পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ १8 চেষ্টায়। সুতরাং এরূপ সাদৃশু চিত্রিতকে ফুটাইয়া তোলে না, বরং অনেক সময়ে তাহাকে লুপ্ত করিয়া দেয় । ৬। বর্ণিকাভঙ্গ বর্ণিকাভঙ্গ—নানা বর্ণের সংমিশ্রণ ভঙ্গী ও ভাব ; বর্ণবর্তিকার টানটোনের ভঙ্গী, हेङjiलि ! বর্ণজ্ঞান ও বর্ণিকাভঙ্গ ষড়ঙ্গ-সাধনার চরম সাধন এবং সৰ্ব্বাপেক্ষা কঠোর সাধন । মহাদেব পাৰ্ব্বতীকে বলিতেছেন “বর্ণজ্ঞান যদা নাস্তি কিং তস্ত জপপুঞ্জনৈ।” যদি বর্ণজ্ঞান না জন্মিল, যদি বর্ণিকাভঙ্গীটি—ঐ সরুকাঠির টানটোন-দখল না হইল তবে ষড়ঙ্গে পাচটি সাধনাই বৃথা । সাদা কাগজ সাদাই থাকিয়া যাইবে যদি তোমার বর্ণজ্ঞান না জন্মায় ; তোমার হাতের তুলিটি সাদা কাগজে নানা বর্ণের আঁচড় টানিবে অথবা ঘুণাক্ষরের মত একটা-কিছু লিখিবে—যদি বর্ণিকাভঙ্গে তোমার দখল ন হয়। ষড়ঙ্গের আর পাচটিতে তোমার মোটামুটি দখল জন্মাইতে পারে— সাদা কাগজে একটি মাত্র আঁচড় না টানিয়া ! রূপের ভেদাভেদ তুমি চোখ দিয়া, মন দিয়া বুঝিতে পার ; প্রমাণকেও তুমি তুলি ব্যতিরেকে দখল কৰূির্তে পার ; ভাব, লাবণ্য, সাদৃশুকেও চোখে • দেখিয়া, মনে বুঝিয়া -জ্ঞানিতে পার ; কিন্তু বর্ণিকাভঙ্গের বেলায় তুলি তোমাকে ধরিতেই হইবে । এই যে সাদা কাগজগানি—যাংকে ইচ্ছা করিলেই, শতথও করিয়া ছিড়িয়া ফেলিতে পারি – তুলির ডগায় একটুখানি কালি লইয়া তাহাকে স্পর্শ করিতে এত ভয় পাই কেন ? চিত্রিত ভারতী , , আধাঢ়, ১৩২১ করিবার মানসে সাদা কাগজখানিকে যখনি , নিজের সম্মুখে বিস্তৃত করিয়াছি, তখনই আর সেখানি সাম্বা কাগজ নষ্ট, তখন সে আমার আত্মার দর্পণ । বীজের মধ্যে যেমন সম্পূর্ণ গাছটি নিহিত থাকে, তেমনি ঐ সাদা কাগজখানিতে, সমস্ত রূপ, সমস্ত প্রমাণ, সমস্ত ভাব লাবণ্য ও বর্ণভঙ্গী লইয়া আমার আত্মটি প্রতিবিম্বিত রহিয়াছে দেখি। সেইজন্ত সহস তাহাকৈ তুলি দিয়া স্পর্শ করিতে ভয় হয়, হাত কঁাপিতে থাকে। পটখানির উপর এই শ্রদ্ধা এই সমিহটুকু, চিত্রকরকে চিরকাল অনুভব করা চাই ; কিন্তু তুলি ধরিলেই ঐ যে হাতটি কঁাপিতেছে—ঐ ভয়টুকুকে মন হইতে দুধ করা চাই। হাত একটু কঁাপিবে না, তুলি আমার অনিচ্ছায় একতিল অগ্রসর হুইবে না,বা পিছাইবে না, বামে বা দক্ষিণে একটুমাত্র হেলিবে না ;—বর্ণিকাভঙ্গের এই সৰ্ব্বাপেক্ষা কঠিন সাধনা । কাগজের কাছে তুলিটি লইবামাত্র চুম্বকের মত কাগজ যেন তুলিকে টানিয়া লইতেছে কিছুতেই রুখিতে পারিতেছি না, হাত যেন প্রবল জবে কঁাপিতেছে. বাগ মানিতেছে না । এই হাতকে এবং সঙ্গে সঙ্গে তুলিকে ও বশে আনা হচ্ছে প্রধান কাজ। এটি হইয়া গেলে আর বাকি কাজ সহজ । “সিতো নীলশ্চ পীতশ্চ চতুথে রক্ত এব চ। এতে স্বভাবজাবৰ্ণ...সংযোগজ পুনস্তুন্যে উপবর্ণ ভবস্তিছি”— শ্বেত রক্ত নীল পীত এই চার স্বভাবজ বর্ণ, এই চারের ংযোগে নানা উপবর্ণ স্বষ্টি হয় -এইটুকু শিখিতে, কিম্বা যেমন‘সিতপীতসমাধোগ পাণ্ডুবৰ্ণ ইতিম্বতঃ। ‘সিতরক্তসমাযোগ পদ্মবর্ণ ইতিস্থত ।