পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা সেরে দিস।” প্রতিবাদী পক্ষ এভবড় একটা পৃষ্ঠপোষক পাইয়া খুগ্ৰী হইয়। বলিল “বলুন ত বৌদিদি ?” তাহাতেও নিস্তার নাই !—তাই কি না পারতাম নাকি ? এমনি করে টাকা ঢেলে পড়াতে পারনি ?” গতিক সুবিধা নয় দেখিয় প্রতিপক্ষর বহিব টিতে গিয়া আশ্রয় লইল । আনন্দে রহস্তে পানভোজননিদ্রায় বাকী রাত্রিটুকু শেষ হ’তে না হইতে গৃহিণী বধু ও কস্তাদের লইয়া গঙ্গাস্নান করিয়া আসিয়া যষ্ঠ পূজার উদ্যোগে ব্যাপৃত হইলেন। পল্লী গ্রামের মত সহরের মধ্যে তাহারা ষষ্ঠ তলায় পূজা দিতে যাইতে পাবেন না, তাই গৃহের মধ্যেই অশ্বখ ও বট বৃক্ষের ডােল পুতিয়৷ তাহার চারিদিকে আলপনা দিয়া ষষ্ঠীর ভার’ বাট ও কোলবায়না” সাজাইতে লাগিলেন। ষষ্ঠ বৃক্ষের বিকল্পে অশ্বখ বটের প্রোথিত ডাল দুটির দুই পাশে বড় বড় কঁঠাল, কদলীছড়া, বেঁটাসহ পক্ক আম্র, .নারিকেল, জাম, খেজুৰকাদি, ও দধির কোর’ দিয়া ষষ্ঠীর ‘ভাব’ সাজানো হইল এবং বাড়ীর প্রত্যেক ‘পোয়াতির’ ( সস্তানের মাওরি ) ছয়থানি হিসাবে "কোল বায়না” দুই ধারে লম্বা সারি দিয়া সাঙ্গাইয় দেওয়া হইল! ‘কোল বায়না’গুলির সাজও বড় সুন্দর । নারিকেলের কাঠিতে লাল নীল নানা রঙের ফুল গাখিয়া নেীকাকার মোচার খোলার দুই পাশে রিধিয়া ধিধিয়া মাথাগুলি দুইটি দুইটি একত্রে বাধিয়া দেওয়া হইয়াছে ! তাহার ভিতরে নানা রকম ফলের টুকুর, পক্ক আম্র, ছোট ছোট দধির উড়ি মিষ্টান্ন প্রভৃতি এবং তাছার উপরে পূর্বদিনেব নিৰ্ম্মিত তীর ধনুক ও পাখাগুলি 9 о অরণ্য ষষ্ঠী

ఫిat

শোভা পাইতেছে। তাহার পাশে জামাতৃ আর্চনের জন্ত নানাবিধ . ফল ও মিষ্টান্ন সজ্জিত রেকবীর উপরে কোচনি ধুতী চাদর সমন্বিত “ষষ্ঠীর বাটা” । এইজন্যই এদিনের নাম "জামাই ষষ্ঠী”। বাড়ীর নূতন জামা ঠাটিকে অন্ততঃ এ ষষ্ঠীতে আন চাইই । ষষ্ঠীগাছটি ঘেরিয়া কয়েক ফের হরিদ্রারঞ্জিত স্বত্র জড়াইয়া দেওয়া হইয়াছে ! গাছতলায় সেই কয়লার গুড়া ও পিঠালিরঞ্জিত ইতিহাস প্রসিদ্ধ বিড়ালটি শাবক সহ মোচার খোলার উপরে বিরাজ করিতেছেন, তা ছাড়া গোল সিন্দুর শাখা ও কঙ্গণের নিকটে পিঠালির শোলমাছ, করমচা, ক্ষীরের ভাটা প্রভৃতি দ্রব্যগুলি বঙ্গের আদর্শ সন্তান— মা ষষ্ঠীব দুলাল “ষাটের বাছা”দের কীৰ্ত্তি কাহিনীর স্মৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্ত সাধনার্থে শোভা পাইতেছে! ইহা ছাড়া পুষ্প পত্র, তৈল হরিদ্র, আমার, চিনির নৈবেদ্য ও কৰ্ত্তিত ফল মুলাদি উপকরণে গৃহের মধ্যে ন স্থানং তিল ধারয়েৎ’ ! . তথাপি গৃহিণীর মনের খুংখুতানি যাইতেছে না - “ঘোষাণি মাগী বেশী দুধ দিতে পারলে না, যা দিয়েছে তাও শুধু জল ! মণির মাপে মা ষষ্ঠীকে ক্ষীরের পুতুল দেব যানৎ ছিল তা পুতুলের ছিরি হলু দ্যাথ! মণির কি সেবার বঁচি বার কথা ছিল_ মা” যাই মুখ রক্ষা করেছেন তাই।" দ্বারে মার ডানে বায়ে চিনি লৈবে দেওয়া হয়েছে তো ? বিস্তুর অমুখেও মেনে ছিলাম! সে সব অদিনে *আমার মা বই কিছুরি ভরসা" থাকে না ! কপালে যা ছিল হয়েছে, এখন এই যমের এটাে কুড় ঝর্ণাটদেওয়া ক’টিকে মা “বাঁচিয়ে