পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>載b আমার সম্বন্ধে কেমন্ত্র উদার ভ্রাতৃভাবের পরিচয় দিয়াছিলেন, তাহা বলিবার কথা নহে! তাহাব মস্তকেব চুড়াদেশ কেশশূন্ত–পাশ্বদেশ হইতে শুভ্ৰ কেশবশি গ্রীব পর্য্যন্ত বিলম্বিত, ঝোপের মত দাড়ি বক্ষ পর্য্যন্ত আসিয়! পড়িয়াছে, বক্র-রেখ নাসিকা, চস্মাব পশ্চাতে সংকীর্ণ নেত্রযুগল, দীর্ঘ শীর্ণকায় পুরুষ ; তিনি আসন হইতে উত্থান করিলেন, এবং সম্মুখে ঝুঁকিয়া পড়ায় কোর্তাটা পিঠেব উপরে একটু উঠিয়া পুড়িল ; বাহু নাড়িয়া তিনি বলিয়া । উঠিলেনঃ– —“কি চাও? কি চাঙ ? আমি কাগজওয়ালাদের সঙ্গে কখন দেথা কবিনে। অt: ! এই কণগঞ্জ ওয়ালাব৷ ” যিনি ফ্রানসে সৰ্ব্বপ্রথমে নোবেল পুবস্ব বেব জয়মল্য পাইয়াছিলেন, সেই উদবিচিত্ত বৃদ্ধের প্রতি ভক্তিরসাদচিত্তেই আমি উপনীত হইয়াছিলাম। তাঙ্গুর উপরোক্ত উক্তি শুনিয়া আমি খুব একটা চাঘাত পাইলাম ; সেইখানে একটা অস্থাবর সিঁড়ি ছিল, আমাব এই আঘাত সামলাইবার জন্ত সেই সিড়িটাব উপর ভর • দিয়া রছিলাম। তাহার পর অতি সাবধানে ও ভয়ে-ভয়ে আমাব আগমনের কারণটা তাহার নিকট বিবৃত কবিলাম, এবং আমি যে এই শাস্তিময় নিভৃত স্থানে বাহিবের দুষিত হওয়ু অনিয়াছি ੱਝਂ 했지I C외 করিলাম । ' ' ' e তিনি তখন পুনৰ্ব্বার উপবেশন করিয়া বললেনঃ—“যুদ্ধ, শান্তি –ত বৈ আর কি ! বর্তমান যুদ্ধ শান্ত্রির পক্ষে যেরূপ প্রয়োজনীয় এমন অব কিছুই না ; কেননা, শান্তি কg প্রয়োজনীয় তাহা যুদ্ধই দেখাইয় দেয়। ভারতী o জ্যৈষ্ঠ, ১৩২১ “১৮৬৩ খৃষ্টাব্দে আমি বিশ্বাস করিতে পারিতাম না যে আমরা এরূপ বিরাট সফলতা" লাভ করিব ; আমাদের এখন একটা সোলিশের আদালং হইয়াছে, সালিশের কমিটি আছে, সালিশের সন্ধি স্থাপিত হইয়াছে.এ এক অত্যাশ্চর্য্য ব্যাপার!” এ সমস্ত বুদ্ধিবিহবলকাবী চমৎকার বিভ্রম মাত্র ; –আদালত আছে বটে কিন্তু সেপনে কেহ যায় না, কমিটি আছে বটে কিন্তু সেখানে কেবল ভোজেবই অনুষ্ঠান হয়, এবং সন্ধির নিয়ম আছে বটে কিন্তু তাঙ্গণ কোন কাজে আসে ন! ! আমি কথা কহিতে উদ্যত হইলাল, কিন্তু অমিংব প্রতি সুম্প্রস্ট বিদ্বেষ প্রদর্শনপূৰ্ব্বক উপস্থিত একজন চিংকবেৰ দিকে नृ१ किझाठेत्र, এবং সহসা সেীমামূৰ্ত্তি ধাবণ কবিয়া চিত্রকরকে তিনি জিজ্ঞাসা কৰিলেন,—“আপনি অামাব ছলি ঠাকিতে চান ? কি রকম-ভাবে বসিতে इंद ?' এই বকম ভাবে ? না – এষ্ট-রকম ভাবে ?” পরিশেষে তাহার আবামকেদাবায় ভাল কবিয়া বসিয়া লইলেন, প ছড়াষ্টয়া দিলেন, মাথাটা পিছনে হেলাইয়া রাখিলেন—এমন-ভাবে বসিলেন যাহাতে তাঙ্গর লেশমাত্র সৌন্দর্ঘ্য নষ্ট না হয়। তার্গর থাস-মুন্সী এক যুবতী রমণী এতক্ষণ নিস্তব্ধ ভাবে বসিয়া ছিলেন সেই যুবতীকে তাহার নিকট সংবাদপত্রাদি হইতে পাঠ করিতে তিনি অনুরোধ করিলেন। যুবতী পূৰ্ব্বদিনের ভোজে যুবোপীয় প্রথামত সুরাপনসহকৃত ব্যক্তিবিশেষেব নামোল্লেগ্ন করিয়া যে সকল স্তুতিবাদ হইয়াছিল সেই সকল বক্তৃতাদির বিবরণ পড়িয়া শুনাষ্টতে লগিলেন।