পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$b': ঞ্জেঙ্কিন্স কহিলেন, “এ হস্তায় ওদের টাকাও কিছু দিতে হবে । ওঃ, কাজ যা হচ্ছে, কি বলব! আপনি একবার চলুন, দেখে আসবেন-কেমন হচ্ছে সব ।” নবাব সে কথা কাণে না তুলিয়াই কহিলেন, “কত টাকা চাই ? আৰ্দই নিন না।” “আপাততঃ হাজার পনেরো হলেই চলবে!” “মোটে হাজার পনেবোঁ !" বলিয়া নবাব জনৈক ভৃত্যকে ইঙ্গিত করিলেন। 'চেক্‌-বহি লইয়া আসিল। নবাব চেক কাটিলেন, “ডাক্তার জেঙ্কিন্স—পনেরো হাeার টাকা---” তাহার পর নবাব মার্ক,ইসেব পানে চাহিয় কহিলেন, “ডেপুটি হতে কত খরচ পড়তে পারে ?” মার্ক ইস কহিলেন, “কত আর—এক লাৰ—?” বলিয়া মার্ক ইস পাগানেতির পানে চাহিলেন, পাগানেভি সে চাহনির অর্থ বুৰিয়া গম্ভীর স্বরে কহিলেন, “এক লাখ ! কর্সিকার ডেপুটি কাউন্সিলর। তা হবে—ই হবে • বৈ কি ! আমি বলছি নবাব বাহাদুর, এবার সমস্ত কর্সিকা দেশটাকে আপনার পায়ের তলায় ফেলে দেব। দেখে নেবেন, আমার কথার নড়াচড় হয় না !" - নবাব কহিলেন, “আপনাদের অনুগ্রহ ! তাহলে টাকাটা আপুনার নামে আজই কেটে ফেলি। ও জর দেরি করা কেন ?” আবার চেক-ইহিতে কালীর আঁচড় প্লড়িল এক লাখ টাকা! চেক কাটিয়া নবাব মোসারের পানে চাহলেন, কহিলেন, *ও কাগজের কলম দুটোর জন্ত আমার ধন্তবাদ' জানবেন। কাগজটার ফণ্ডে আমি কিছু সামান্ত সেবা দিতে ইচ্ছা করি—” ত্য ভারতী નોં, ১৩২১ মোসের কছিলেন, “আপনার দয়াতেই ত কাগজখানা টিকে আছে, নবাব বাছাছুর, আপনিই 'ত এর পেট্রন । এর জন্ত আবার আমায় কিছু দিতে চাইছেন কেন ? এ ত আপনারই কাগজ! তা দিতে চান দিন, আপনার কথার উপর আবার আমার কথা কি ! আর আপনার এ ছিটে ফোটা কিন্তু মেসেজারের পক্ষে পাহাড়ের সমান।” আবার চেক কাট হইল। দশ হাজার ! তাহার পর আরও দুই-চারিট সদ্ব্যয়েয় বন্দোবস্ত হইলে অভ্যাগতের দল বিদায় লষ্টলেন। নির্জন কক্ষে জানালার ধারে বসিয়া নবাব তখন আর্কাশের পানে চাহিয়া রহিলেন । তিনি স্পষ্ট শুনিলেন, পারি সহরের বুক চিরিয়া যেন একটা আনন্দের ধ্বনি উঠিয়াছে। সে ধ্বনি যেন তাহারই বিজয় সঙ্গীত ! কি সে মধুর,প্রাণারাম । তিনি দেখিলেন,পারি নগরী স্বয়ং আসিয়া দুই কোমল ভুজ বাড়াইয়া দিয়া তাহাকে সাদরে বক্ষে ডাকিতেছে । সহসা একজন ভূত্য আসিয়া অভিবাদন করিয়া নবাবের হাতে একখানি কার্ড, দিল। কার্ডের সঙ্গে এক থানি পত্র। থামের উপর নারী-হস্ত-লিখিত মক্ষর দেখিয়া নবাব কহিলেন, *এ যে আমার মার চিঠি,—কে অনিলে?” ভূত্য জানাইল, পত্রবাহক এক তরুণ যুব, বাহিরে নবাবের আদেশ-প্রতীক্ষায় দাড়াইয়l আছেন ! নবাব কছিলেন, “যাও, তাকে এখানে নিয়ে এস।” ar ভূত্য চলিয়া গেলে নবাব পত্র খুলিয়া পাঠ করিতে লাগিলেন । মা লিখিয়াছেন, “বাবা জাগুলে, তোমাৰ