পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مستم مسیر

  • సెly

কাঠের মালা জামার তলে প্রায় ঢাকা, তাহার গ্রস্থিল তর্জনীতে অষ্টধাতুর তারের পুঠেদেওয়া একটি আংটি ঢলঢল করিতেছে। তারক বাহু আকারে যেমন দুই প্রাচীন ও নব্যoদলের সমন্বয় করিয়াছিল, ভিতরেও সে তেমনি— বচনে ভয়ানক সনাতন-ভক্ত, শাস্ত্র ও ঋষি ছাড়া মুখে অন্ত কথা নাই, কিন্তু সুবিধা-মত প্রাচীন ও নবীন বিধি নির্বিচারে পালন করিত। সে নবকিশোরকে বেশে একেবারে প্রাচীন ও মতে অতীব নবীন পথ অবলম্বন করিম চলিতে দেখিয়া ভাবিল নবকিশোরও হয়ত তাহারই স্তায় দুই দিক বজায় রাখিয়া চলিবার মতন বুদ্ধিমান। কিন্তু সে নবকিশোরকে নিজের দলে টানিতে আসিয়া দেখিল যে নবকিশোর একটি আস্ত গোয়ার, তাহার মধ্যে মানাইয়া রফা করিয়া চলিবার ভাব এতটুকু নাই। তাবকের কাছে নবকিশোর যতই দুৰ্ব্বোধ হেঁয়ালি বলিয়া বোধ হইতে লাগিল, সে ততই নবকিশোরের সঙ্গ চাপিয়া ধরিতে লাগিল, নবকিশোরকে তাহার বুঝিতেই হইবে। সে এলোমেলে তর্ক করিয়া নবকিশোরকে রাগাইয়া তুলিত এবং নবকিশোর তাছার মুখের উপর তাহাকে মূখ বলিয়৷ গালি দিলে মুখে সে খুব ঘটা করিয়া আপনার বৃদ্ধিমত্তার প্রমাণ দিবার চেষ্টা করিত বটে, কিন্তু নবকিশোরের স্বচ্ছ তর্কযুক্তির নিকটে পদে পদে পরাস্ত হইয়া মনে মনে তাহাকে শ্রদ্ধা ও প্রশংসা না করি থাকিতে পারিত না। ’ d তারককে অপদার্থ জানিয়াও সঙ্গীীন নবকিশোর তাহার এই অসুরক্ত অধ্যবসায়শীল উপদ্রবটিকে. প্রশ্রয় দিত এবং সহও ^ छांब्राउँौ , च्षांशांक्ल, *७२४ করিত। তাহার বুদ্ধিবিচারহীম তুমুল তর্কে तिब्रख रुझेब्रा नदकिए*ांग्न ऊांशंझे नांव ज्ञांशिल • তাড়ক রাক্ষসী । এবং তারকের এই নাম তাহার দুর্ভাগ্যক্রমে তাহার পরিচিত মহলে এমন রটিয়া গেল, যে তাহার পিতৃদত্ত নামের বদলে নবকিশোরের দেওয়া নামটিই বাহাল হইয় গেল । - নবকিশোর যখন সংস্কৃত কলেজ হইতে এম-এও বেদান্তের উপাধি লইয়া বাহির হইল তখন সে শুদ্ধিতত্ত্ব ও সংহিতার অনুশাসন নির্বিচারে স্বীকার করি,ার অবস্থা একেবারে কাটাইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু তখনো স্কারক তাহাকে কুন্দুশাস্ত্রে ও ঋষিবাক্যে আস্থাবান করিবার আশা একেবারে ত্যাগ করে নাই । সে ভট্টাচাৰ্য্য ব্রাহ্মণের সন্তানকে ম্লেচ্ছভাবাপন্ন দেখিয়া মৰ্ম্মাহত হইত ; কিন্তু মনে করিত যেফলটা পচে তাহার খোসাতেই আগে পচন ধরে, নবকিশোর পোষাকে পরিচ্ছদে যখন এমন সনাতনী ধারা ধরিয়া রাখিয়াছে, তখন তাহার অন্তরটা এখনও একেবারে নষ্ট হইয়া যায় নাই । এই জন্ত ব্যথিত ও আশান্বিত হইয়া তারক এক-একদিন তর্কের মধ্যে তাহার কপালের শিরা ও কোটরগত চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া নককিশোরকে খৃষ্টান, ব্রাহ্ম বলিয়া গালি দিত। নবকিশোর তাহাতে একটুও রাগ না করিয়া হাসিয়া বলিত—ও ত ঠিক গাল হল না ! দেশে দেশে কালে কালে যে-সব মহাপুরুষের আবিভূর্ত হয়ে সমাজে তাদের মত প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, তারা ত শুধু সেই সেই দেশের বা কালের মধ্যেই আবদ্ধ নন, তাদের বাণীর যতটুকু সেই দেশের ও সেই কালের সঙ্গে জড়িত ততটুকু ছাড়া