পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Słye জাস্থলে আজ দেড়মাসমাত্র পারি সহরে আসিয়াছেন। দুই-চারিজন পুরাতন সঙ্গী ব্যতিরেকে আজ যে সকল বন্ধুর বন্ধুত্ব গৰ্ব্বে আপনাকে তিনি সমধিক গৌরবান্বিত মনে ' করিতেছেন, পারির মাটীতে পা দিবার পূৰ্ব্বক্ষণে তাঁহাদের কাহারও সহিত জাস্থলের এতটুকুও জানা-শুনা ছিল না ! কিন্তু তাহাতে কি আসিয়া যায় ! স্বৰ্য্যোদয় হইলে জগতের লোককে যেমন সে সংবাদটুকু বলিয়া দিতে, হয় না,স্বৰ্য্যকে দেখিয়া আলোক ও উত্তাপ লাভ করিবার জন্য সকলেই আঁধার ছাড়িয়া গৃহকোটরের বাহিরে আসিয়া দাড়ায়, তেমনই এই নবাবের অজস্ৰ ঐশ্বৰ্য্য-রশ্মিব ছটায় পারির সন্ত্রান্ত সমাজ পুলকিত চিত্তে সে ঐশ্বৰ্য্য-রশ্মিব সংস্পৰ্শ-লাভের জন্ত এক নিমেষে নবাবুের চতুৰ্দ্ধকে আসিয়া সমবেত হইল। টাকার মোহিনী শুক্তি আছে! টাকা ধার দিয়া অচিরেই নবাব বন্ধু সংগ্রহে সক্ষম হইলেন। নবাব বলিলেন, “কাগজে যা ছাপা হয়েছে, তা ত দেখলুম। কিন্তু এর উপর যখন দেখি, পারির বিখ্যা সন্ধান্ত লোকের আজ আমার বন্ধু, তখন আমার পুরানো দিনের কথা সব মনে পড়ে। আমার বুড়ো বাপের কথা, তার সেই ছোট দোকানখানির কথা মনে পড়ে। আমার বাবা ঘোড়ার ক্ষুর বিক্ৰী করতেন। আপনার চমকাধেন । गैंडाहे তাই ! এক অজপাড়াগায় চটর ধারে আমার বাপের ছোট্ট দোকান ছিল। রোজগার-পাতিও এত কম ছিল যে পেটে দিতে একখানা আস্ত রুটিও কোন 機 দিন আমার ভাগ্যে জোটেনি। বিশ্বাস না হয়, আপন্সার এই কাবামুকে বরং জিজ্ঞাসা করুন। কাবাস্থ পুরানো লোক,ও সব জানে। সে যে ভারতী জ্যৈষ্ঠ, ১৪২১ কি দিন ছিল—” নবাব ক্ষণকালের জন্ত স্তব্ধ রহিলেন । , পরে অন্ধকার অতীতের পার্শ্বে এই জালোকোজ্জল বর্তমানের কথাও তাহার মনে পড়িয়া গেল ! ঈষৎ গৰ্ব্বে বুকখানাও ফুলিয়া উঠিল। নবাব আবার কহিলেন, “কাল কি খাব,আজ তার সংস্থান থাকত না ! থিদের জtলায় দিন-রাত জলতুম ! না খেয়ে কতদিন বিছানায় পড়েই কাটিয়ে দিছি । শীতকালে বেরুতে পারতুম না । গায়ে দেবার মোট জামা একটা ছিল না । তার পর বাপ মারা গেলেন —-বুড়ে মাকে নিয়ে বিপদের সাগরে ভাসলুম। এ রকমে দিন কাটানো যায় না-কখনও নু— শেষে একদিন শেষ রাত্রে পালালুম। তখন অামার বয়স্ ত্রিশ বৎসব । এখনও পঞ্চাশ বৎসর পার হইনি—সেই ত্রিশ বৎসর বয়সে ভিখিরির অধম ছিলুম— একটা কড়িও সম্বল ছিল না—কি সে অসহ কষ্ট !” শ্রোতার দল অধীর হইয়া উঠিতেছিল। কেন এ অতীতের ধূলি-জঞ্জাল টানিয়া বাহির করা ! বিশেষ এই বিলাসের মধ্যে, ঐশ্বর্যোব মধ্যে ! দারিদ্র্যের এ ভয়ঙ্কর কঙ্কালসাব মুর্তিপান দেখিবার জন্ত ত তাহারা দিব্যবেশে সাজিয়া আজ এপানে আসে নাই ! , দৈন্তেব এ কদৰ্য্য কুৎসিত মূৰ্ত্তিথান বাহির করিয়া আনিয়া সজ্জিত সভায় দারুণ বীভৎসত স্বষ্টি করিবার অধিকারও কাহারও নাই। নবী বেরওঁ না। তবুও সেকথা সাহস করিয়া কে বলিবে ? নেটের পর্দ। বারমণ্ডিত সভাগৃহে নবাবের কবেকার সেই ছিন্ন দীন বস্ত্রখণ্ড অবাধে ঝুলিতে লাগিল। অগাধ টাকার মালিক—তাহার উচ্ছসিত ভাৰ স্রোতে বাধা দিতে যাওয়া মুঢ়তা ! অসহ