পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెty আঁতুর থেকে কোথায় গেল ? খোজ খোজ, আর খোজ, মা ষষ্ঠী যাকে নিয়েছেন মামুষে তাকে কোথায় খুঁজে পাবে! ভগবানের মার দুনিয়ার বার!” আর কি কবে ক্রমেই সকলে চুপ, ধলে! আবার দিন যায় কিন্তু গেরস্তর বেীর স্বভাব শোধ রালো না ! “কালে বেড়াল”ও প্রতিশোধ দেবার জন্ত মাষষ্ঠীকে নালিশ করে করে ঐ রকমে আরও ৪টি ছেলে গেরস্তর বেীর কোলে থেকে আঁতুর ঘর থেকেই চুরী করে মাষষ্ঠীর কাছে দিয়ে এল। গেরস্তর বাড়ীতে শোকের সীমা নেই, বছর বছর বেীর একটি করে চাদের মত ছেলে হয় আর ২১ দিন না কাটুতেই আঁতুর থেকে ছেলেটি যে কিসে নিয়ে যায় কেউ টের পুয়ে না । গেরস্তর কত পাহারা বসিয়ে কত তন্ত্র মন্ত্র ভুক্তাক্ করে, কিছুতেই ৫টি ছেলের একটিকেও রক্ষা করতে পারলে না ! ( এইখানে সকলে হাতে একটি মাত্র পুতুল অবশিষ্ট রাখিয়া বাকী সব কটি বেড়ালের মুখে ধরিয়া,মূষষ্ঠীর নিকটে পৌছাইয়া দিল ) বেটা কঁদে কাটে পড়ে থাকে—তবু স্বভাব যায় না! কালে বেড়াল গিয়ে মাষষ্ঠীকে বল্পে “মা গেরোস্তর বেীএর এত.দুঃখেও শিক্ষা হ’লন । তুমি আবার তাকে একটি ছেলে দাও।” মাধষ্ঠNবশ্লেন “তথাস্তু।” ছয় বারের বার গেরস্তর ৰীে আঁতুরে ঠায় জেগে আসে রইলে,—কে এমন করে ছেলে নিয়ে যায় ধরূৰু এবার । তিন দিনের দিন রাত্রে আঁতুরের বাইরের লোক ਾਂ ঘুমিয়ে পড়েছে গেরস্তর বেী ছেলে কোলে নিয়ে বসে আছে, নিম্নত রাত ঝম্‌ঝম্ ভারতী • অনেক কেঁদে কেটে ' জ্যৈষ্ঠ, ৫৩২১ করছে, মাযষ্ঠীর ছলনায় মামুষের সাধ্য ि যে জেগে, থাকে বসে থাকতে থাকতে যেমন তার চুল এসেছে অমনি কাল বেড়াল আঁতুরে ঢুকে নিঃশব্দে ছেলেটি মুখে করে নিয়ে বনের দিকে ছুটুল। অনেক দুঃখের পর ভগবানের দয়। আপনিই আসে, গেরস্তর বোয়েরও অমনি ছাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে গেল, তার মনে হোল কিসে যেন তার কোল থেকে ছেলে তুলে নিয়ে পালাচ্চে, গেরস্তর বেী অমনি “আচু কাটিয়ে” উঠে কারুকে ডাক্‌বারও অপেক্ষা না করে বেড়ালের পেছনে পেছনে বনের মধ্যে চলল। প্রাণ যায় আর থাক্ কিসে এমন করে আমার ছেলে নেয় ধরতেই হবে! হয় ছেলে ফিরিয়ে আনব নচেৎ প্রাণই দেব আজ—”এই সঙ্কল্প করে বে নিমডি অন্ধকার রাত্রে সেই বেড়ালের পেছনে পেছনে ছুটতে লাগল। বিজন বন ডাল পড়ে ঢেকী হয় পাত পড়লে কুলো হয়, এমন যে ৰিজন অরণ্য তার মধ্যে পড়ে গেরস্তর বে। আর রাস্ত খুজে পায় না । তখন মাধষ্ঠার দয়ায় হাতে একগাছা স্বতে ঠেকূলে ; স্থতো গাছটা ধরে একপী একপা করে এগিয়ে দেখে বেশ রাহ, ীে • সেই স্বতে ধবুেই চলতে লাগল। খানিক গিয়ে ছাথে বনের মধ্যে আলোঁ, ছেলের জষ্ঠ সেদিন বেী প্রাণকে পণ করেই বেরিয়েছে, নিৰ্ভয়ে এগিয়ে স্থাখে প্রকাও বট অথখর ডালে বনের মধ্যে আঁধার হ’য়ে রয়েছেতার তলায় “ছোলা শাখা গোল সিঁদুর কঙ্কণ লাল পেড়ে সাড়ী” প’রে কে একজন মেয়ে মানুষ বসে আছেন তারই অঙ্গের ছটায় বন আলো হয়ে উঠেছে। তার কোলে পিঠে