পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rete উদ্যানের শেষ প্রান্তে নদী বহিয়৷ যাইতেছে, অথবা উন্নতশীর্ষ ঝাউগাছ-শোভিত দীর্ঘাকার চৌবাচ্চাসকল উপবনভূমিকে বিভক্ত করিয়াছে । লাল-পাথরের মসজিদের অলিন্দের পাশ্বদেশে ধবল মৰ্ম্মর-গুস্তরের চতুর্দিকস্থ *মিনারেটর” মাঝখানে সেই সমাধিমন্দির। অষ্টকোণাকৃতি তলভূমি ঃ-ভগ্নধমুকাকৃতি খিলানযুক্ত চারিটি দ্বার ; আবও ২৪টা দুইথাকৃ, ছোটছোট দ্বার-পথ ; একটা অলিন্দ ; ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গম্বুজভূষিত চারিটি মণ্ডপের মধ্যে, বহুমুল্য রত্নখচিত এক বৃহৎ গম্বুজ। ঔরংজেবের আমলেব যে গঠনরীতি সে সৈনিকের গঠনরীতি, ধৰ্ম্মোম্মাদগ্রস্তের গঠনবীতি এইরূপ বলা যাইতে পাবে । ইহা পূৰ্ব্বতন গঠনরীতির হিসাবে একটা প্রতিক্রিয়া । গঙ্গানদীর তটস্থ অগণিত হিন্দু মন্দিরের মাথা ছাড়াইয় বারাণসীতে যে মসজিদ উঠিয়াছে, সেই মসজিদ বিজেতার বিজয়-নিদর্শন বলিয়াই মনে হয় । ঔৰংজেবের মৃত্যুর পরেই তাহার উত্ত<াধিকারীগণের কীৰ্ত্তিকলাপ সাম্রাজ্যের অধঃপতনের পরিচয় দেয়, দারিদ্র্যদশাগ্রস্ত নরপতিদিগের পৰিচয় দেয়, অবনতিগ্রস্ত বিকৃত শিল্পকথার পরিচয় দেয়। , মোগল সম্রাট দুগের তোয় সকল মুসলমান নৃপতিই স্বকীয় স্থতিরক্ষার্ব জন্য ইমারত নিৰ্ম্মাণ করাইতেন ঃ—নীল চীনে-মাটির কাজে আচ্ছাদিত গোলকদের সমাধি মন্দিরসমূহ ; পৃথিবীর মধ্যে যাহা সৰ্ব্বাপেক্ষ বৃহৎ সেই বিজাপুরের গম্বুজ। গুজরাট" প্রদেশস্থ আহমদাবাদে হিন্দুশিল্পকলা ও মুসলমান শিল্পকলা বেশ বেমালুমভাবে মিশিয়া ভারতী আষাঢ়, ১৩২১ গিয়াছে। কিন্তু শীঘ্রই, আর একটি নূতন প্রভাব অনুভূত হইতে আরম্ভ হইল—সেটি য়ুরোপীয় শিল্পকলার প্রভাব । এই প্রভাবের পরিণাম-লক্ষেী নগরের বড় বড় প্রাসাদ, ও মসজিদাদি। মুসলমান শিল্পকলা কলুষিত হইল, অন্তর্হিত হইল। যে সকল তথ্য আমাদের হস্তগত হইয়াছে, তদৃষ্টে আমবা ষোড়শ শতাব্দী, সপ্তদশ শতাব্দী ও অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে বেশ একটা পার্থক্য উপলব্ধি করিতে পারি এবং ঐ প্রত্যেক যুগেব রচনাকার্য্যের সহিত ঐ একই যুগেব যুবোপীয় বাস্তশিল্পের তুলনা করিতে পাবি। যুরোপের ন্তায়, ভারতেও "নবজীবনেৰ” তরুণ ও মির্ভীক শিল্পকলার আবির্ভাব হয়, সপ্তদশ শতাব্দীতে আরও জ্ঞানগর্ভ ও আবও বিরাট শিল্পকলার আবির্ভাব হয় এবং অষ্টাদশ শতাব্দীতে অতীব কৃত্রিম ও দার্শনিক ভাব-রঞ্জিত শিল্পকe tর আবির্ভাব হয়।

চিত্রবিদ্যা – ইসলামধৰ্ম্মে, মুৰ্বিরচনা শিল্পেব অনুশীলন নিষিদ্ধ ; কিন্তু আকবরের আমলে এই নিষেধ কেহ বড় একটা মানিত না । আবুল ফজল লিখিয়াছেন – "অনেকে মনে করে, পদার্থ সকল নিরীক্ষণ কবিয তাহদের একট। সাদৃশ্ব প্রদর্শন করিবার চেষ্টা করা অলসভাবে সময় কাটাইবার একটা উপায় মাত্র । কিন্তু আমার মনে হয়, সুনিয়ন্ত্রিত মনের পক্ষে, এই সৰ্থটি জ্ঞানীৰ্জনের একট। দ্বার, অজ্ঞান-গরলের একটা विश्iद्रौ भtहौश्। ५।। ८५ लक्षण c्रIङ्tनि विचित्र]९१|ं শুধু অক্ষর মাত্র দেখে, তাঁহারাই চিত্রবিদ্যাকে গৰ্হিত বলিয়া মনে করে ; কিন্তু এক্ষণে তাঁহাদের * সত্যকে দেখিতে পাইবে। একদ, সম্রাট-বাহাই’