পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ ধর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা আজকাল জেলার স্থানে স্থানে পাকা রাস্ত हाइ। ঐ সকল রাস্তার ধারে দূৰত্বস্থচক args (mile-stone) cato: attg | ভৰুষ্টে পাকা রাস্তার নিকটবৰ্ত্তী গ্রামেব লোকে মাইল পরিমাণ বুঝিতে পারিয়াছে। কিন্তু বর্তী স্থানেব লোক মাইলেব পৰিমাণ এখনও শিখে নাই । দূৰত্বস্থচক ক্রোশের নাম অনেকে গুনিরছে। কিন্তু ক্রোশের পবিমাণ মুম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞান অতি অল্প লোকেরই আছে। পূৰ্ব্বে বঙ্গদেশেব সৰ্ব্বত্র "ডালভাঙ্গা” ক্রোশের কথা শুনা যাষ্টত । প্রাতঃকালে কোনও বুক্ষের ডাল বা শাখা হাতে লইয়া লোকে পথ চলিতে আবস্ত করিত। পথ অতিক্রম কবিতে কবিতে যেখানে বৌদ্রে ঐ শাখার পত্র সকল শীর্ণ হুইত, . সেইখানে এক ক্রোশ পথ পবিসমাপ্ত চক্ট ত । ক্রোশ বলিলে এক্ষণে আব ততদূর বুঝায় না। . কিন্তু তথাপি স্থানীয় লোকে ব হিসাবে এক ক্রোশ অনেক সময়ে দুই, তিন বা ততোধিক ক্রোশের কম হয় না । দিক ও দূরত্ব বুঝিবার বা বুঝাইবার উপযুক্ত ভাষাজ্ঞান এখানে যে প্রকার অল্প, সময় সঙ্গন্ধে ধারণাও তদ্রুপ । দিব! ভাগের সময় নির্দেশের জন্ত, সাধারণতঃ দুই প্রহর (বা ই প'ব ), আড়াই প্রহর (বা আড়াই' প'র ) কথার চলন আছে! তদ্ব্যতীত “বেশাম্ বেল" একটা সময় বুঝাইবার বাক্য, “বেশম " 'বিশ্রাম’ শব্দের রূপান্তর। “বেশাম্ ৭ণ' বলিলে সাধারণতঃ প্রাতে ৯ ঘটিকা বইতে ১০টা পৰ্য্যও বুঝায়। প্রাতঃকালে শ্রমসাধ্য কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়া যে সময়ে লোকে মানভূমবাসীর দিকবিদিক জ্ঞান (: বিশ্রাম করে বা জলখাবার খায়, সেই সময়ের নাম “বেশম্ বেলা ।” “বেশামের” পূৰ্ব্ব সময়ের নাম “আধ পেশাম্!” “আধ বেশীম্‌” * বলিলে সাধারণতঃ প্রাতে ৮টা বা তাঙ্গার নিকটবর্তী সময় বুঝায়। “বেশাম্‌” উত্তীর্ণ হইয়া যাইবার পর, অর্থাৎ প্রায় ১১টার সময়কে এদেশে “খরবেশম্ বেলা বলে । এতদ্ব্যতীত এই স্থানে বেলা বুঝাইবার জন্য অর্ণব একটী সঙ্কেত ব্যবহৃত হয়। এই সঙ্কেতটী বঙ্গদেশের অষ্টান্ত স্থানে পরিচিত নতে । দিবাভাগের কোনও বিশেষ সময় বুঝাইবাব জন্ত লোকে আকাশের দিকে অঙ্গুলি সঞ্চালিত করিয়া, তৎকালে যেস্থানে স্বৰ্য্য থাকিলার কথা, সেই দিক দেখাইয়া বলে, *এমন বেলায়” বক্তব্য ঘটনা ঘটিয়াছিল । বক্তাব অঙ্গুলি আকাশের যে দিকে সঞ্চালিত হইবে, দিবসের যে সময়ে § স্থানে স্বৰ্ষ্য থাকে, সঙ্কেতে তত বেল বুঝিতে হইবে । দিবাভাগের ন্তায় রাত্রিকালেব বিভাগ বুঝাইবার উপযুক্ত কোনও সঙ্কেত নাই । বাত্রিকলেব শেষাংশ বুঝাইবার জন্ত “কুকৃড়িডাক” বলিলে যে সময়ে শেষ রাত্রিতে কুকুট শব্দ করে সেই সময় বুঝায়। এই “কুকৃড়িডাক", ইংরাজী "Cbck-crow"র বঙ্গানুবাদ নহে। এই জেলার অধিবাসিগণের মধ্যে কুঞ্চি, ভূমিজ, সাওতাল ও 'বাউরীগণ সংখ্যায় সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক। জেলার মোট লোকসংখ্যার শতকরা ৪৮ জন এই চাৰি শ্রেণীর লোক। তাহার। যদিও সকলে বৈষ্ণব তথাপি কুকুট মাংস ভোজন দোষাবহ মনে করে না । প্রাতঃকালে অনেকে কুকুট ডাকিবার সময় শয্যা ত্যাগ করিয়া গার্হস্থ্য কার্য্যে