পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বুধ, দ্বিতীয় সংখ্যা মনে বিচিত্র ভাব সঞ্চার হইয়া থাকে, অথচ স্কবির মত তাহ প্রকাশ করিার সাধ্য বহীদের নাই, তাহীদের এ $গব, দুর করিতে ক্যামেরার মত বন্ধু ७ ' मश्ानं বড় দুলভ। . কবি, যে প্রতিভার বলে বাক্যের পিচ্যাসে ভাবকে মূৰ্ত্তিমান করিতে পাবেন, সে শক্তি তাহাদেব নাই বটে ; কিন্তু তাহীদের ও দেখিবার এবং অনুভব করিবার শক্তি আছে । যাহা দেখিল, যাহা অনুভব করিল তাঙ্গা যে বমণীয়, পবিত্র ও মহিমাম্বি ত, তাহা ও যে আনস্তেরই ক্ষণিক বিকাশ সে বোধ তাহদেব আছে । ক্যামের এই বোধকে প্রত্যক্ষ প্রকাশ ও এই সৌন্দর্য্যকে বাস্তব আকাবে পরিণত করে। মেঘেৰ সৌন্দর্য্য, কুহেলিকাব রহস্য, দর্শকেব মনোভব ন সত্য, ভাষায় তাঙ্ক দেব বর্ণনা কবিতে হইলে যে বাক্যসম্পদে অধিকারী হওয়া আবগুক, অনেকেবই সে সে ভাগ্য নাই ; তবুও এই মেঘ-তবঙ্গ, এই ধূসব কুষ্মটিকাচ্ছন্ন পৰ্ব্বতবৃহের ছবি, ধাগ মন হইতে হাবাইয়া যায় তাহীকে ধৰিয়া বাখে । কত সুদীর্ঘ বৎসর পরে, সে মেঘ যধন কবেকার বৃষ্টিধারায় গলিয়া শেষ ইষ্টয়া গিয়াছে, যখন সেই কুয়াস কত প্রভাত প্রীেৰেৰ বৈচিত্র্যেৰ মধ্যে অস্তদ্ধান হইয়াছে —তখনও ছবিখানি সেই অনন্দ কিম্বা বিষাদ মুহূর্তের সাক্ষ্যস্বরূপে জীলিত থাকে ; আগৰ দৃষ্টি চিত্রকরের মনে পিস্তু ত-প্রায় সতী স্তকে বর্তমানে জাগরূক করিয়া তোলে । বীণাব মুর্ছনা ঝঙ্কারের মত অন্তরকে জাতিস্মর কবে ; --যে সঙ্গীত একদিন তাহার গঠবে সঙ্গোপনে বাজিয়াছিল, সে আপার তাপি প্রতিধ্বনি শুনিতে পায় । ১৩ ক্যামের দ্বারা বিবিধ মনোভাব প্রকাশ . সকলেই ২১৯ সাধারণেব প্রতিপত্তিলন্ধ কোন প্রাকৃতিক দৃষ্ঠের ফোটোগ্রাফ দেখিয়া দশকের মনে যে ভাবোদয় হয়, চিত্রকর নিজে যখন তাহ। , দেখেন, তখন র্তাহার মনে সম্পূর্ণ বিভিন্ন ভাবেবু সঞ্চার হয়। তাহার কাছে সে ছপিপানি কেবলমাত্র একৃটি সুন্দর প্রাকৃতিক দূখ,—নদীর স্রোতধারা, কিম্বা স্বৰ্য্যকরেজ্জিল সাগরের বিস্তার নয়, তাহ। তাহার মনেব আকাজক্ষ ও কামনা, অন্তরে সঞ্চিত চির • সুন্দর –মুমধুৰ স্মৃতি, তাহাব জীবনেব পরশমণি,– এক লাব যাহার ক্ষণিক আবির্ভাবে হৃদয়ের সকল দৈন্ত দূর হইয়াছে। দৃষ্ঠটি যে সুন্দব একটু নিরীক্ষণ করিয়া দেখিলেই যেকেহ সে কথা বুঝিতে পারেন, কিন্তু চিত্রকরই একমাত্র জানেন, প্রকাশের অপেক্ষ তাহাব ক্তাব আবে কত মুন্দর ছিল। এই জ্ঞানই তাহার নিজস্ব আনন্দ ; –পরিলেও তিনি আব কাহার ও সহিত ভাগ কবিয়া ভোগ করিতে ইচ্ছুক নহেন । এই ছবিখানিই তাহার মনোনিহিত অব্যক্ত কলিতা, তাহার ইষ্ট সাধনার সঙ্গোপনমন্ত্র । অন্তের নিকট হয়ত বা তাহ ছন্দলালিত্যবর্জিত নিতুস্ত প্রাকৃত বলিয়াই মনে হইতে পারে, তাহার গঠনপাবিপাট্যে অনেক ক্রট প্রকাশ পাইতে পাবে ; তবুও সেখানি দেখিষ্ট্র রচয়িতার মনে যে অনুপম সৌন্দর্ঘ্য ছবি, যে অপূৰ্ব্ব রাগিণী জাগবিত হয়, মাং কোথাও তিনি তাহা খুজিয়া পান না । ক্যামেরার সাহায্যে এই উপায়ে আমন্স আমাদেব • সীমাগত সামান্ত ক্ষমতার যোগ্য কবি হইতে পারি। যদি অন্তে আমাদের মনের এই ভাব-নিমেষ