর্যন্ত চরদত্তকুে অনুসরণ করিতে সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত এবং তষ্কার বন্ধুর পুত্রের রক্ষণাবেক্ষণ করিবার জন্তই বাচিয়া থাকিতে ,সম্মত হুইয়াছে। আরো • ছোটখাটো পাত্র অনেক আছে ; তাহীদের বেশ ইগঠিত ও মুনির্দিষ্ট । কিন্তু আমরা তাহাদেৱ লক্ষণ পূনর্ণয়ে বিরত হইলাম। শৰ্ব্বিলক জাতিতে ব্রাহ্মণ ও চৌর্য্যবৃত্তিতে অনুরাগ-বশতঃ তস্কর। ভারতী বৈশাখ, ১৩২১ সে তাহার এই নুতন ব্যবসায়ে ব্রাহ্মণসম্প্রদায়সুলভ চাতুর্য্যপূর্ণ ও স্বক্ষামুস্তক্ষ প্রকরণ পদ্ধতি প্রয়োগ করিয়া থাকে। পূৰ্ব্বেকার সম্বাইন-ব্যবসায়ী সম্বাহক, প্রথমে জুয় খেলায় জুম্বাচুরী করিতে চেষ্টা করে, পরে নিজের দেনাশোধ না কৰিয়া পলায়ন করে। তাহার পর, বসন্তসেনার বদান্তত ও ঔদার্য্যে এরূপ মুগ্ধ হয়, যে, হঠাৎ স্বীয় অতীত জীবনের কদৰ্য্যত উপলব্ধি করিয়া, বৌদ্ধভিক্ষুর বেশ ধারণ করে । মাথুব, জুয়ার আড্ডার সিভিক', জুয়াৰী-সুলভ ফিকির ফন্দিতে সুদক্ষ ; কোন প্রকার রসিকতা বা অনুনয় তাহার হৃদয়কে অদ্র করিতে পাবে না ইত্যাদি.. মৃচ্ছকটিক পাঠ করিতে করতে, মেলিয়েব ও সেক্সপিয়ারের নাম স্বভাবতই মনোমধ্যে উদয় হয়, এবং শূদ্রকের প্রশংসার পক্ষে এই নৈকট্য ও সাদৃশ্যের উপলব্ধিই যথেষ্ট—ইহা অপেক্ষা অধিক প্রশংসা আর কি-হইতে পারে। মৃচ্ছকটিকা, অনধিকাব-হস্তক্ষেপণেব হাত এড়াইতে পাবে নাই। যার নাম ছাড়া আব কিছুই জানা নাই, সেই নীলকণ্ঠ নামক এক ব্যক্তি শূদ্রকের দোষ ক্রটি সংশোধনে প্রবৃন্ত হইয়াছে। প্রামাণ্য সংস্করণটিতে— দশম অঙ্কেব শেষভাগে সমস্ত পারগণ একত্র সমবেত হয় নাই। চারুদত্তের স্ত্রী; তাছার পুত্র, তাহাব বিশ্বস্ত বন্ধু মৈত্রেয় নাটকের উপসংহার-স্থলে প্রবেশ করে নাই। 'নীলকণ্ঠের কথা যদি বিশ্বাস করিতে হয়, ও স্থকার সুৰ্য্যের উদয়কে ভয় করিতেন । ইহার যে হেতু নির্দেশ কব হইয়াছে তাহ বড়ই অস্পষ্ট ; Wilson ব্যাখ্যা করিয়াছেন যে “সুর্য্যোদয়কে ভয় করা" — ইহা একটFস্থানীয় প্রবাদ-বাক্য মাত্র :–