পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 సెa বর—গোপনতার লেশমাত্র তাহাতে নাই । ছন্দের এই ছায়াতপের যুগল মিলন ও সমস্ত রহস্তটির চক্ষুষ দৃষ্টান্ত আমরা ঘরে ঘরে ছাদন তলায় বর-বধুকে ছাদিয়া বাধার আদ্যন্ত ব্যাপারটির মধ্যে পাইয়া নাকি । ছাদন তল--আচ্ছষ্ট তল বা ছন্দস্থলীতে যে ব্যাপারটা ঘটে তাহাকে বলা হয় ছাদনী নাড়া—ছন্দনী শক্তিকে নাড়া দিয়া জাগাইয়৷ তোলা বা ছন্দের নাড়া ( মঙ্গল সুত্র ) বাধা । এই ছাদন তল বা ছন্দস্থলী পাত হয় বাড়ীর উঠানে গৃহস্থালীর সাত-মহলের সাত ছন্দের যেন প্রাচীর ঘেরিয়া । আর মাথার উপরে থাকে একবারে খোলা আকাশের চন্দ্রাতপ—লক্ষ কোটী গ্ৰহ-উপগ্রহের বিরাট ছন্দে দোদুল্যমান ; পায়ের নীচে রহে সমস্ত উঠান জুড়িয়া রেখা ও বর্ণেব ছন্দে বাঁধা পদ্ম ও ভ্রমরের, নয়তে রাজহংস মৃণালের, চক্ৰবাকচক্রবাকীর মিলন-বিরহের ছন্দকল্পনাটি । g এই ছন্দ বন্ধন ব্যাপারের সমস্তটুকু

  • °ধাহীর পরিণীত এমন রমণীদিগের দ্বারাই

নিৰ্ব্বাহ হওয়া বিধেয়-কুমারী কিম্বা বিধবা যাহার জীবন-ছন্দ অন্ত একটি জীবন ছন্দে গিয়া এখনও মিলিত হয় নাই বা মিলিয়া আবার বিচ্ছিন্ন হইয়া গেছে এরূপ কাহাকেও এই ব্যাপারে যোগ দিতে দেওয়া হয় না। প্রথমেই বর বা ছন্দের আতপের দিকটিকে সভায় আনিবার পথে ধুতুরার বা নবরসের নেশার, নয় তো সাত বর্ণের বা সাত স্বরের ত্রিসপ্তকের সংখ্যানুসারে নয়, সাত, কিম্বা" একুশ প্রদীপ কুলায় সাজাইয়া বরের মাথার উপর দিয়া লাজাঞ্জলি বা পুষ্পবৃষ্টির মত उबडो t জ্যৈষ্ঠ, ১৩২১ নিক্ষিপ্ত হয়। তারপর বরকে ছাদন তলায় রাখিয়া রমণীগণ অপরিণত নবাগত ছন্দটির অস্তৱ বাহির দুই ছাদেরই মাপটুকু গ্রহণ করেন,—প্রথমে একটি সরল বেণুঘষ্টি দিয়া ছন্দটির হ্রস্ব দীর্ঘ প্রমাণ, তৎপরে নিমুখ লত যাহার কাটা নাই ও যাহার পাতার মুখ স্বচ্যগ্র ও তীক্ষ্ণ নয় এমন একটি লতাবল্লরী দিয়া ছন্দের ভঙ্গিটুকু, ও পরিশেষে একগাছি রঞ্জিত মানস্থত্ৰ দিয়া ছন্দের অস্তরের রং ও গভীরতা—জলে যেন রশি ফেলিয়া— দেখিয়া লওয়া হয় । অস্তরের এই মানস্থত্র যিনি রঞ্জিত করেন তিনিও সধবা বা পরিণত ছন্দ। তাধপর যেন "বর্গের পাঁচ পীচ অক্ষরকেই, ছনটির সহিত একত্র গাথিয় পাচ পান; পাচ ফল, পাঁচখানি আলতা ইত্যাদি দিয়া লতা এবং রক্তস্বত্র—যেন প্রমাণ লাবণ্য এবং ভাব দিয়াই ছন্দের বন্ধন করা— বরের হাত বাধা হয়। ইহার পকে সমস্ত ছন্দটিকে যেন সুশীতল মাধুৰ্য্যে পরিপূর্ণ করিয়া তুলিবার উদেশেই দুই রমণীতে— স্বামী সোহাগিনী বলিয়া যাহাদের খ্যাতি আছে এমন দুই রমণীতে—মিষ্টান্ন মুখে দিয়া বা মাধুৰ্য্য রসের আস্বাদ লইতে লষ্টতেই নিরালায় বসিয়া "আই আমল৷’--সখাধ প্রেমের মধ্যে যে সুশীতল অমরসটুকু তাহাকেই যেন বণ্টন করিয়া মাধুৰ্য্যে মিশাইয়া যে অমৃতরসটুকু প্রস্তুত করিয়া রাখেন তাহাই সাতটি পানে রাখিয়া যেন বর্ণ-সপ্তকে ও সুর-সপ্তকে মিলাইয়। বরকে বা ছন্দকে শ্রবণ আগ্ৰাণ দর্শন পর্শন করাগ হয়। যেন বলা হয় ছন্দ তুমি মধুর হও, তোমাণ রূপ, তোমার স্পর্শ, ধ্বনি ও সৌরভ মধুর