পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७-'वर्ब, डौिश् ग९श তুধু হলের বিষ ! অর্থশালী লোকদের সঙ্গে حجمه بحي মিশিয় তাহদের কালিম লিপ্ত চরিত্রে যশের চুণকাম করাই তাহার কাজ । এই কারণেই মপাৰ্ভ জেঙ্কিন্সেৰ দলে অবাধ প্রবেশের অধিকার সে লাভ করিয়াছিল ৷ জয়-দুন্দুভি বাজাইয় আপনাদের পানে সারা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্ত এমনই একজন সংবাদ-পত্রপরিচালকের অভাব মপাভ -জেঙ্কিন্সেব দল বিলক্ষণ অনুভব করিতেছিল। তাই মোসারকে পাইয় তাহারা যেন বৰ্ত্তাইয়া গিয়াছে । এবং অর্থ-আহরণের উদ্দেশ্যেই জেঙ্কিন্স-কোম্পানি নবাবের সহিত তাহার পরিচয় ঘটাইয়া দিয়াছিলেন। উদ্দেশু যখন এক, তখন সমবেত সন্মিলনেরও বিশেষ প্রয়োজন আছে। নবাব কহিলেন,“তাহলে এক খান কাগজ আমায় এখনই আনিয়ে দিতে হবে যে ! কি লিখেচে,জানবার জন্ত আমি ভারি অস্থির হচ্ছি।” মোলার কহিল, “ব্যস্ত স্থবেন না, নবাব বাহাদুর । কাগজ –আমার কাছেই আছে। আপনাকে দেখাবার জন্ত এক থান কাগজ পকেটে করে আমিও এনেওচি । এই নিন।” বলিয়া মোসার একখণ্ড ভাজ-করা কাগজ নবাবর-সন্মুখে খুলিয়া ধরিল। নবাব কাগজখান টানিয়া লইলেন । নীল পেন্সিলে দাগ-দেওয়া একটা স্থান সহজেই তাহার নজরে পড়িল। তিনি নীরবে পড়িতে লাগিলেন। জেস্কিন্স কছিলেন, “ন, না, চুপি চুপি পড়লে চলবে কেন ! এর সকলে জানতে পারবেন ন! বে। দিন আমায়—আমি চেচিয়ে পড়ি ।” কাগজখান টানিয়া লইয়া জেঙ্কিন্স পড়িতে লাগিলেন। দুই কলম ধরিয়া সম্পাদকীয় **U । "c२षनिशम आडूनाथम ७ ५म् Wy নবাব . নান্তেয়ারের জন্ম ও জগ-বায়ুব S*): বার্ণার্ড জামলে ।” তাহার পর ভাষার ছটায় মাতৃস্তম্ভের মানাবিধ অপকারিতা ও অনুপযোগিতার উল্লেখ করিয়া ছাগজুগ্ধেৰ অশেষ প্রকার কল্যাণকর গুণের কথা বর্ণিত হইয়াছে। এ সমস্ত কথাই ডাক্তার জেঙ্কিন্সের কপোগ-কল্পিত এবং ভাষায় যেটুকু আড়ম্বর ফণানো হইয়াছে, তাহাতেও জেঙ্কিন্সের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ ! এই সকল কথা ব উল্লেথাস্তে বিশদ মুখ্যাতি এবং তাহারই অব্যবহিত পরে জেঙ্কিন্সেব মস্তিষ্ক ও জাস্থলের দান-মুক্ত হস্তের প্রতি প্রশংসা-বৃষ্টি হইয়াছিল ! জাস্থলেকে অসহায় রোগ-পীড়িত শীর্ণ শিশুর দেবোপম রক্ষক ও অভিভাবক বলিয়া সম্পাদক আপনার মুস্তব্যের উপসংহার করিয়াছেন। সংবাদটুকু যখন মজলিসে পড়িয়া শুনানো হইতেছিল, শ্রোতৃবর্গের মন তখন বিবক্তি ও ঘূণায় কতখানি পূর্ণ হইয়াছিল, মুগ্ধ জাস্থলের তাহা লক্ষ্য করিবার অবসরই ছিল না। সকলেই ভাবতেছিল, কি পাজী শয়তান এই, * মোপারটা। যাউক, ব্যাপারট, কিন্তু খুব সে গুছাইয়া লইয়াছে। মিথ্য চাটুবাণীতে কাগজের এই দীর্ঘ স্তম্ভ ভবাইয়া কে জানে সে আপনার তহবিল কতখানি পূর্ণ করিবে। তথাপি তহবিল যে রীতিমত ভারী হইয়। উঠিবে, সে বিষয়ে কাহাবুও মনে এতটুকু সন্দেহ ছিল না। ঘৃণা ও ঈর্ষা-মিশ্রিত বক্রবৃষ্টিতে সকলেই মোস্টারের পানে চাহিয়া দেখিলন কাগজ পাঠ শেষ ছুইলে নবাব অধীরভাবে

  • কহিলেন, “আঃ! আজ আমার যে কি আনন্দ

হচ্ছে, তা বলতে পারি না । শুধু আনন্দই বা কেন-গৰ্ব্বও কি কম হচ্ছে ”