পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ు ఫిల বত্তিয়ে” রাখুন! ওরে তোরা ভাল করে মনে করে দ্যাখ, পূজোর কিছু অঙ্গহানি হয়নি তোমা-র, সব দেওয়া হয়েছে ত ? "ধাটু বঁচানে”র পাথা কই ? এই দ্যাথ দিকি যা আমার মনে না পড়বে তা আর কারুর মনে আসবে না! এখনি কি হত আমার ?” —বধু কস্তার আস্তে আস্তে ষাট গাছ দুৰ্ব্ব ও ষাট গাছি বঁাশের শিষবাধী একখানি নব তালবৃন্ত আনিয়া মা ষষ্ঠীর পায়ের গোড়ায় রাখিল । পুরুত ঠাকুর এলেই যে হয়! আমার পাচ টা বাচ্চ কাচ্চার ঘর, ক্ষিদেয় ছট্‌ফট্‌ করে সব, পুরুত ঠাকুরের আগে আমার বাড়ী আসা উচিত—ত বল্লেত তিনি শুনবেন না ! ওরা যে চা খেতে পায়না ।”—ছোট বধুটি হাসিয়া বলিল “এতক্ষণে মার তাড়াতাড়ির আসল কারণটা বেরিয়ে পড়ল ! মণি বিমুতো ক্ষিদেয় এখনো কাদেনি, কিন্তু চায়ের জন্তে যে কি হচ্ছে কি রকম গলা শুকুচ্চে ওদিকে, তা কেবল মা-ই বুঝতে পারছেন।” গৃহিণী কৃত্রিম -কোপে বুলিলেন “তোরা চুপ করতে বাপু ! তোদের ঝগড়ার জালায় আর বঁাচিন ! বাছার আমার কত ভাগ্যে এসেছে ! ম যে আমায় এমন দিন দেবেন এ কি কখনো আশা করতে পেরেছি!” g g পুরোহিত লুসিয় পূজা করিতে বসিলেন! সেই নধর শুমল'বৃক্ষশাখার তলে “দ্বিভূজাং ছেম গৌরাঙ্গা” অস্কাশ্ৰিত স্বতশোভা—বঙ্গ মাতাকে আবাহন করিয়া ধূপ দীপ নৈবেদ্য প্রভৃতি উপচারে পূজা করিতে লাগিলেন। চিরজীবি মার্কওও ষষ্ঠী দেবীর সহিত অদ্য বঙ্গের গৃহে পুজা পাইয়া থাকেন। ভারতী “সবই ত হয়েছে মনে হচ্চে এখন জ্যৈষ্ঠ, ১৩২১ পুজান্তে গৃহিণী জ্যেষ্ঠ কষ্ঠাকে বলিলেন “ওদের স্নান করতে বল-মাষষ্ঠীর এই তে। হলুদ, মাখিয়ে দিয়ে আয় !" বড়বধু হাসিয়া ফেলিল ‘‘ম যেন কি —ওরা কিনা কচি থোকা! তোমার তেল হলুদই তো মাখবার জন্ত বসে আছে "–"আহ! কপালে একটু ছুইয়ে দিয়ে লক্ষণ করতে বলছি, তোদের জালায় আর বঁাচিন ত!”—বধু সপরিহাসে বলিল “যাও ঠাকুরঝি ! মার খোকদের হলুদ কাজল দিয়ে এস —আমার হাতে একটু দিয়ে যাও আমি ছোটগুলোর কপালে ছুইয়ে দি ” ঠাকুরঝি জ্যেষ্ঠার দায়িত্ব পূর্ণ গাম্ভীৰ্য্য সহকাবে হলুদ ভেলের বাট লইয়ামাতৃনির্দেশ মত ভ্ৰাত৷ ও ভগ্নিপতুিদিগের কপালে ছোয়াইতে গেল। গুহিণী • তখন বাড়ীর এবং প্রতিবাসী “পোয়াতি দোয়াতি”দের ডাক্‌ দিলেন " আয় সবাই ষষ্ঠীর কথা শুনশি আয় ।” স্নানন্তে পুত্ৰকস্তাদের “হাতে কোলে" লইয়া পট্টবস্ত্র পরিহিতা তরুণী জননীগণ, নাতি নাতিনীর হাত ধরিয়া দিদিমা ঠাকুরমার!— সকলে অমিয়া সেই কৃত্রিম ধষ্ঠতলায় সমবেত হইল —“কালে বেড়ালের” অত্যাশ্চৰ্য্য কাহিনী শুনিবার জন্ত ঝালক বালিকার যথাসাধ্য সংযত ভাবে মায়ের বা দিদিমা ঠাকুরমার কোলে পিঠি পাশ্বে স্থান করিয়া ইয়া উৎসুক ভাবে চাহিতে লাগিল। মাতৃহস্তের সদ্যঃ যত্নবিষ্ঠন্ত কালো চুল গুলি ও ঈষৎ হরিদ্রারঞ্জিত ললাটের নীচে কাজলের রেখা টান ড্যাবডেবে চোখগুলি—সেই তীর ধনুক ও পুষ্প নিশানে শোভিত কলার থেtল, ক্ষীরের পুতুল, এবং ক্ষীরের ভাটার পানে চাহিয়া ক্রমেই অধীন হইয় উঠতেছিল ! বন্ধু ও কস্তাদের আগে