পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

© ৩৮শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা , .সিতনীলসমাযোগঃ কাপোতো নাম জাপ্পতে । tলী ভনীগসমাযোগtৎ হরিতে নাম জায়তে। "নীলরক্তসমাযোগাং কাবায়ে নাম-জায়তে । রক্তপীতসমাযোগাৎ গেীর ইত্যভিধীয়তে । এতে সংযোগজাৰ্ণাহ পবর্ণাস্তথা পরে। ত্রিচতুবৰ্ণসংযুক্ত বহব পরিকীৰ্ত্তিতাঃ। . দুৰ্ব্বলন্ত চ ভাগে দ্বেী নীলবর্ণাদৃতে ভবেৎ। 'নীলস্যৈকে ভবেদ্ভাগশ্চত্বারো অন্তস্ত তু স্মৃতীঃ পূর্ণন্ততু বলীয়ত্বং নীলস্তৈব হি কীৰ্ত্তাতে । ( নাট্যশাস্ত্রম্ ২১ অধ্যাঃ শ্লোকা ৬০–৬৫ ) সাদায় পীলায় পাণ্ডুবর্ণ, লালে সাদায় পদ্মবৰ্ণ, ੋਂ সাদায় কাপোতবর্ণ, পীলায় নীলে হবিং ; লালে নীলে কবি ('কাষায় ), পলায় লালে গেীর—এইটুকু শিখিতে, কিম্বা বর্ণেব তিন চার সংযোগে বহুতর উপবর্ণ স্বষ্টি হয় ; সবল বর্ণ, অপেক্ষাকৃত-দুৰ্ব্বল বর্ণ অপেক্ষা দ্বিগুন বল ধংে—কেবল নীলবর্ণ অন্তবর্ণেব চারি গুণ বলবান ও • সকল বর্ণ অপেক্ষা বলীয়ান— এই সহজ কথা গুলো মুখস্থ করিয়া এবং কার্যত প্রয়োগ করিয়া শিখিয়া বইতে অধিক সময় যায় না। কিন্তু নিজের হাতত্ত্বে নিজের বশে আনাই বিষম ব্যাপার। যাহারা তলোয়ার খেলিতে শেখে তাহাবাই জানে একটা লোহার শিক্‌ " বা একট,হাতীর মুগু, কাটা সহজ কিন্তু বাতাসে একখানি রূমাল উড়াইয়া দিয়া সেটিকে দুইবিী করায় হস্তের ও অসিঘাতের কি পাশ্চৰ্য্য লঘুতা ও ক্ষিপ্রতার প্রয়োজন ! চোখের তারাটি—যাহা তিলমাত্র বিচলিত to ইলে, নিটােল গালের রেখাটি-যাহা একচুল এদিক-ওদিক হইলে, লুতাতন্তু অপেক্ষ স্বল্প ভারত ধড়ঙ্গ

ፃፅ

হাসিরেখা— যাহা একটু কঁাপিলে সব নষ্ট হইয়া যায় –তুলির আগায় সেগুলি কাটিয়৷ দেখানো, হস্তে কি ক্ষিপ্রকারিতার, স্পর্শের কত লঘুতারই অপেক্ষ রাখে। বর্ণিকাভঙ্গের' যে বর্ণপরিচয় তাহার প্রথম পাঠ, দ্বিতীয় পাঠ নাই, তাহার একটিমাত্র পাঠ— সেটি হচ্ছে লঘুপাঠ বা হস্তলাঘবতা । হাত তুলিকে গড়াইয়া লইয়া চলিয়াছে, হাত তুলিকে ক্ষুরধাবে কাগজ কাটিয়াই যেন চালাইয়া দিতেছে,—হাত ছোয়-কি-না-ছোয় ভাবে তুলিকে কাগজের উপর দিয়া উড়াইয়া লইতেছে—ইহাই হচ্ছে আমাদের লঘুপাঠের পাঠ্য ও বর্ণিকাভঙ্গের সারাংশ। দপ্তরী রেখাটি টানিতেছে ঠিক সোজ৷ ভুবে—একেবারে চুলপ্রমাণ। কিন্তু তাহ বলিয়া বলিতে পারি না যে, বর্ণিকাভঙ্গে দপ্তর পরিপক্ক হইয়াছে কিম্বা সে যে-রেখাটি টানিয়াছে সেটি চিত্রকরের রেখার মত জীবন্ত রেখা। কেন না, দপ্তরী রেখাটি টানিতেছে প্রাণ দিয়া নয় ;—হাতটি দিয়া। কলের রুলও যে কাজ করিতেছে দপ্তরীর হাড়ও সেই কাজ করিতেছে । দপ্তরীকে কোনো চিত্রকরের-টান রেখাটি লিখিতে দাও দেখিবে তাহার হাত একেবারে মশক্ত । চিত্রকবের রেখায় আর দপ্তরীয় রেখার প্রভেদ এই যে –একটি জীবন্ত আর একটি নির্জীব চিত্রকরের প্রাণের ছন্দ একই রেখাকে কখনো গড়াইয়ু!.. কোথাও কাটিয়া বসাইয়া, কোথাও বা ছুইয়াকি-না-চুইয়া যেন উড়াইয়াই লইতেছে। কপাল হইতে আরম্ভ করিয়া চিবুক পৰ্য্যস্ত মুখের একপাশের রেখাটি টানিতে চেষ্টা কর, দেখিবে, তুলির তিন প্রকার ভঙ্গ, ভঙ্গী